বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
সদ্য চন্দ্র অভিযান নিয়ে দেশের আশা অভ্রভেদী হয়েছিল। তার ফল যাই হোক ডানকুনির দক্ষিণ সুভাষপল্লি অ্যাথলেটিকের মাঠে ইতিমধ্যে নেমে পড়েছে বেশ কয়েকজন মহাকাশচারী। তাদের অনুসন্ধানে মহাকাশেই আবিষ্কৃত হচ্ছে দেবীর অবয়ব। ইসরোর সাফল্যকে তুলে ধরতে এমনই মণ্ডপসজ্জা নিয়ে হাজির হয়েছেন ক্লাবকর্তারা। উদ্যোক্তা প্রবীর ভাণ্ডারি বলেন, মহাকাশ চর্চায় দেশের সাফল্যকে মডেল করেই আমাদের থিম তৈরি হয়েছে। ‘সৃষ্টিতে দৃষ্টি’ এমনই থিম নিয়ে পুজো মরশুমে দর্শক দরবারে হাজির শ্রীরামপুরের নিউ বয়েজ ক্লাব। বস্তুত চক্ষুদান নিয়ে সচেতনতা গড়তেই ক্লাবকর্তাদের এই উদ্যোগ। ক্লাবকর্তা হেমন্ত ভড় বলেন, গোটা বিষয়টিকে আলো ও শব্দের ব্যবহারে দৃষ্টি ও শ্রুতিনন্দন করে তোলা হয়েছে। শ্রীরামপুরেরই নিউগেট সর্বজনীনের এবারের উদ্যোগ সমুদ্র দূষণ। বিরাটায়তন এক জাহাজ দিয়ে মণ্ডপের গেট তৈরি হয়েছে। তার ভেতরে ঢুকলেই সমুদ্রতল। নানান প্রাচীর বিন্যস্ত সমুদ্রের আবহে দেবীর আবাহন। ক্লাবকর্তা সংবীর চট্টোপাধ্যায় বলেন, দূষণাসুরকে বধের বার্তা দেবীর মাধ্যমে আমরা হাজির করেছি। সচেতনতা গড়তে পুজোকে ব্যবহার এবার হুগলির পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
সেই তালে তাল দিয়েই মাহেশের দেবদূত সংঘ প্লাস্টিক মুক্ত দেশ গড়ার বার্তা দিচ্ছে। ক্লাবকর্তা গৌরব দেবনাথ বলেন, কোনও প্লাস্টিক যেমন মণ্ডপসজ্জায় ব্যবহার হয়নি তেমনি সার্বিকভাবে এর সমস্যা দূরীকরণ আমাদের পুজোর উপজীব্য। থিমের পাশাপাশি সর্বজনীন পুজোর ধাত্রীঘর হুগলিতে রয়েছে নজরকাড়া অনেক সর্বজনীন পুজোও। এমনই একটি পাণ্ডুয়া বেলুন সর্বজনীন দুর্গোৎসব। সাবেকি প্রতিমায় ৭৫ বছরে পা দেওয়া এই পুজো কমিটি এবার পুজোর আয়োজন করেছে। মণ্ডপে থাকছে দক্ষিণ ভারতীয় মন্দিরের আদল। উদ্যোক্তা অমলাংশু চক্রবর্তী বলেন, আলোকসজ্জার থিম সেফ ড্রাইভ, নারী শক্তি। বৈঁচি পশ্চিমপাড়া বায়োয়ারিও এবার ৫০ বছর পূর্তিতে সাবেকি ঘরানার পুজোর আয়োজন করেছে। ৩১৫ বছর ধরে ঘরগোয়ালে মিত্র বাড়িতে জমিদারি আমলের পুজো চলে আসছে। একদা বর্গিহানায় উদ্বাস্তু হয়ে যেতে হয়েছিল মিত্রদের। মিত্রবাড়ির উত্তরপুরুষ ধূর্জটি মিত্র বলেন, মূল বসত ছেড়ে ঘরগোয়ালে এলেও পুজোতে ছেদ পড়েনি কখনও।