বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
মে’র মন্ত্রিসভার সদস্য জেমস আরও জানিয়েছেন, সরকার এমন একটি চুক্তির খসড়া বানাতে চাইছে, যেটি দ্বিধাবিভক্ত সংসদে পাশ করানো যায়। তার জন্য সময়সীমাও নির্দিষ্ট করেছে সরকার। তাঁর মতে, ‘একটি চুক্তিই ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার পুরো প্রক্রিয়াকে নিশ্চয়তা দিতে পারে। সেই কারণেই আমরা মানুষের সমর্থন চাইছি।’ চলতি সপ্তাহে সংসদে ব্রেক্সিট চুক্তিতে সংশোধনী নিয়ে ভোটাভুটি হবে। যা হলে টেরিজা মে’র কাছে বিকল্প আরও কমে যাবে। তা এড়াতেই আগেভাগে ফের ভোটের ঘোষণা করা হল মনে করছেন সাংসদরা। তার আগে প্রধানমন্ত্রী যদি ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছ থেকে কোনও বিশেষ সুবিধা আদায় করতে না পারেন, সেক্ষেত্রে এই ভোটাভুটিতেই ব্রিটেনের ভাগ্য নির্ধারণ হবে।
এদিকে, মে’র এই কৌশলকে সময় নষ্ট বলেই মনে করছে প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি। এর ফলে শেষ মুহূর্তে সংসদকে একটি চুক্তি নিয়ে ভোটাভুটিতে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। যদিও বিরোধী দলনেতা জেরেমি কর্বিনের দাবি মেনে পরিবেশ ও শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে কথা বলেছেন মে। যত শীঘ্র সম্ভব ফের জেরেমির সঙ্গে আলোচনায় বসার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। এদিকে, ব্রাসেলস ব্রিটেনকে কিছু ছাড় দিতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যস্থতাকারী মাইকেল বার্নিয়ের সঙ্গে দেখা করেছেন ব্রিটেনের ব্রেক্সিটমন্ত্রী স্টিফেন বার্কলে। চলতি সপ্তাহেই প্যারিস ও ওয়ারশ যাচ্ছেন বিদেশমন্ত্রী জেরেমি হান্টও। এই মাসে ফের ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান জাঁ-ক্লদ জাঙ্কারের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে’র। উল্লেখ্য, ব্রেক্সিটের পর আয়ারল্যান্ডের সীমান্ত খোলা রাখা নিয়েই দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা থমকে রয়েছে। মে খসড়া চুক্তিতে ওই সীমান্তে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নীতির বহাল রাখার সংস্থান ছিল। কিন্তু সেই ‘ব্যাকস্টপ’ ব্যবস্থা নিয়েই আপত্তি তুলেছেন ব্রিটেনের সাংসদরা।