চারুপমা

• মডেল: ধ্রুবজ্যোতি সরকার, বিনতা চক্রবর্তী • মেকআপ: বিউটি সাহা, আশিষ মণ্ডল 
• ছবি: সুহাশিষ • পোশাক: রাহুল সর্দার • আয়োজক: পিয়ালী সেন (বং কানেকশন স্টুডিও)
• মডেল: আদিত্য চৌধুরী • মেকআপ: অনীতা সাধুখাঁ • পোশাক: শ্রীগোপাল পাঞ্জাবি মহল, 
• যোগাযোগ: ৯৮৩৬৫৯২৫৪৯ • ছবি: প্রদীপ পাত্র • গ্রাফিক্স: সোমনাথ পাল

লিপস্টিকের ভালোমন্দ

রোজ লিপস্টিক ব্যবহার করা কি ঠিক? শর্মিলা সিং ফ্লোরা-র সঙ্গে কথা বলে লিখছেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য।

গাঢ় লাল রঙা লিপস্টিক। সেটাই হতে পারে আপনার স্টাইল স্টেটমেন্ট। অন্য কোনও প্রসাধনীর প্রয়োজনই হল না হয়তো। এভাবে নিজেকে সাজাতে ভালোবাসেন বহু তনয়া। নিত্যদিনের কর্মক্ষেত্র হোক বা কেতার বিয়েবাড়ি— মনের মতো লিপস্টিক থাকলেই সাজ কমপ্লিট। কিন্তু প্রতিদিন লিপস্টিক কি ত্বকের ক্ষতি করে? নাকি ত্বক ভালো রাখারও হাতিয়ার হতে পারে এই রঙিন প্রসাধনী?
রূপ বিশেষজ্ঞ শর্মিলা সিং ফ্লোরা লিপস্টিকের পক্ষেই মত দিলেন। তাঁর কথায়, ‘ব্র্যান্ডেড লিপস্টিক কখনও ত্বকের ক্ষতি করে না। বরং ঠোঁট ভালো রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন লিপস্টিক লাগাতে পারেন। তবে ম্যাটের বদলে ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার যুক্ত গ্লসি লিপস্টিক লাগানোর পরামর্শ দেব। যে কোনও কম দামি লিপস্টিক ব্যবহার করলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। ব্র্যান্ডেড লিপস্টিক ব্যবহার করতে বলি কারণ কসমেটোলজিস্টরা পরীক্ষানিরীক্ষার পর তা তৈরি করেন। লিপস্টিকের মধ্যে মোম থাকে। তা কখনও ত্বকের ক্ষতি করে না। ফলে কোন ব্র্যান্ড আপনার ত্বকের জন্য মানানসই, সেটা দেখে কিনুন। আর অবশ্যই আপনার ব্যক্তিত্ব, পেশা অনুযায়ী লিপস্টিক নির্বাচন করুন। একজন নার্স কখনও চড়া লাল লিপস্টিক নিশ্চয়ই লাগাবেন না। রাতে বাড়ি ফিরে ভালো করে লিপস্টিক তুলে ফেলাও জরুরি। ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত মেয়েরা লিপস্টিক না লাগিয়ে লিপ বাম ব্যবহার করতে পারেন।’
ভালো মানের লিপস্টিক ঠোঁট ভালো রাখে। কিন্তু ব্র্যান্ডেড লিপস্টিক ব্যবহারের পরও যদি ঠোঁটের সমস্যা থাকে? তার নির্দিষ্ট কিছু কারণ রয়েছে। আপনাকে তা জানতে হবে। দেখবেন, বহু ক্ষেত্রে লিপস্টিক দেওয়ার পরও ঠোঁট শুষ্ক থাকে। এক্ষেত্রে আপনার প্রতিদিনের যত্ন জরুরি। মরা কোষ তুলে ফেলে ময়েশ্চারাইজ করুন নিয়মিত। একইসঙ্গে প্রচুর পরিমাণে জল পান করাও জরুরি। দেহের অভ্যন্তরীণ আর্দ্রতার প্রভাব পড়ে ত্বকের উপর।
নিয়মিত লিপস্টিক লাগালে ঠোঁট কালো হয়ে যেতে পারে— এহেন ভুল ধারণা থাকে অনেকের। মনে রাখবেন ত্বকের অন্যান্য অংশের মতো ঠোঁটেও সানবার্ন হতে পারে। সেক্ষেত্রে নিয়মিত সানস্ক্রিন লোশন অ্যাপ্লাই করুন। তবেই ঠোঁটের স্বাভাবিক রং বজায় থাকবে। ঠোঁটে বলিরেখা অনেকটাই বয়সজনিত এবং জিনগত সমস্যা। নিয়মিত লিপস্টিক ব্যবহারের কারণে তা হয় না। ফলে এহেন সমস্যায় পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়। বেশ কিছু লিপস্টিক সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করার মতো উপাদান দিয়ে তৈরি হয়। প্রয়োজনে সেই ধরনের লিপস্টিক ব্যবহার করুন।
যাদের ত্বক শুষ্ক, তাঁরা প্রতিদিন লিপস্টিক ব্যবহারের আগে বেস তৈরি করার জন্য লিপবাম ব্যবহার করুন। রাতে শুতে যাওয়ার সময় ময়েশ্চারাইজার লাগানোর পর লিপবাম লাগিয়ে ঘুমিয়ে পরুন। সকালে উঠে পরিষ্কার করে নেবেন। 
লিপস্টিক সাধারণত ত্বকের স্বাভাবিক রংকে আরও উজ্জ্বল করে তোলে। কিন্তু আপনার ত্বকে কোন রঙের লিপস্টিক সেই কাজটি করতে পারবে, তা জানতে হবে। ভিটামিন ই বা অ্যালোভেরা সমৃদ্ধ লিপস্টিক প্রতিদিনের ব্যবহারের তালিকায় রাখতে পারেন। এতে স্টাইলের পাশাপাশি ত্বকের স্বাভাবিক যত্নও সম্ভব।
কিন্তু ব্র্যান্ডেড লিপস্টিক যে সবসময় পকেটসই দামের হবে, তা তো নয়। হ্যাঁ, একথা ঠিক যে দাম দিয়ে লিপস্টিক কিনলে তা দীর্ঘদিন ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু যাঁদের সেই বাজেট নেই, তাঁরা কম দামি লিপস্টিকের খোঁজ করেন। আর তাতেই মূল সমস্যার সূত্রপাত। কী উপাদান দিয়ে লিপস্টিক তৈরি হয়েছে তা না জেনেই ব্যবহার করার ফলে ঠোঁটের ক্ষতি অবধারিত। এই সমস্যারও সমাধান রয়েছে। আপনি বাড়িতেই লিপস্টিক তৈরি করে নিতে পারেন। যেসব উপাদান দিয়ে তৈরি করবেন, তার পুষ্টিগুণ আপনার জানা। ফলে এতে বাজারচলতি কম দামি লিপস্টিক ব্যবহারের ফলে ক্ষতির আশঙ্কা কমবে। লিপস্টিক তৈরির দু’টি ঘরোয়া পদ্ধতির সাহায্যে হাতেকলমে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। 
প্রাথমিকভাবে লিপস্টিক তৈরি করতে যেসব উপকরণ লাগবে, তা হাতের কাছেই পাবেন। এক চা চামচ নারকেল তেল, এক চা চামচ শিয়া বাটার, এক চা চামচ প্রাকৃতিক মোম, এক ফোঁটা যে কোনও এসেনশিয়াল অয়েল সুগন্ধের জন্য দিতে পারেন। সঙ্গে এক ফোঁটা ফুড কালার অথবা অর্গানিক কোকো পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। রান্নাঘরে থাকা দারচিনি গুঁড়ো, অথবা হলুদও লিপস্টিক তৈরিতে কাজে লাগাতে পারেন। সব উপকরণ জোগাড় হলে নারকেল তেল, শিয়া বাটার, প্রাকৃতিক মোম একসঙ্গে গরম করে গলিয়ে নিন। গলে একেবারে তরলে পরিণত হলে তাতে রং এবং এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ কাচের বোতলে ঢেলে রাখুন। ঠান্ডা করে নিলেই তৈরি লিপস্টিক। ফুড কালার বা অর্গানিক কোকো পাউডারের সাহায্যেই লিপস্টিকের রং তৈরি হবে।
আরও একটি পদ্ধতিতে লিপস্টিক তৈরি করতে পারেন। এক্ষেত্রে এক চা চামচ প্রাকৃতিক মোম, তিন চা চামচ অলিভ অয়েল, ফুড কালার এবং সামান্য এসেনশিয়াল অয়েল সংগ্রহ করুন। একটি পাত্রে মোম এবং তেল একসঙ্গে গরম করে গলিয়ে নিন। সম্পূর্ণ গলে গেলে ঠান্ডা করে নিন। এতে এসেনশিয়াল অয়েল এবং ফুড কালার ভালো করে মিশিয়ে নিন। পরিষ্কার পাত্রে মিশ্রণটি ঢেলে ঠান্ডা করে নিলেই তৈরি ঘরোয়া লিপস্টিক। নিজের তৈরি লিপস্টিক উপহার হিসেবে দেওয়ার জন্যই ভালো।
6Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৬ টাকা৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড১০৬.৪৬ টাকা১০৯.১২ টাকা
ইউরো৮৯.৭৬ টাকা৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা