শরীর ও স্বাস্থ্য

খেয়ে উঠেই কি শুয়ে পড়া ভালো?

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, খাওয়ার পর অন্তত এক-দুঘণ্টা বাদেই শোওয়া উচিত। তা কেন? আসলে আমরা যে খাবার খাই তা যায় পাকস্থলী বা স্টমাকে। পাকস্থলী থেকে বিভিন্ন ধরনের এনজাইম ক্ষরিত হয়ে নানা ধরনের খাদ্য উপাদানকে হজমে সাহায্য করে। রেনিন এনজাইমটি দুধ হজমে সহায়তা করে। পেপসিন এনজাইমটি প্রোটিন পরিপাকে সাহায্য নেয়। এছাড়া পাকস্থলীতে প্রচুর হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড তৈরি হয় যা হজমে নানাভাবে সাহায্য করে। এই অ্যাসিড খাদ্যের প্রোটিন অংশের শৃঙ্খলগুলোকে ভেঙে দেয়, প্রোটিনকে ভেঙে পেপটোনে পরিণত করতে পেপসিন এনজাইমকে শক্তি দান করে। খাদ্যের সঙ্গে যেসব ক্ষতিকর জীবাণু পাকস্থলীতে পৌঁছয়, তাদের নিস্তেজ করে দেয়। এছাড়া আমাদের খাদ্যের খনিজ উপাদানগুলোকে ভেঙেচুরে সহজপাচ্য করে এই অ্যাসিড।
গ্যাস্ট্রিক ডাইজেশন বা পাকস্থলীর হজম প্রক্রিয়া সবচেয়ে বেশি কার্যকরী হয় খাদ্য গ্রহণের অন্তত দুঘণ্টা পরে। কারণ এই দুঘন্টার মাথায় সব থেকে বেশি পরিমাণে রেনিন এবং পেপসিন উৎসেচক এবং হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড পাকস্থলীর মিউকাস পর্দা থেকে ক্ষরিত হয়। পাকস্থলীতে প্রধানত প্রোটিনের পরিপাক হয় এবং সামান্য পরিমাণে জল অ্যালকোহল এবং কিছু ওষুধ এখানে শোষিত হয়। আংশিক হজম হওয়া খাদ্য দুঘন্টা পরে পাকস্থলী থেকে ক্ষুদ্রান্ত্রে চলে আসে এবং হজমের বাকি পর্বগুলো এখানে সমাধা হওয়ার পর, তা শোষিত হয়ে রক্ত স্রোতে চলে আসে। পাকস্থলীতে হজম পর্ব শেষ হতে অন্তত ঘন্টা দুয়েক সময় লাগে বলেই ডিনারের দুঘণ্টা পর শোওয়াই ভালো। আগে শুলে পাকস্থলীর হজম পর্বকে সম্পাদন করার জন্য যে পরিমাণ হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড ক্ষরিত হয়, তার কিছুটা পাকস্থলীর উপরের স্পিনটার বা অর্গল দিয়ে খাদ্যনালীতে এবং ফ্যারিংস বা গলবিলে  উঠে এসে বিপত্তি বাধাতে পারে। সবার বেলায় এমনটা হবেই তা নয়, যদিও পাকস্থলীতে সবারই  অ্যাসিড থাকে। হার্নিয়া-সহ পাকস্থলীর নানা অসুখেও এটা হতে পারে।  এই উঠে আসা অ্যাসিড থেকে বুক জ্বালা করে। খেয়েই যদি কেউ শুয়ে পড়ে বা সামনে ঝুঁকে কোনও কাজ করে, তখনই তার বুক জ্বালা শুরু হয়, বুকে যেন গরম ভাব লাগে। এই সময় ঠান্ডা জল খেলেও জ্বালা বোধ হতে পারে। অনেকের গলায় টক জল উঠে আসে। ঢোক গিলতে বাধো বাধো ঠেকে। এইসব উপসর্গ থাকলে আমরা বলি গ্যাস্ট্রো ইসোফিজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ হয়েছে।
     রোগীর জীবনযাত্রা এবং খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন ঘটিয়ে এই রোগের উপসর্গগুলো কমিয়ে আনা যায়। যাদের ওজন বেশি তাদের ওজন কমাতে হবে। পেট ভর্তি করে খাওয়া চলবে না। বেশি রাত করে বা অসময়ে খাওয়ার অভ্যেস ছাড়তে হবে। ঝালে ঝোলে অম্বলে খাবেন না। ভাজাভুজি, চকোলেট, কফি, কোল্ড ড্রিঙ্ক, টমেটো, লেবু, মদ খাবেন না। এরা অনেকক্ষণ ধরে পাকস্থলীতে থাকে, হজম হতে সময় নেয়। দুপুরে ভাত ঘুম দেওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন। রাত নটার মধ্যে ডিনার করে এগারোটার পর শুতে যাবেন। এই নিয়ম গুলো মেনে চললেই রোগটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
লিখেছেন ডাঃ অমিতাভ ভট্টাচার্য
1Month ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

বহু প্রচেষ্টার পর আটকে থাকা কাজের জটিলতা মুক্তি। কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায় বিশেষ উন্নতি। আয় বাড়বে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.১৫ টাকা৮৪.৮৯ টাকা
পাউন্ড১০৭.৭৯ টাকা১১১.৩৩ টাকা
ইউরো৯০.৯৫ টাকা৯৪.১৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা