পিতার স্বাস্থ্যহানী হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
ইতিমধ্যেই প্রায় দেড় লক্ষ পড়ুয়া রাজ্যের চালু করা স্কলারশিপের সুবিধা পেয়েছেন। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রমেই তার পরিধি বাড়িয়েছে রাজ্য সরকার।
জানা গিয়েছে, পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্তরে ১ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়ে থাকে। তবে এখানেই শেষ নয়। আর্থিকভাবে অনগ্রসর পরিবারের মেধাবী ছেলে-মেয়েদের কথাও ভেবেছে রাজ্য সরকার।
শুরু হয়েছে স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট কাম মিনস স্কলারশিপ স্কিম। রাজ্যের যে কোনও প্রতিষ্ঠানে পাঠরত পড়ুয়ারাই এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে এই স্কলারশিপ পেয়ে সংশ্লিষ্ট কোর্সে ভর্তি হওয়ার পর কেন্দ্র বা রাজ্যের চালু করা অন্য কোনও বৃত্তি বা স্টাইপেন্ডের জন্য ওই ছাত্র-ছাত্রীরা আর আবেদন করতে পারবেন না।
কিন্তু রাজ্যের অনেকেই এখনও পর্যন্ত জানেন না যে কারা বৃত্তিতে আবেদনের জন্য যোগ্য এবং কী ভাবেই বা তার জন্য আবেদন করতে হয়। তবে আর চিন্তা নেই। বৃত্তি পাওয়ার আবেদন পদ্ধতির খুঁটিনাটি জানাব আমরা। তাহলে আসুন প্রথমে জেনে নিই কারা আবেদনের যোগ্য। যে সকল ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাস ইলেভেন, স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং ডিপ্লোমা স্তরে প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছেন তাঁরাই এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ওই পড়ুয়াদের রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ, মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদ বা রাজ্যের কোনও স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করতে হবে। পাশাপাশি ওই ছাত্র-ছাত্রীদের রাজ্যেরই কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়তে হবে। থাকতে হবে নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও। আবেদনকারীদের পারিবারিক আয় বার্ষিক আড়াই লক্ষ টাকার বেশি হওয়া চলবে না। এছাড়াও শিক্ষার স্তর অনুযায়ী বৃত্তির জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে রয়েছে বিশেষ কিছু নিয়মকানুন। যেমন উচ্চমাধ্যমিক স্তরের ক্ষেত্রে, যে সকল পড়ুয়ারা একাদশ শ্রেণীতে পাঠরত এবং মাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষায় ৭৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করেছেন তারা আবেদন করতে পারবেন। বৃত্তি মঞ্জুর হলে প্রতি মাসে মিলবে এক হাজার টাকা। স্নাতকস্তরের ক্ষেত্রেও রয়েছে এমনই কিছু নিয়ম। ৭৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর যাঁরা সায়েন্স, কমার্স, আর্টস, ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিক্যাল এবং ইউজিসি কর্তৃক স্বীকৃত পেশাদারি কোর্সের প্রথম বর্ষে পাঠরত তাঁরা আবেদনের যোগ্য। অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল অব টেকনিক্যাল এডুকেশন স্বীকৃত ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স, মেডিক্যাল কোর্সের জন্য মাসিক বৃত্তি ৫ হাজার টাকা। সায়েন্স ও ইউজিসি স্বীকৃত পেশাদারি কোর্সের ক্ষেত্রে মাসে দেড় হাজার টাকা। আর্টস এবং কমার্সের জন্য মাসিক ১ হাজার টাকা দেওয়া হবে। পলিটেকনিকে যারা পাঠরত তাঁরাও আবেদন করতে পারবেন। ৭৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিক পাশ করার পর পলিটেকনিকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রথম বর্ষে পাঠরতরা আবেদনের যোগ্য। এক্ষেত্রে বৃত্তির পরিমাণ মাসে দেড় হাজার টাকা। স্নাতকোত্তর স্তরের ক্ষেত্রে আবেদনকারীদের অনার্সে ৫৩ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার ক্ষেত্রে পেতে হবে ৫৫ শতাংশ নম্বর। কেবলমাত্র প্রথম বর্ষে পাঠরতরাই আবেদন করতে পারবেন। স্নাতকোত্তর স্তরে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য মাসিক ৫ হাজার টাকা, সায়েন্স, পেশাদারি কোর্স সহ অন্যান্য শাখার ক্ষেত্রে মাসিক আড়াই হাজার টাকা, আর্টস ও কমার্স শাখার জন্য মাসিক ২ হাজার টাকা করে বৃত্তি দেওয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তি বের হওয়ার পর ছাত্র-ছাত্রীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। www.svmcm.wbhed.gov.in -এ গিয়ে রেজিস্ট্রশন করতে হবে। প্রার্থীদের একটি বৈধ ই-মেল আইডি থাকা আবশ্যক। কোন শাখার জন্য আবেদন করছেন তা অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। আবেদনপত্র যথাযথ ভাবে পূরণ করে সাবমিটের পর প্রিন্ট আউট নিয়ে নেবেন। আবেদনের পদ্ধতি সম্পর্কে বিশদ জানার জন্য ওয়েবসাইট দেখতে পারেন। চাইলে ইমেলও করতে পারেন helpdesk.svmcm-wb@gov.in-এ। এছাড়া আগ্রহীরা সরাসরিও যোগাযোগ করতে পারেন হেল্পলাইন নম্বরে। সেই নম্বরটি হল ১৮০০ ১০২ ৮০১৪।