বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
সখেরবাজারের পশ্চিম প্রান্তে চন্ডী মন্দিরের কাছে বড়িশা সর্বজনীন এবার চমক দিয়েছে। তাদের ভাবনার নাম ‘পালক’। এখানেও প্রকৃতিকে নিয়ে পুরো মণ্ডপ সাজানো হয়েছে। সেতুর উপর দিয়ে শাপলাফুল ভরা জলাশয় পেরিয়ে দর্শক পৌঁছবেন মূল মণ্ডপে। মা দুর্গা এখানে গণেশকে কোলে নিয়ে গ্রাম্যবধূর বেশে রয়েছেন। গ্রাম্য পরিবেশ, কৃষিকাজ ও কৃষকদের জীবনের বিভিন্ন দিকের শিল্পকর্ম তুলে ধরা হয়েছে মণ্ডপ জুড়ে। বেহালা ১১ পল্লির পুজোর ভাবনা হল লৌহ কবচ। পুজো কমিটির চেয়ারম্যান শুভাশিস রায় বলেন, পরিবেশবান্ধব হিসেবে পুরো মণ্ডপ প্লাস্টিক মুক্ত করা হয়েছে। তাই মণ্ডপের মূল কাঠামো লোহা দিয়ে তৈরি হয়েছে। মা দুর্গার বসন ও আঙ্গিকে বৈষ্ণব ভাবের ছোঁয়া। শাড়িতে লালন ফকিরের খাঁচার ভিতর অচিন পাখি গানের স্তবকগুলি লেখা। বোসপাড়া রোডের বড়িশা সবুজ সাথীর ভাবনা হল ‘সর্বধর্ম সমন্বয় জগন্নাথের রথযাত্রা বর্ণময়’। পুরীর জগন্নাথের আদলে মা দুর্গাকে সাজানো হয়েছে। বেহালার দেবদারু ফটকের ভাবনার নাম গ্ল্যাডলি বাঙালি। পুরো মণ্ডপ জুড়ে বাঙালীর আচার-আচরণ, আবেগ, খাওয়া-দাওয়া, পুজো থেকে ফুটবল সব মিলিয়ে রসময় পরিবেশ। মণ্ডপে ঢুকলে মজার পাশাপাশি ভক্তি দু’টোই পাওয়া যাবে। থিমের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রতিমার চালচিত্র তৈরি হয়েছে। অজন্তা ও জেমস লং সরণির সংযোগে বেহালা ২৯ পল্লির পুজোয় এবারের বিষয় ‘জানলা’। একেবারে অতীত থেকে বর্তমানের জানলার বিবর্তনকে তুলে ধরা হয়েছে। শুধু তাই নয়, জানলা দিয়ে বাইরের ও অন্দরমহলের হাজারো গল্প তৈরি হয়েছে। তারও ছবি রয়েছে মডেল আকারে। পর্ণশ্রীর বেহালা ক্লাব সব সময় নতুন ভাবনা থেকেই মণ্ডপ ও প্রতিমা তৈরি করে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। প্রাণের পরব কথা। হারিয়ে যাওয়া টুসু, চড়ক ,গাজন, ঝুমুর ও ভাদু গানের ডালি দিয়ে এবার সাজানো হয়েছে পুরো মণ্ডপ। মণ্ডপে ঢুকলে সেই সব মন উদাস করা সেই সব গান শোনা যাবে। তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আলোর সাজ। শুধু তাই নয়, দেবী মূর্তির অবয়বে তারই ছোঁয়া রয়েছে। এবার হরিদেবপুরে ৪১ পল্লির পুজোয় সংবাদপত্রের বিবর্তন নিয়ে সাজানো হয়েছে মণ্ডপ। চারপাশে খবরের খন্ড খন্ড চিত্র। কাপড়ের উপর খবরের প্রিন্ট করে তুলে ধরা হয়েছে। মণ্ডপের ভিতরে ঢুকলে রেডিও, টরেটক্কার আওয়াজ শোনা যাবে। হরিদেবপুর নিউ স্পোর্টিং ক্লাব সর্বজনীনের নতুন ভাবনা হল ‘এই গল্পের কোনও নাম নেই’। এখানে ইটভাটায় কর্মরত শ্রমিকদের জীবনসংগ্রামের কাহিনী নিয়ে মণ্ডপ তৈরি হয়েছে। কুদঘাঁট এলাকার প্রগতি সংঘের পূর্ব পুটিয়ারি সর্বজনীনের এবারের ভাবনা হল, তুমি কার? যার মনে প্রবেশ করো, তখন তুমি তার’।