দক্ষিণবঙ্গ

বিষ্ণুপুরের রামানন্দ কলেজের হস্টেল সংস্কারে অনিয়ম, কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ

সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: বিষ্ণুপুরের রামানন্দ কলেজে বয়েজ হস্টেল সংস্কারে নিম্নমানের কাজ নিয়ে সরব পড়ুয়া এবং অধ্যাপকরা। তার জেরে মঙ্গলবার কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিলেন পরিচালন সমিতির সভাপতি। এনিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদার একে অপরের উপরে দোষ চাপিয়ে দায় এড়াতে চাওয়ায় ক্ষুব্ধ কলেজ কর্তৃপক্ষ। এদিন দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার হস্টেলের কাজ পরিদর্শনে গেলে চাঞ্চল্য ছড়ায়। 
রামানন্দ কলেজের ইনচার্জ কমলা দাস এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ বলেন, আমি সভাপতি হওয়ার আগে কলেজের হস্টেল সংস্কারের কাজ মঞ্জুর হয়। বর্তমানে সেই কাজ চলছিল। এদিন নিম্নমানের কাজের অভিযোগ পাওয়ার পর অবিলম্বে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় তদন্তের পর পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। 
বিষ্ণুপুর পূর্তদপ্তরের এক জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার জয়দীপ সরকার বলেন, সংস্কারের কাজ একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। কাজের যে এস্টিমেট করা হয়েছিল, পরে দেখা যাচ্ছি তার তুলনায় অনেক বাড়তি কাজ করতে হচ্ছে। যে সব জায়গায় সমস্যা দেখা দিচ্ছে সেগুলো নিয়ম মাফিক সংস্কার করা হবে। আমরা নিয়মিত পরিদর্শন করছি। তবুও ছোটখাটো সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 
হস্টেল সংস্কারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার মানস পাত্র বলেন, নিম্নমানের কাজের অভিযোগ ঠিক নয়। প্রথম পর্যায়ে কাজ চলছে। ইঞ্জিনিয়ারের নির্দেশ মতো কাজ হচ্ছে। তারপরেও কোনও সমস্যা দেখা দিলে দ্বিতীয় পর্যায়ে সেগুলো ঠিক করা হবে। 
এদিন বয়েজ হস্টেলে গিয়ে দেখা গেল সংস্কারের কাজ চলছে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্লাস্টারের উপর তাপ্পি মারা হয়েছে। যা কিছুদিনের মধ্যে ছেড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে পড়ুয়া এবং কলেজের অধ্যাপকদের দাবি। কাঠের দরজা ও জানালাগুলিতেও জোড়াতাপ্পি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতেও নিম্নমানের অভিযোগ উঠেছে। আর সবচেয়ে করুণ অবস্থা ছাদে। হস্টেলের আবাসিকদের অভিযোগ, ছাদের ভেতরের দিক থেকে প্লাস্টার করা হয়েছে। বৃষ্টি হলেই ওই প্লাস্টার দিয়ে জল চুইয়ে পড়ছে।   
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে কলেজের বয়েজ হস্টেলটি জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। তার মধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে ছাত্ররা সেখানে থাকেন। এনিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ দোতলা ওই বিল্ডিংটি সংস্কারের উদ্যোগী হয়। তার দায়িত্ব দেওয়া হয় পূর্তদপ্তরকে। পূর্তদপ্তর সেই অনুযায়ী মোট ৭৪ লক্ষ টাকার এস্টিমেট তৈরি করে। তার মধ্যে সিভিল ওয়ার্ক ৫৬ লক্ষ টাকা এবং বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য ১৮ লক্ষ টাকা ধরা হয়। আবাসিক ছাত্রদের অন্য বিল্ডিংয়ে সরিয়ে কিছুদিন আগে সংস্কারের কাজ আরম্ভ হয়। কিন্তু পুরনো প্লাস্টার না ভেঙেই দেওয়ালের ফাটলে বালি ও সিমেন্ট গুঁজে দেওয়া হয়েছে। একইভাবে ছাদেও ভেতর থেকে তাপ্পি দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে তা দিয়ে জল চুঁইয়ে পড়ছে। বিষয়টি আবাসিক পড়ুয়াদের প্রথম নজরে আসে। তাঁরা অধ্যাপকদের বলেন। অধ্যাপকদের একাংশ অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় পরিচালন কমিটির সদস্যদের জানানো হয়। তাঁরা কমিটির সভাপতিকে জানান। তিনি অভিযোগ জানানোর পর পূর্তদপ্তরের টনক নড়ে।
1Month ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

অতিরিক্ত কর্মের চাপ গ্রহণ করে বেকায়দায় পড়তে পারেন। নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। আয় বাড়বে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৬৮ টাকা৮৪.৪২ টাকা
পাউন্ড১০৯.৫৩ টাকা১১৩.১১ টাকা
ইউরো৯১.৭৫ টাকা৯৪.৯৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
21st     September,   2024
দিন পঞ্জিকা