বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
জানা গিয়েছে, গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে বিহারের একটা বড় অংশ জুড়ে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছিল। যার তীব্রতা ২৬, ২৭ এবং ২৮ তারিখে কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছিল। ফলস্বরূপ বিহারের পূর্ণিয়া, ভাগলপুর, সাহেবগঞ্জ, মুঙ্গের সহ কয়েকটি জেলা আক্ষরিক অর্থে বন্যায় ভেসে যায়। চরিত্র অনুসারে জল উঁচু থেকে নিচু দিকে যায়। সেই সূত্রেই বন্যা কবলিত বিহারের অতিরিক্ত জল গঙ্গা হয়ে বাংলার দিকে নামতে শুরু করে। যাত্রা পথে মহানন্দা-ফুলাহার নদীর জলতলের উচ্চতা একলাফে অনেকটা বৃদ্ধি পায়। যার জন্য মালদহ এবং মুর্শিদাবাদ জেলার কয়েকটি ব্লকে প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়। যদিও বিহার প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, নতুন করে সেখানে ভারী বর্ষণের সতর্কতা নেই। বুধবার বৃষ্টিপাতও কমে গিয়েছে। একইভাবে আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুসারে, পশ্চিমবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত হবে না। যদিও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের আগাম সতর্কতা দিয়েছে হাওয়া অফিস। যা কার্যত স্বস্তি দিয়েছে রাজ্য প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের। কারণ, নতুন করে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বিহার থেকে অতিরিক্ত জল নামা কিংবা রাজ্যের নদী এবং বাঁধগুলির জলতলের উচ্চতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। যদিও উত্তরবঙ্গ লাগোয়া নদীগুলিতে জলস্ফীতি থাকায় দু-চারদিনের মধ্যে জলমগ্ন এলাকার জল নামবে না বলেই মনে করছে অভিজ্ঞ মহল। পরিস্থিতি আরও ঘোরালো না হলেও পুজোর দিনে ছয়টি ব্লকের মানুষকে বানভাসি হয়ে থাকার আতঙ্কই তাড়া করে বেড়াচ্ছে প্রশাসনিক কর্তাদের।