পিতার স্বাস্থ্যহানী হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
ইন্টিরিয়ার ডিজাইনিংয়ে দক্ষ হওয়ার জন্য কিছু বিষয়ের দিকে নজর দিতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে টেক্সটাইল, মেটেরিয়াল, কালার, স্পেস প্ল্যানিংয়ের বিষয়গুলি। জানতে হবে টুডি এবং থ্রিডিয়ের মতো সফটওয়্যার, বিল্ডিং ইনফরমেশন মডেলিং (বিআইএম)। এর সঙ্গে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা সম্পর্কিত বিষয়গুলিও বিশদে জানতে হবে।
এখন ইন্টিরিয়র ডিজাইনাররা দলবদ্ধভাবে কাজ করছেন কোনও ফার্মে, আর্কিটেক্টের সঙ্গে, আসবাবপত্রের ডিলারের সঙ্গে। এছাড়াও বিজনেস হাউস বা ব্যক্তিগত বাড়িতেও কাজ করছেন। এইসব জায়গায় কাজের জন্য প্রয়োজন হচ্ছে আর্কিটেকচার, গ্রাফিক্স, ডিজাইন, ডেকরেটিভ আর্টস, টেক্সটাইল, ফার্নিচার, লাইটিং ডিজাইনের সঠিক মূল্যায়ন।
ইন্টিরিয়ার ডেকরেটার এবং ইন্টিরিয়ার ডিজাইনার দুটি ভিন্নধর্মী পেশা। রং, ফেব্রিকস, টেক্সটাইল নিয়ে যাঁদের আকর্ষণ রয়েছে এবং সেগুলি সঠিক ব্যবহার করতে পারেন তাঁরাও ইন্টিরিয়ার ডেকরেটার হতে পারেন। তবে এই বিষয়গুলি নিয়ে পড়ার গুরুত্বই আলাদা। সেখানে বিভিন্ন মিডিয়ামের কাজ যেমন হাতে কলমে শেখা যায়, আবার বিভিন্ন জায়গার বিভিন্ন রকমের কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য ব্যবহারিক জ্ঞানও অনেক বেশি থাকে। ইন্টিরিয়ার ডিজাইনিংয়ের পাঠক্রমের মধ্যে থাকে বিল্ডিংয়ের কাঠামো সংক্রান্ত বিষয়, বিল্ডিং কোড, এথিক, সাইকোলজি, কম্পিউটার এডেড ড্রয়িংসহ বিভিন্ন বিষয়। বিষয়টি নিয়ে কাজের জগতে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য প্রচেষ্টা ছাড়াও দক্ষতা খুবই প্রয়োজন। এই দক্ষতার জন্যই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত পড়াশোনার প্রয়োজন রয়েছে। নতুন টেকনোলজি, নতুন ধরনের আসবাব, ঘরের ভিতরের গাছগাছরা সম্পর্কেও ভালো জ্ঞান থাকতে হবে। এছাড়াও স্থানীয় নিয়মকানুন সম্পর্কেও ধারণা থাকতে হবে। অনেক সময়ই বেশ কিছু আকর্ষণহীন বিষয়েও জ্ঞানের প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে রয়েছে বাড়ির মধ্যের জল সরবরাহর বিষয়, ইলেক্ট্রিকের ব্যবহারের মাত্রা নির্ণয়, সেই অনুযায়ী বাড়ির দেওয়ালের গঠন ইত্যাদি।
ইন্টিরিয়ার ডিজাইনিং নিয়ে মৌলনা আবুল কালাম আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজ থেকে তিন বছরের বিএসসি করে নেওয়া যায়। যে কোনও বিষয়ে উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল পাশ করলে আবেদন করা যায়। এছড়াও বিষয়টির উপর ডিপ্লোমা, সার্টিফিকেট কোর্স করারও সুযোগ রয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে। দেশের মধ্যেও কিছু বড় বড় প্রতিষ্ঠান ইন্টিরিয়ার ডিজাইনিং নিয়ে চার বছরের কোর্স পড়িয়ে থাকে। এসব জায়গায় সর্বভারতীয় পরীক্ষায় বসতে হয়।
পড়া শেষে যে ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম–
আর্কিটেকচার ফার্মে কাজের সুযোগ রয়েছে, হাসপাতালের মতো জায়গায় কাজ করার সুযোগ থাকে, টাউন বা সিটি প্ল্যানিংয়ের কাজ পাওয়া যায়, হোটেল এবং হেলথ রিসর্টে ভালো কাজের পরিবেশ রয়েছে, ফিল্ম এবং প্রোডাকশ হাউসে, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিতে কাজের সুযোগ রয়েছে।