দক্ষিণবঙ্গ

বর্ষায় বেয়াড়া ডেঙ্গু লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত

নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক: বর্ষায় পূর্ব মেদিনীপুরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। জুলাই ও আগস্ট মাসে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৪০। বিভিন্ন ব্লক ও শহর থেকে জ্বরে আক্রান্ত এবং ডেঙ্গুর উপসর্গ থাকা রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে তমলুক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। সেখানে ডেঙ্গু আইজিএম অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হচ্ছে। ব্লক ও মহকুমা স্তরে এনএস-১ টেস্ট হচ্ছে। তারপর ফাইনাল টেস্টের জন্য নমুনা পাঠানো হচ্ছে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মাত্র ৪০। অথচ, জুলাই মাসে ৭০ জন ও আগস্ট মাসে ১ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে আরও ৭০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। জেলায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত প্রাণহানির ঘটনা নেই। তবে, আক্রান্তের হার বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর।
২০২৪ সালে জানুয়ারি মাসে পূর্ব মেদিনীপুরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন মাত্র আটজন। ফেব্রুয়ারি মাসে সংখ্যাটা ছিল মাত্র দুই। মার্চ মাসে তিন। এপ্রিল মাসে চার এবং মে মাসে মাত্র সাতজন। জুন মাসে আক্রান্ত খানিকটা বেড়ে হয় ১৬ জন। জুলাই থেকে বর্ষা শুরু হয়। সেইসঙ্গে ডেঙ্গুর মরশুমও পুরোদমে শুরু হয়ে যায়। ওই মাসে জেলায় মোট ৭০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হন। পটাশপুর-২, মহিষাদল ও পাঁশকুড়া ব্লকে আটজন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও অন্যান্য ব্লকে আরও ৪৬ জন আক্রান্ত হন। আগস্ট মাসে ২০ তারিখ পর্যন্ত ডেঙ্গু পজিটিভের সংখ্যা ৭০। তারমধ্যে তমলুক স্বাস্থ্য জেলায় ৬২ জন এবং নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলায় সাতজন আক্রান্ত হয়েছেন। আগস্টে পটাশপুর-২ ব্লকে সবচেয়ে বেশি ১৩ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও পাঁশকুড়ায় সাতজন, নন্দকুমার ব্লকে সাতজন, কোলাঘাট এবং এগরা-১ ব্লকে ছ’জন করে আক্রান্ত হয়েছেন। আগস্ট মাসে এই জেলায় ১৭টি ব্লকে ডেঙ্গু আক্রান্তের হদিশ মিলেছে।
বর্ষায় জমা জলে ডেঙ্গুর লার্ভা জন্মাচ্ছে। এইসময় অনেকেই জ্বরে ভুগছেন। জ্বরে ভোগা রোগীর মাথাব্যথা, মাংসপেশি ও হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা এবং র‌্যাশ বেরনোর মতো উপসর্গ থাকলে দুই থেকে পাঁচদিনের মধ্যে এনএস-১ টেস্ট করা হচ্ছে। এটি ডেঙ্গুর প্রাথমিক টেস্ট। ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, গ্রামীণ ও মহকুমা হাসপাতাল এবং সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ওই টেস্ট করা হচ্ছে। আক্রান্ত ব্যক্তির পাঁচ থেকে আটদিনের মধ্যে রক্তের নমুনা নিয়ে আইজিএম টেস্ট করা হচ্ছে। এটি তমলুক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে হচ্ছে। ওই টেস্ট পজিটিভ হলে ডেঙ্গু আক্রান্ত হিসেবে নথিভুক্ত করা হচ্ছে।
ডেঙ্গু মোকাবিলায় শহর ও গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পতঙ্গবাহিত ব্যধি মোকাবিলা টিম কাজ করছে। গ্রামীণ এলাকায় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের অধীনে ওই টিম কাজ করছে। আবার, শহর এলাকায় পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের অধীনে টিম কাজ করছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবটাই মনিটরিং করা হচ্ছে। জমা জল ফেলে দেওয়া, লার্ভা নষ্ট করা, জ্বরে ভোগা ব্যক্তির বাড়ি থেকে তথ্য সংগ্রহ ও হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা সবটাই ওই টিম করছে। 
পূর্ব মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিভাস রায় বলেন, বর্ষায় ডেঙ্গুর প্রকোপ একটু বাড়ে। তবে, আমাদের জেলায় আক্রান্তের হার খুব বেশি বাড়েনি। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর আছে। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে আমরা ডেঙ্গু মোকাবিলায় কাজ করছি।
29d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

অতিরিক্ত কর্মের চাপ গ্রহণ করে বেকায়দায় পড়তে পারেন। নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। আয় বাড়বে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৬৮ টাকা৮৪.৪২ টাকা
পাউন্ড১০৯.৫৩ টাকা১১৩.১১ টাকা
ইউরো৯১.৭৫ টাকা৯৪.৯৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
21st     September,   2024
দিন পঞ্জিকা