দক্ষিণবঙ্গ

লোককথা ও প্রাচীন ঐতিহ্য নিয়েই চলে আসছে করিমপুরের দুর্গাপুজো

সংবাদদাতা, করিমপুর: শহরের পুজোর মতো থিম বা আলোকসজ্জা না থাকলেও সীমান্তের পুজোগুলিতে আবেগ আর নিষ্ঠা রয়েছে ষোলোআনা। এই পুজোগুলির মধ্যে বেশকিছু প্রাচীন পুজোও রয়েছে। যার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নানা লোককথা। করিমপুর-২ ব্লকের দোগাছি গ্রামের রাজবল্লভীর পুজো শুরু হয়েছিল প্রায় ৩০০বছর আগে। কথিত আছে নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে রাজবল্লভ নামে এক জেলের জালে উঠে আসে কষ্টিপাথরের দুর্গা ও বিষ্ণু মূর্তি। রানি ভবানী ওই মূর্তিতে এই পুজো শুরু করেন। এখন অবশ্য ওই পুজো সর্বজনীন। প্রায় ৪০০বছরের পুরনো ধোড়াদহের চৌধুরী বাড়ির পুজো। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে পুজো উপলক্ষ্যে মেলা বসলেও এখন তা বসে না। তবে জৌলুস হারালেও পুজো হয় প্রাচীন নিয়ম মেনেই।  কথিত আছে ১৫৫৭ সালে দিল্লির মোগলদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন যশোরের রাজা বারো ভূইয়ার অন্যতম প্রতাপাদিত্য। মোগলদের হাত থেকে নিজের শিশুপুত্রকে বাঁচাতে দেওয়ান দুর্গারাম চৌধুরীকে অনুরোধ করেছিলেন। সেই মতো দুর্গারাম শিশুটিকে নিয়ে অবিভক্ত বাংলার বন জঙ্গলে ঢাকা এই ধোড়াদহে লুকিয়ে ছিলেন। পরে যুদ্ধ শেষে ফিরিয়ে দেন প্রতাপাদিত্যের শিশু পুত্রকে। খুশি হয়ে প্রতাপাদিত্য দুর্গারামকে পাঁচটি মহল দান করেন। সেই সময় থেকেই জঙ্গল কেটে আট চালার ঘরে এই দুর্গাপুজো শুরু করেন দুর্গারাম। পলাশীর যুদ্ধের চার বছর আগে ১৭৫৩খ্রিস্টাব্দে সেই আট চালার ঘর ভেঙে তৈরি হয় পাকা মন্দির। তারপর থেকে আজও সেই রীতি মেনেই পুজো হয়ে আসছে। যমশেরপুর বাগচী বাড়ির পুজো এলাকার প্রাচীন পুজো বলে পরিচিত। আনুমানিক ১২৪৫সালে এই পুজো শুরু হয়েছিল। সীমান্তের হোগলবেড়িয়া নস্করী মায়ের পুজো প্রায় ৪৭৫বছরের পুরনো। আগে বাংলাদেশ থেকেও প্রচুর মানুষ ভিড় করত এপার বাংলার এই পুজো দেখতে। তখন সীমান্তে এত কড়াকড়ি ছিল না। কিন্তু এখন দিন বদলেছে, সীমান্ত পেরিয়ে এখন আর আসতে পারে না ওপার বাংলার মানুষেরা। নষ্করী মায়ের পুজো উপলক্ষ্যে এখনও মেলা বসে। সীমান্তবর্তী করিমপুরে একটা সময় হাতেগোনা কয়েকটি দুর্গাপুজো হতো। বর্তমানে করিমপুরে চল্লিশটিরও বেশি দুর্গাপুজো হয়। শিকারপুর সীমান্তে প্রায় ১২টি পুজো হয়, তারমধ্যে শুধু বাজারেই হয় তিনটে পুজো। এখানে দশমীর দিন বেশিরভাগ প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় মাথাভাঙা নদীতে। প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় নদীর দুই পাড়ে হাজির থাকেন দুই বাংলার মানুষ। শিকারপুরের বাসিন্দা শিবেন সাহা বলেন, আমাদের ছোটবেলায় দেখা সেই পুজো এখন আর নেই। তখন তো সীমান্ত বলে এরকম কিছু ছিল না। পুজো, ঈদ কিংবা অন্য উৎসবের সময় দু-দেশে আমাদের অবাধ যাতায়াত ছিল। তখন পুজো ছিল অন্যরকম। 
2Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায়...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.১৩ টাকা৮৫.৮৭ টাকা
পাউন্ড১০৪.২৭ টাকা১০৭.৯৮ টাকা
ইউরো৮৬.৪২ টাকা৮৯.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা