উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
যাতে উল্লিখিত নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়া সাধারণ মানুষ ইন্টারনেট ঘেঁটে মুহূর্তের মধ্যেই দেখে নিতে পারেন, বিজেপি যে দাবিগুলি করছে, তা কতটা সঠিক। সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, বিনামূল্যে সেই ওয়াইফাই পরিষেবাও দেওয়া হচ্ছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নামে। সেই ওয়াইফাইয়ের নাম এবং পাসওয়ার্ড হচ্ছে ‘কেজরিওয়াল ওয়াইফাই পরিষেবা দিতে পারেননি’। দিল্লি বিজেপির সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ জানিয়েছেন, আগামী দুয়েকদিনের মধ্যেই এই ডিজিটাল রথ নিয়ে নির্বাচনী প্রচার শুরু করবে গেরুয়া শিবির। দিল্লির সাতটি লোকসভা আসনে নির্বাচন রয়েছে আগামী ১২ মে। রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচনী প্রচারে কংগ্রেস এবং দিল্লির কেজরিওয়াল সরকারকে কাঠগড়ায় তোলার পাশাপাশি এভাবে ‘ডিজিটাল রথ’কে ভোটযুদ্ধের অন্যতম হাতিয়ার করে বিজেপি আদতে ভোটের চমক দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
কেন একে ‘ডিজিটাল রথ’ বলা হচ্ছে? দিল্লি বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সম্পূর্ণ ডিজিটাইজড পদ্ধতিতে এই রথে চেপে ভোটের প্রচার সারা হবে। এই রথ আদতে একটি বাতানুকুল বড় গাড়ি। এলইডি স্ক্রিন ছাড়াও সেখানে থাকবে ক্যামেরা। আর যার ফলে নির্বাচনী প্রচারে হাজির থাকা সাধারণ মানুষ নিজেদের দেখতে পাবেন জায়ান্ট এলইডি স্ক্রিনে। একইসঙ্গে থাকবে বিনামূল্যে ওয়াইফাই পরিষেবা। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উল্লিখিত এলইডি স্ক্রিনে দুটো ‘উইন্ডো’ থাকবে। একটিতে দেখানো হবে কেন্দ্রের মোদি সরকারের সাফল্য এবং দিল্লির কেজরিওয়াল সরকারের ব্যর্থতার তুল্যমূল্য খতিয়ানের ভিডিও। অন্য উইন্ডোটিতে থাকবে সংশ্লিষ্ট ভিডিওটির স্বপক্ষে লিখিত আকারে নানারকম তথ্যপ্রমাণ। দিল্লি বিজেপি সূত্রের খবর, সাতটি লোকসভা কেন্দ্রেই ঘুরে বেড়াবে এই ডিজিটাল রথ। এবং প্রতিটিতেই থাকবেন দিল্লি বিজেপির সভাপতি মনোজ তিওয়ারি।
এ ব্যাপারে দিল্লি বিজেপির সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ বলেন, ‘কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ডিজিটাল ইন্ডিয়ার কথা বলছেন। বহু ক্ষেত্রে তা বাস্তবায়িতও হয়েছে। মূলত সেই ডিজিটাল ইন্ডিয়ার ভাবনা থেকেই এরকম ডিজিটাল রথের পরিকল্পনা করেছি আমরা। দিল্লির কেজরিওয়াল সরকার ধর্না-রাজনীতি ছাড়া আর কিছু করতে জানে না। ক্ষমতায় থেকেও দিল্লির আপ সরকার যে এখানকার বাসিন্দাদের জন্য কিছুই করেনি, সেটিই আমরা দলের ডিজিটাল প্রচারে তুলে ধরব।’ উল্লেখ্য, গতকাল দিল্লির চারটি লোকসভা আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। চাঁদনি চকে প্রার্থী করা হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষবধর্নকে। নর্থ-ইস্ট দিল্লিতে প্রার্থী হয়েছেন মনোজ তিওয়ারি। ওয়েস্ট দিল্লিতে প্রভেশ বর্মা এবং সাউথ দিল্লিতে রমেশ বিদুরিকে বিজেপির প্রার্থী করা হয়েছে। এই প্রার্থীদের মধ্যে আজ হর্ষবর্ধন এবং মনোজ তিওয়ারি তাঁদের মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। হর্ষবর্ধন বলেছেন, ‘দিল্লিতে আম আদমি পার্টি এবং কংগ্রেসের আসল চেহারা সাধারণ মানুষের কাছে উন্মোচিত হয়ে গিয়েছে। ফলে বিজেপির জয় নিয়ে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই।’