দক্ষিণবঙ্গ

দোকান সরিয়ে নিচ্ছেন ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা

সংবাদদাতা, রামপুরহাট: প্রশাসন ১০ জুলাইয়ের ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছিল। সেই অনুযায়ী নিজেরাই দোকান ভেঙে সরিয়ে নিচ্ছেন রামপুরহাটের ফুটপাত ব্যবসায়ীরা। শ্রমিক লাগিয়ে সেই সমস্ত দোকান ভেঙে খালি করে দেওয়া হচ্ছে ফুটপাত। কিন্তু এরপর কী হবে? কোথায় ব্যবসা করবেন? তাঁদের পুনর্বাসন ও আর্থিক ক্ষতিপূরণ নিয়ে কী ভাবছে প্রশাসন? সেটা জানতে বৃহস্পতিবার দুপুরে রামপুরহাট পুরসভার চেয়ারম্যানের কাছে ডেপুটেশন দিলেন তাঁরা। চেয়ারম্যান সৌমেন ভকত তাঁদের আশ্বস্ত করার পাশাপাশি সাফ জানিয়েছেন, যাঁরা সরকারি কর্মচারী বা বিত্তশালী রয়েছেন, তাঁদের অনেকেই ফুটপাত দখল করে দোকান বানিয়ে ভাড়া খাটিয়ে এসেছেন। তাঁদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে না।
গত শুক্রবার থেকে রামপুরহাট শহরের রাস্তা দখলমুক্ত করার অভিযানে নেমেছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই রামপুরহাট-দুমকা রোডের ছফুঁকো থেকে নিশ্চিন্তপুর ও জাতীয় সড়কের মনসুবা থেকে সানঘাট মোড় পর্যন্ত অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এরপরই অভিযানের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন ফুটপাত ব্যবসায়ীরা। তিনদিন ধরে আন্দোলন চলার পর গত সোমবার ফুটপাত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে মহকুমা শাসক, পুরসভা ও টিআরডিএর চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ১০ দিনের মধ্যে রাস্তার ধারের অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলার পাশাপাশি তাঁদের পুনবার্সনের জন্য চিন্তাভবনা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়। এরপরই বুধবার থেকে বিশেষ করে রামপুরহাট এসডিও অফিস, সংশোধনাগারের পাঁচিল ঘেঁষে থাকা ফুটপাত ব্যবসায়ীরা তাঁদের দোকানগুলি ভাঙা শুরু করেছেন। ওই এলাকায় রেলের জায়গায় থাকা ব্যবসায়ীরাও একই পথে হাঁটছেন। তাঁরাও নিজেরাই দোকান ভেঙে নিচ্ছেন। এই দোকানের উপরই তাঁদের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা, পরিবারের পেট চলত। এরপর তাঁদের নিয়ে কী ভাবছে প্রশাসন, আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের কী হবে, সেটা জানতে এদিন তাঁরা পুরসভার চেয়ারম্যানকে ডেপুটেশন দেন।
আন্দোলনকারী সাহাজাদা হোসেন কিনু, সঞ্জীব মল্লিকরা বলেন, সরকারি জায়গা উন্নয়নমূলক কাজে এখনই ব্যবহৃত না হলে ফুটপাত ব্যবসায়ীদের সরোনা চলবে না। সেই সঙ্গে রেল অথবা রা঩জ্যের জায়গায় থাকা সমস্ত ফুটপাত ব্যবসায়ীদের দ্রুত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। যদিও পুরসভার চেয়ারম্যান তাঁদের আশ্বস্ত করে বলেন, অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলতেই হবে। তবে কয়েকবছর আগে টিআরডিএ কিছু ফুটপাত ব্যবসায়ীকে টিনের গুমটি সহ পুনর্বাসন দিয়েছিল। সেই দোকানগুলি থাকবে। গুমটির বাইরের পসরা সরিয়ে ফেলতে হবে। এছাড়া পশু চিকিৎসালয়কে সরিয়ে সেখানে হকার জোন করে এসডিও অফিসের চারপাশে থাকা ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে। সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টিও চিন্তাভাবনার মধ্যে রয়েছে সরকারের। আপাতত যে যেখানে ছিলেন সেখানে ছাতা বা ঠেলাগাড়ি নিয়ে ব্যবসা করতে পারেন। তবে সেটা ড্রেনের ওপারে। অনেকে আছেন যাঁরা সরকারি চাকরি করেন বা বিত্তশালী, তাঁরা ফুটপাত দখল করে দোকান বানিয়ে ভাড়া খাটাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে পুনর্বাসন দেওয়া হবে না। রেলের জায়গায় থাকা হকারদের নিয়ে রেল কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। তাঁরাও যাতে ছাতা বা ঠেলাগাড়ি নিয়ে ব্যবসা করতে পারেন, সেই বিষয়টি দেখব। যদিও ফুটপাত ব্যবসায়ীরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, তাঁরা তাঁদের দোকান ভেঙে নিচ্ছেন। কিন্তু এরপর সমস্ত অবৈধ বহুতল ও বড় বড় ব্যবসায়ীদের দোকানের বাড়তি অংশ ভাঙা না হলে আন্দোলনে নামবেন।
নিজস্ব চিত্র
3Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.০৯ টাকা৮৪.৮৩ টাকা
পাউন্ড১০৯.৪৭ টাকা১১৩.০৪ টাকা
ইউরো৯১.০৬ টাকা৯৪.২৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা