শরীর ও স্বাস্থ্য

ইমিউনিটি বাড়ানোর ৫ টি ব্যায়াম

পরামর্শে রাজ্য যোগ কাউন্সিলের সভাপতি তুষার শীল।

শরীরে কোনও রোগজীবাণু প্রবেশ করলে শরীরের ভিতরের প্রতিরোধী ব্যবস্থা সেই রোগজীবাণুর সঙ্গে লড়াই শুরু করে দেয়। শরীরের ভিতরের এই প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে চিকিত্‍সা শাস্ত্র মতে বলে ইমিউনিটি।
আমাদের রক্তের শ্বেতকণিকা বা লিম্ফোসাইটে রয়েছে এই ইমিউনিটি বৃদ্ধিকারক যোদ্ধাদের বাস। উদাহরণ হিসেবে টি-সেল বা থাইমাস লিম্ফোসাইট বা বি সেল অথবা বোন ম্যারো লিম্ফোসাইট। এছাড়াও আছে এনকে সেল বা ন্যাচারাল কিলার সেল। এই ন্যাচারাল কিলার সেলই ভাইরাস ধ্বংসে বিশেষ কার্যকরী।
আবার এনকে সেল-এর কার্যক্ষমতা নির্ভর করে মেজর হিস্টো কম্পেটেবিলিটি কমপ্লেক্স নামে এক ধরনের প্রোটিনের উপর, যা রক্তের নিউক্লিয়াসযুক্ত কোষের ভিতরে থাকে। এই প্রোটিনটির নাম হিস্টোকম্পেটেবিলিট কমপ্লেক্স। এর তিনটি ভাগ। যথা এমএইচসি১, এমএইচসি২ এবং এমএইচসি৩। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন এই এমএইচসি১কে নিষ্ক্রিয় করতে পারলেই ন্যাচারাল কিলার সেল-এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকগুণ বেড়ে যায়। নিয়মিত ব্যায়াম, আসন, প্রাণায়াম, খেলাধুলায় এমএইচসি১ নিষ্ক্রিয় হয়। স্বাভাবিকভাবে এনকে সেল সহ টি সেল, বি সেলের কার্যক্ষমতাও বাড়ে। এই কারণেই যাঁরা নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তাঁদের সহজে ঠান্ডা সর্দি লাগে না। প্রশ্ন হল কোন কোন অতি সহজ ব্যায়াম করলে আমরা নানা ধরনের রোগব্যাধি দূরে রাখতে পারব। 

কী কী আসন করলে ভালো
শিবানন্দ ভ্রমণ প্রাণায়াম: এক্ষেত্রে চার পা শ্বাস নিতে নিতে পা ফেলতে হবে ও চার পা শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পা ফেলতে হবে। প্রতিদিন ১০ মিনিট হাঁটাই যথেষ্ট।
বিশ্বশ্রী মনোতোষ রায় ব্রিদিং এক্সারসাইজ: এক্ষেত্রে দুই পায়ের মাঝে ৮-১০ ইঞ্চি ফাঁক রেখে দাঁড়ান। এবার এক হাতের তালু দিয়ে আর এক হাত ধরে নিন। এবার শ্বাস নিতে নিতে দুটো কাঁধকে পিছন দিকে নিয়ে চলে যান এবং তার সঙ্গে সঙ্গে মাথাটাকেও পিছন দিকে হেলিয়ে দিতে হবে। এই বিষয়টিকে বলে স্ক্যাপুলাল রিট্র্যাকশন। এবার শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে মাথাটাকেও সামনে নিয়ে এসে থুতনিটাকে বুকে লাগিয়ে দিন আর কাঁধটাকেও সামনে নিয়ে এসে বুকের পেশিটাকে চেপে ধরুন। এর ফলে পেকটোরিয়ালস মেজর, পেকটোরিয়ালস মাইনর পেশি দু’টির উপর চাপ পড়বে। আবার শ্বাস নিতে নিতে কাঁধ মাথা পিছনে নিয়ে যেতে হবে ও আবার শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে সামনে নিয়ে আসতে হবে। এভাবে ১০ থেকে ১৫ বার করলেই মিলবে উপকার। 

চেয়ার সিটিং ওয়াকিং
যাঁরা সকালবেলা হাঁটতে পারছেন না বা ইচ্ছাই করে না, বয়স বেড়ে গিয়েছে, তাঁরা চেয়ার সিটিং ওয়াকিং করুন। একটা হাতল ছাড়া চেয়ারে বসুন। এবার শ্বাস নিতে নিতে একবার ডান পা পেটের কাছে তুলে নিয়ে আসুন। শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে নামান। ফের শ্বাস নিতে নিতে বাম পা তুলুন। বাম পা নামান। এইভাবে একবার ডান পা, একবার বাম পা- এইভাবে ব্যায়াম করুন।
তার সঙ্গে সঙ্গে হাঁটবার সময় আমরা যেভাবে হাতটা দোলাই সেইভাবে হাতটাকে দোলাতে হবে। চেয়ার সিটিং ওয়াকিং এভাবে করুন পাঁচ সাত মিনিট।

প্রাণায়াম
করতে পারেন সহজ দু’খানি প্রাণায়াম।
অনুলোম বিলোম: পদ্মাসনে বসতে পারলে ভালো না হলে হাতল ছাড়া চেয়ারে শিরদাঁড়া সোজা করে বসুন। এবার ডান হাতের অনামিকা দিয়ে বাম নাক চেপে ধরুন। ডান নাক খোলা রাখুন। খোলা পথ দিয়ে লম্বা শ্বাস নিন। এবার ডানহাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে ডান নাক চেপে ধরুন। ও বাম নাক থেকে অনামিকার চাপ সরান। বাম নাক দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। এবার বামদিকের নাকের রন্ধ্র দিয়ে শ্বাস নিয়ে বাম নাক বন্ধ করুন। ডান নাকের উপর থেকে চাপ সরিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। পাঁচ থেকে সাত মিনিট করুন এই শ্বাসের ব্যায়াম। কপালভাতি: এক্ষেত্রে বজ্রাসনে বা চেয়ারে বসে সামনের দিকে একটু হেঁট হয়ে গিয়ে ফুঁ দিন। ফুঁ দেওয়ার সময় তলপেট ও রেকটাম যতটা সম্ভব ভিতরে টানুন। আবার শ্বাস নিয়ে পেট স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরান। এইরকম ভাবে প্রথমে ১৫-২০ বার করুন। অভ্যেস হয়ে গেলে মিনিট দেড়েক দু’য়েক করুন।
লিখেছেন সুপ্রিয় নায়েক
মডেল : কোয়েল দাস
2d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কাজকর্মে উন্নতি। ব্যবসায় গতি বৃদ্ধি। ব্যবসা ক্ষেত্রে লগ্নিবৃদ্ধির প্রচেষ্টায় সাফল্য। সন্তান বিষয়ে কোনও সুখবর পেতে...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.৯৬ টাকা৮৬.৭০ টাকা
পাউন্ড১০৪.৫৩ টাকা১০৮.২৪ টাকা
ইউরো৮৬.৫১ টাকা৮৯.৮৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা