চারুপমা

• মডেল: ধ্রুবজ্যোতি সরকার, বিনতা চক্রবর্তী • মেকআপ: বিউটি সাহা, আশিষ মণ্ডল 
• ছবি: সুহাশিষ • পোশাক: রাহুল সর্দার • আয়োজক: পিয়ালী সেন (বং কানেকশন স্টুডিও)
• মডেল: আদিত্য চৌধুরী • মেকআপ: অনীতা সাধুখাঁ • পোশাক: শ্রীগোপাল পাঞ্জাবি মহল, 
• যোগাযোগ: ৯৮৩৬৫৯২৫৪৯ • ছবি: প্রদীপ পাত্র • গ্রাফিক্স: সোমনাথ পাল

ভুরুর ধনুক বাঁকা

 ‘যখন রাগ করে সে তাকায় আর ভুরুর ধনুক বাঁকায়... কী মিষ্টি দেখায় তাকে!’ ছবির নাম ‘নায়িকার ভূমিকায়’। অনুপ ঘোষালের গাওয়া এ ছবির জনপ্রিয় গানটির সূত্র ধরে বলি, ভুরুর ধনুক বাঁকা না সোজা হলে কন্যেদের মানাবে তা কিন্তু রীতিমতো ভেবেচিন্তে দেখার বিষয়। কারণ নারীর সুন্দর মুখের রহস্য শুধু কাটা কাটা চোখ বা নাকে লুকিয়ে থাকে না। বরং তাতে থাকতে হয় আরও কিছু ‘এক্স ফ্যাক্টর’। ফ্যাশনমঞ্চে সুন্দর মুখের নম্বর কাটা যায় যেসব কারণের জন্য, তার অন্যতম একটি নিখুঁত ভ্রু বা আইব্রাও। ভাবছেন, এ আর এমন কী! স্যালোঁয় যাও আর প্রয়োজন বুঝে আইব্রাও সেট করিয়ে নাও, ল্যাঠা চুকল। তাহলে বলব, ভুল ভাবছেন। সব মুখে যেমন সবরকমের হেয়ার কাট মানায় না, তেমনই মুখভেদে আইব্রাও-ও বদলায়।  মুখের আকার-আকৃতির উপর নির্ভর করে ভ্রুয়ের ধরন। 
ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, মিশরের রানি নেফারতিতির কাছে ঘন কালো চওড়া ভুরুই ছিল ক্ষমতার প্রতীক। সে ইতিহাস পেরিয়ে পাঁচের দশক থেকে ভুরুর আকার গড়ন নিয়ে ফ্যাশন দুনিয়া মাথা ঘামাতে শুরু করে। ভারতীয় সিনে জগতে সে সচেতনতা এনে দেন দেবিকারানি। ফ্ল্যাট সরু ভ্রু দিয়েই বাজিমাত করতেন তিনি। তাতেই ছিল শিল্পের ছোঁয়া। পরবর্তীকালে ছয়ের দশকে সুচিত্রা সেন আনলেন লো-আর্চ ভুরুর সৌন্দর্য। ঠিক তারই পরের দশকে শর্মিলা ঠাকুরকে দেখা গেল অ্যাঙ্গুলার আর্চ নিয়ে। এক একজন নায়িকা এসেছেন আর তাঁদের ভ্রু-সম্মোহনে ভেসে গিয়েছে তামাম দর্শককুল।  সেটাই হয়ে উঠেছে ‘স্টাইল’। রূপবিশেষজ্ঞ কেয়া শেঠের মতে, ‘আইব্রাও হল মুখের ফ্রেম। আজকাল খুব কায়দার ভুরু ইন নয়। বরং মুখের গড়ন বুঝে ছিমছাম ভুরুই রাখুন। নাকের পাটা থেকে সোজা কোনও পেনসিল ধরলে কপালের যে বিন্দু থেকে ভুরুকে পাচ্ছি, সেটাই ভুরুর স্টার্টিং পয়েন্ট। আবার যেখানে চোখ শেষ হচ্ছে, সেটা হবে এন্ড পয়েন্ট। কেউ এক্সটেন্ডেড কিছু চাইলে এই এন্ড লাইন সামান্য টেনে দিতে পারেন। এই সহজ নিয়ম মেনেই হবে ভুরুর সাজ।’ 


কেমন মুখ, কোন ভুরু

গোল মুখ: মুখ গোল হলে ভুরু একেবারেই গোলাকৃতি হবে না। বরং তখন ভুরুতে হাই আর্চ আনুন। মুখের গড়ন ভাঙবে, দেখতেও ভালো লাগবে।

লম্বা মুখ: লম্বাটে মুখের সঙ্গে অনেকে আর্চ আকারের ভুরু রাখেন। তাতে মুখকে আরও বেশি লম্বা দেখায়। লম্বা মুখ হলে বরং বেছে নিন একটু ফ্ল্যাট আকারের ভুরু। তবে ভুরুকে একটু এক্সটেন্ড করে দিন। তাতে মুখের লম্বাভাব কমবে, চোখ ঢুকে গিয়েছে এমনও মনে হবে না।  

পানপাতা মুখ: অনেকে ভাবেন, এমন মুখে সব ভুরুই মানায় বোধহয়। ফ্যাশন বিশেষজ্ঞরা কিন্তু তা মানছেন না। তাঁদের মতে, এই ধরনের মুখের আকার ছোট না বড়, তার উপর নির্ভর করবে ভুরু কেমন হবে। ছোট মুখ হলে একটু চড়া আর্চ করতে পারেন। এদের কপালের অংশ একটু চওড়া হয়। তাই হাই আর্চ ভালো লাগে। হাই আর্চ পছন্দ না হলে লাইট আর্চও রাখতে পারেন।

চৌকো ও ছ’কোনা মুখ: এই ধরনের মুখে চোয়ালের দিকটা তীক্ষ্ণ হয়। চৌকো মুখে চোয়ালের হাড়ও সামান্য উঁচু থাকে অনেকের। হীরকখণ্ডের মতো ছ’কোনা মুখেও চোয়ালের আকার স্পষ্ট থাকে। এমন মুখ থাকলে ভুরু রাখুন গোলাকৃতি তথা রাউন্ড শেপের। তাতে মুখে খানিক নরমভাব আসে।

ডিম্বাকৃতি: এমন মুখের অধিকারীদের সবরকম ভুরু মানায়। কখনও ফ্ল্যাট, কখনও আর্চ কখনও আবার একটু নীচের দিকে ঝুলে থাকা শেপের ভুরু রাখতে পারেন। তবে ভুরু নিয়ে খুব বেশি পরীক্ষানিরীক্ষা না করাই ভালো। এমন মুখে যেহেতু সব ভুরু মানায়, তাই প্রাকৃতিকভাবে যে ভুরু পেয়েছেন, তাকেই সুন্দর করে বজায় রাখুন। 

যত্নে থাক ভ্রুযুগল
• নিখুঁত ভুরুর শেপ পেতে প্রথমে আইব্রাও পেন্সিল দিয়ে ভুরু এঁকে নিন। সেই অঙ্কনবিন্যাস অনুযায়ী টুইজার দিয়ে তুলে দিন আশপাশের বাড়তি রোম।

• ভুরুর রোম তোলার আগে জায়গাটিকে গরম জলে ধুয়ে নিলে আইব্রাও তোলার সময় ব্যথা অনেক কম হবে।

• চুলের রঙের সঙ্গে ভুরুর রং এক রাখুন। চুলের চেয়ে এক শেড গাঢ় হবে ভুরুর রং। দরকারে জেল, পাউডার ও স্টিক এই তিন ধরনের ফিলার রং ব্যবহার করুন ভুরুর জন্য।

• ঘন ঘন আইব্রাও থ্রেডিংয়ের ভুল নয়। এতে ভুরু ক্রমে পাতলা হয়ে যায়। 

• গরম জলে ভুরু ধুয়ে অলিভ অয়েল ও ক্যাস্টর অয়েলের মিশ্রণ মাখিয়ে রাখুন সারা রাত। ভুরুর ঘনত্ব বাড়বে।

• আইব্রাও পেন্সিল দিয়ে বেশি ঘষলে ভুরু আরও সরু হবে। তাই একান্তই ব্যবহার করতে হলে পেন্সিলের শিসের মধ্যভাগ দিয়ে হালকা হাতে টানুন।

• নিজে নিজে আইব্রাও প্লাক নয়। ভরসা করুন স্যালোঁর বিশেষজ্ঞকে। 
19Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৬ টাকা৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড১০৬.৪৬ টাকা১০৯.১২ টাকা
ইউরো৮৯.৭৬ টাকা৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা