রাজ্য

চাহিদা বাড়ছে ছোট দুর্গা প্রতিমার

নিজস্ব প্রতিনিধি, রানাঘাট: শহর কলকাতায় থিমের পুজোর সংখ্যা যত বাড়ছে, ততই চাহিদা বাড়ছে ছোট দুর্গা প্রতিমার। যেগুলির উচ্চতা ১ ফুট থেকে সর্বোচ্চ চারফুট মাত্র। শান্তিপুরের কুমোরপাড়াগুলিতে সার সার ছোট দুর্গার সাবেকি ধাঁচের প্রতিমা তৈরি হচ্ছে জোরকদমে। শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, বর্তমানে এই ছোট দুর্গার চাহিদা বেড়েছে। বিশেষ করে কলকাতা এবং সংলগ্ন শহরগুলিতে। যা থিমের প্রভাব বলেই মনে করছেন শিল্পীরা। কারণ, মাটি ছাড়া অন্য উপকরণ দিয়ে তৈরি মূর্তি পুজো করা যায় না। থিমের পুজোগুলিতে দুর্গা প্রতিমা অধিকাংশই হয় ভিন্ন উপকরণে তৈরি অথবা সাবেকি ধাঁচের বদলে শৈল্পিক দৃষ্টিভঙ্গী থেকে নির্মিত যা পুজো করা যায় না। অগত্যা ছোট দুর্গা মূর্তি কিনে তা পুজো করাই একমাত্র উপায়। 
বছর কুড়ি আগেও পরিস্থিতিটা এমন ছিল না। পুজো মানে তখন প্রায় সবই সাবেকি। কেবল কোনও প্রতিমা ডাকের সাজে মাতৃরূপী, তো কোনও প্রতিমা গেরুয়া বসনে চণ্ডীরূপী। এরপর সময় যত এগিয়েছে পুজোর আড়ম্বর বেড়েছে। সাবেকি ছেড়ে থিমে ঝুঁকেছে কলকাতা এবং সংলগ্ন শহরের অধিকাংশ পুজো। রাজ্য সরকার অনুদান দেওয়ায় অনেক উদ্যোক্তাই থিমের পুজো করতে উৎসাহ পাচ্ছেন। ক্রমশ বদলাতে থাকা এই প্রবণতাতেই যেন নতুন করে প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠছে শান্তিপুরের কুমোরপাড়াগুলি। 
কলকাতার কুমোরটুলির অধিকাংশ পটুয়া যেহেতু থিমের মূর্তি তৈরিতেই ঝুঁকছেন, তাই এই ছোট দুর্গা প্রতিমার অধিকাংশ অর্ডারই চলে আসে শান্তিপুরে। যা নতুন করে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হওয়ার পথ দেখাচ্ছে এই জনপদের শিল্পীদের। যেমন শান্তিপুরের চৌগাছা পাড়ার মৃৎশিল্পী গৌর পাল বলেন, থিমের ঠাকুর প্রায় কেউই পুজো করেন না। তাই এই ছোট ঠাকুর নিয়ে যান তাঁরা। ইদানীং প্রচুর কাজ বেড়ে গিয়েছে। কুমোরটুলির অধিকাংশ অর্ডার চলে আসে এদিকে। স্বাভাবিকভাবেই আয়ও বেড়েছে। নতুন প্রজন্ম নেহাত এই পেশার দিকে আসছে না, তাই কর্মীর সংখ্যা সামাল দেওয়ার মতো হচ্ছে না। না হলে এটা বলাই যায়, কেউ কলকাতার বাজার থেকে ঠিকঠাক ভাবে এই ছোট দুর্গার অর্ডার তুলতে পারলে আর্থিক স্বচ্ছলতা সম্ভব। কারণ বড় ঠাকুরের মতো প্রচুর কাঁচামাল লাগে না। অল্প পরিসরে অনেক কাজ করা সম্ভব। প্রসঙ্গত, প্রায় তিন মাস আগে থেকে এই ধরনের প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করেছেন গৌরবাবু। এখন সার সার ছোট দুর্গা বাক্সবন্দি করার কাজ চলছে। সেইসঙ্গে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ তো রয়েছেই। আশ্বিনের প্রাক্কালে চূড়ান্ত ব্যস্ততা তাঁর গোলায়। শেষবেলায় তৃপ্তির সুরে শিল্পী বলেন, এক সময় তো ভেবেছিলাম মৃৎশিল্পের হাত ধরে হয়তো সারাটা জীবন কাটাতে পারব না। এখন এই কাজ নতুন করে আসা জোগাচ্ছে। এবার পুজোয় পরিবারকে অনেক কিছু কিনে দিতে পারব। -নিজস্ব চিত্র
1Month ago
কলকাতা
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

ধর্মকর্মে সক্রিয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.১৫ টাকা৮৪.৮৯ টাকা
পাউন্ড১০৮.২৫ টাকা১১১.৮০ টাকা
ইউরো৯০.৭১ টাকা৯৩.৮৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা