বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
শরীর ও স্বাস্থ্য

সুগার মাপার মেশিনের ইতিহাস

রক্তের গ্লুকোজ পরীক্ষা করা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য অত্যন্ত জরুরি। আর এই জরুরি কাজটিই সেরে ফেলা যায় স্রেফ এক ফোঁটা রক্ত ব্যবহারে। জানা যায় রক্তে শর্করার পরিমাণ কত। সে জন্য প্রয়োজন ব্লাড গ্লুকোজ মিটার নামের যন্ত্রটি। ব্লাড গ্লুকোজ মিটার থাকলে সহজে ঘরে বসে নিজেই কাজটি করতে পারেন আক্রান্ত রোগী। ছুটে যেতে হয় না ডাক্তারখানায়। তাই ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ ও জটিলতা প্রতিরোধে হাতের কাছে এই যন্ত্র রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখন এই যন্ত্র হাতের কাছে রাখা সহজ হলেও বিংশ শতকের শুরুর দিকেও মানুষ ভাবতেই পারতেন না ব্লাড গ্লুকোজ মিটারের কথা। ১৯২০- এর দশকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে আমূল পরিবর্তন হল। আবিষ্কার হয় ইনসুলিনের। ১৯২১ সালের ২৭ জুলাই ইনসুলিন আবিষ্কার করা হয়। আবিষ্কারক কানাডার দুই চিকিৎসাবিদ ফ্রেডেরিক ব্যান্টিং ও চার্লস বেস্ট। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এই আবিষ্কার যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসে। এরপরই ধীরে ধীরে গ্লুকোমিটারের চাহিদা বাড়তে থাকে। কারণ রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কত, তা জানা অপরিহার্য হয়ে ওঠে। 1963 সালে আর্নি অ্যাডামস ডেক্সট্রোস্টিক্স আবিষ্কার করেছিলেন। এটি একধরনের কাগজের স্ট্রিপ। রক্তে গ্লুকোজ স্তরের একটি আনুমানিক ধারণা দিতে পারত। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেই অনুমান ভুল হতো। তবে পরবর্তীকালে এই যন্ত্র থেকে প্রতিফলিত আলো পড়ে রক্তের গ্লুকোজ নম্বর নির্ণয় করা সম্ভব হয়। তৈরি হয় বিশ্বের প্রথম ব্লাড গ্লুকোজ মিটারে। আবিষ্কর্তা অ্যান্টন হুবার্ট ক্লেমেন্স। ১৯৭১ সালে এই যুগান্তকারী সৃষ্টি করলেন তিনি। প্রথম দিকে, যন্ত্রের উপর রক্তের এক ফোঁটা প্রয়োগের পরে একটি রঙ তৈরি হতো। তারপর মিটার নিজে থেকেই সংখ্যা নির্দেশ করত। তার মাধ্যমেই বোঝা যেত রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কত। এই মেশিনগুলি সে সময় কেবল ডাক্তারদের কাছেই পাওয়া যেত। প্রথম দিকে এই যন্ত্রে বেশ কয়েকটি অসুবিধা ছিল। প্রথমত যন্ত্রে নির্ভুল পাঠ আসত না। রক্তের পরিমাণও বেশি লাগত। আরও পরীক্ষা নিরীক্ষা চলল। ১৯৮০-এর দশকে বাজারে এল আধুনিক ব্লাড গ্লুকোজ মিটার। এতে কম রক্তের প্রয়োজন হতো। পাশাপাশি স্ট্রিপগুলি ছিল সস্তা। 
তবে তখনও বাড়িতে ব্লাড গ্লুকোজ মিটারের রমরমা শুরু হয়নি। তা হল ২০১০ সালের পর থেকে। ডায়বেটিস রোগীদের কাছে ব্লাড গ্লুকোজ মিটার রাখা অপরিহার্য হয়ে উঠল। সঠিক নির্দেশনা মেনে ভালো ব্র্যান্ডের ব্লাড গ্লুকোজ মিটার ব্যবহার করলে সঠিক ফলাফল পাওয়া যায়। তবে এখনও অনেক কারণে ব্লাড গ্লুকোজ মিটার ভুল তথ্য দেখায়। সেক্ষেত্রে চিন্তিত না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অবশ্যই কাম্য। 
লিখেছেন শান্তনু দত্ত
4Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন।  অর্থপ্রাপ্তির যোগ...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৫.৮৩ টাকা৮৭.৫৭ টাকা
পাউন্ড১০৪.০৫ টাকা১০৭.৭৪ টাকা
ইউরো৮৭.৩০ টাকা৯০.৬৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা