ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
সেমিনারে চিকিৎসকরা জানান, কোভিড ১৯ আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে, চিকিৎসার তুলনায় প্রতিরোধই শ্রেয়। তাই নাগরিকদের জীবনযাপনে বাড়াতে হবে সু’অভ্যেস। এভাবেই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারবেন তাঁরা। ফলে কোভিড ১৯ হলেও তার ভয়ঙ্কর প্রভাব থেকে রক্ষা পাবে শরীর। কারণ, দেখা গিয়েছে, কোভিড ১৯ হার্টের উপরেও যথেষ্ট খারাপ প্রভাব ফেলে। এমনকী হার্টের সমস্যা দেখা দেওয়াও আশ্চর্য নয়।
ডাঃ সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, দেশের বহু প্রান্তিক এলাকায় এখনও অত্যাধুনিক চিকিৎসা পরিকাঠামো গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। এমনকী অসংখ্য দুঃস্থ মানুষের পক্ষে হার্টের রোগের চিকিৎসার খরচ বহন করাও অসম্ভব ব্যাপার। তাই হার্ট অ্যাটাক থেকে প্রাণহানি রুখতে সচেতনতা বৃদ্ধিই মূল হাতিয়ার।
অন্যান্য চিকিৎসকরাও বারবার আগাম হার্টের রোগ বোঝার জন্য উপসর্গ চেনার উপর জোর দেন। এই কারণে চিকিৎসাব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের সঙ্গে সাধারণ মানুষকেও প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তাব পেশ করা হয়। ডাঃ দত্ত জানান, হার্টের রোগে প্রাণহানির পিছনে অন্যতম কারণ হল হাইপারটেনশন। উচ্চ রক্তচাপ বাড়িয়ে তোলে ইস্কেমিক হার্ট ডিজিজ, কার্ডিয়াক ফেলিওর, স্ট্রোক, রেনাল ডিজিজ, পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ সহ অন্যান্য অসুখ। দেখা গিয়েছে এদেশে শহরের ৩৩ শতাংশ মানুষ এবং গ্রামের ২২ শতাংশ মানুষ হাইপারটেনশনের সমস্যায় ভুগছেন। তাঁর মতে, সঠিক চিকিৎসা ও অসংযমী জীবনযাপনে রাশ টেনে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। তাহলেই কমবে বেশ কিছু হার্টের অসুখ।