শরীর ও স্বাস্থ্য

আম কেন ফলের রাজা?

পরামর্শে আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডাঃ লোপামুদ্রা ভট্টাচার্য।

পুষ্টিগুণ

দেহকে রোগমুক্ত রাখতে, দুর্বলের স্বাস্থ্য ফেরাতে অদ্বিতীয় আম। আমাদের এই শরীর তৈরি হয় কোটি কোটি কোষ দিয়ে। সেই কোষের কার্যকারিতা বজায় রাখতে যে যে খনিজ ও ভিটামিন দরকার, তার প্রায় সবকটিই আছে স্বর্গীয় স্বাদের আমে। আম তাই যেন এনার্জির ভাণ্ডার, প্রাণের আরাম, মনের আনন্দ, আত্মার শান্তি! এককথায় আম যেন পুণ্যে পাওয়া পূর্ণ ফল!

চোখের যত্নে আম
বিটা ক্যারোটিনয়েড নামে একধরনের উপকারী যৌগ থাকে আমে। এই যৌগকে শরীর ভিটামিন এ হিসেবে পরিণত করে। ভিটামিন এ রেটিনাকে ভালো রাখে। শিশুরাও দৃষ্টিশক্তি স্বাস্থ্যকর রাখতে ছোট থেকেই আম খাওয়ার অভ্যেস করতে পারে।

ভাবী মা ও সন্তানের স্বাস্থ্য
আমে থাকে প্রচুর মাত্রায় ফোলেট। এই ভিটামিন গর্ভস্থ ভ্রূণের ব্রেন ডেভেলপমেন্টে খুব সাহায্য করে। তাই একজন সন্তানসম্ভবা মহিলার ডায়েটে অবশ্যই আম রাখা যায়। এছাড়া আমে থাকে প্রচুর ক্যালশিয়াম, যা সন্তানসম্ভবাদের ক্যালশিয়ামের চাহিদা অনেকাংশেই মেটাতে সক্ষম। 

বাড়ন্ত বাচ্চার পুষ্টি
বাড়ন্ত বাচ্চার বিকাশের জন্য একাধিক পুষ্টি উপাদানের প্রয়োজন হয়। আমে থাকা ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম সেই চাহিদা পূরণে সমর্থ। এছাড়া খেলাধুলো করে আসার পর হারানো এনার্জি পুনরুদ্ধারে কয়েকটুকরো আমই যথেষ্ট। কারণ আমে থাকে প্রচুর পরিমাণে ইলেকট্রোলাইটস। একইকারণে গ্রীষ্মকালে ডিহাইড্রেশন রোধেও আম বিশেষ কাজে আসে। এছাড়া খুব গরমে তেতে পুড়ে, ঘামে ভিজে বাড়ি ফেরার পর আম পোড়ার শরবতও অত্যন্ত উপকারে আসে। আম শরীরের অ্যাসিড ও ক্ষারের ভারসাম্যও রক্ষা করে। 

ইমিউনিটি বাড়াতে
আমে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অন্যান্য খনিজ। ভিটামিন সি নিজেই একটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। ফলে একাধারে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন বাড়ায়, তেমনই দেহের অভ্যন্তরে থাকা ফ্রি র‌্যাডিকেলসগুলিকেও নষ্ট করে।

নার্ভের রোগে
অনেকের অ্যালঝাইমার্স, ডিমেনশিয়া, পার্কিনসনস হওয়ার পারিবারিক ইতিহাস থাকে। এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে আম নার্ভের সমস্যা প্রতিরোধ করতে পারে।

কোলেস্টেরল কমাতে আম
আমে থাকে ম্যাঙ্গিফেরিন নামে একটি বিশেষ উপাদান, যা রোগীর রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফলে হার্টের রোগ থেকেও দূরে রাখে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূরে রাখে আমে থাকে প্রচুর পরিমাণে খাদ্যতন্তু। ফলে আম খেলে কোষ্ঠবদ্ধতা দূর হয়।

ডায়াবেটিস রোগী ও আম
আমে প্রচুর ক্যালোরি থাকে। তাই অত্যন্ত উপকারী হওয়া সত্ত্বেও ডায়াবেটিকরা যেমন খুশি আম খেতে পারেন না। তাঁর জন্য সারাদিনে যেটুকু ক্যালোরি গ্রহণ করার নিদান দিয়েছেন চিকিত্‍সক, তার মধ্যেই আমকে ঢোকাতে হবে। বাদ দিতে অন্য কোনও খাদ্য।

সংক্রমণ কমাতে
নিয়মিত আম খেলে তা সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে।

ক্যান্সার রোধে
আমের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিক্যান্সার প্রপার্টি বা উপাদান। প্রস্টেট ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সারের মতো সমস্যা প্রতিরোধ করে আম।

আনন্দের হর্মোন
আম অন্ত্রে সেরেটোনিন হর্মোনের মাত্রা বাড়াতে পারে। এই হরমোন উদ্বেগ, অবসাদ দূরে রাখে। কাজ করতে উত্সাহের জোগান দেয়।
লিখেছেন সুপ্রিয় নায়েক
1Month ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

উপস্থিত বুদ্ধি ও প্রখর অনুমান ক্ষমতার গুণে কার্যোদ্ধার। ব্যবসা, বিদ্যা, দাম্পত্য ক্ষেত্রগুলি শুভ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.১৩ টাকা৮৪.৮৭ টাকা
পাউন্ড১০৮.৩২ টাকা১১১.৮৭ টাকা
ইউরো৯১.২৫ টাকা৯৪.৪৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
5th     September,   2024
দিন পঞ্জিকা