বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
ক্যালেন্ডার এখনও ফেব্রুয়ারি ছোঁয়নি। অথচ বাড়ছে তাপমাত্রা। এ বছরের মতো ইনিংস শেষ করার পথে এগিয়ে চলেছে সাধের শীত। তাই মনের দুঃখকে সঙ্গী করেই লেপ কম্বল তুলে রাখার বন্দোবস্ত শুরু করে দিয়েছেন অনেকে। তবে এমন জটিল আবহাওয়ায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কয়েকগুণ বেড়ে যায় বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসা মহল। তাই একটু সতর্ক থাকতেই হবে—
সর্দি, কাশি, জ্বর— এই সময় অ্যালার্জি থেকে সর্দি, কাশি, জ্বর হওয়া খুব সাধারণ। এক্ষেত্রে নাক থেকে জল গড়ায়। চোখ লালও হতে পারে। মাথা ভার হয়ে আসে।
আবার ভাইরাল ফিভার থেকেও উপরের প্রায় সমস্ত সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কারণ এই আবহাওয়ায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটা কমে যায়। ফলে সহজেই ভাইরাস আক্রমণ করে বসে শরীরকে।
এই সমস্যায় প্রাথমিকভাবে প্যারাসিটেমল ট্যাবলেট খেতে পারেন। একদিনের বেশি জ্বর থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিজে থেকে কোনও অ্যান্টিবায়োটিক বা কাশির সিরাপ খাবেন না।
পেটের নানা সমস্যা— ২ থেকে ৩ বারের বেশি পাতলা পায়খানা হলে ওআরএস খান। সহজ পাচ্য খাবার খেতে হবে। অম্বল, চোঁয়া ঢেকুর, বদহজমের সমস্যায় বেশি করে জলপান করুন। সমস্যা না কমলে, অ্যান্টাসিড খেতে পারেন। রোগের তীব্রতা বাড়লে সব ক্ষেত্রেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
হাম, বসন্ত— এই দু’টি রোগের প্রকোপই এই সময় বাড়ে। তাই একটু সচেতন থাকতে হবে। বিশেষত, বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বেশি সতর্কতা দরকার। হামের এখন টিকা পাওয়া যায়। তাই খুব সহজেই হাম রোগকে প্রতিরোধ করা সম্ভব।
বর্তমানে চিকেন পক্সের টিকা পাওয়া যাচ্ছে। তবে কোনও কারণে চিকেন পক্স আক্রান্ত হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এখন এই রোগের ভালো চিকিৎসা রয়েছে।
মশাবহিত রোগ— শীত শেষ হতে না হতেই চারিদিকে বাড়বে জলের ব্যবহার। জলের ব্যবহার বাড়লে জল জমার আশঙ্কাও বাড়ে কয়েকগুণ। যত্রতত্র তৈরি হবে মশার আঁতুড়ঘর। বিশেষত, এই সময়ে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ে অনেকটাই। তাই মশারি টাঙিয়ে শোয়া, আশপাশে জল জমতে না দেওয়ার বিষয়ে সচেতন হন। আর অবশ্যই জ্বর ১ দিনের বেশি থাকলে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে দেরি করবেন না।
একনজরে— শীত এখনও পুরোপুরি চলে যায়নি। তাই শীত কাপড়ের ব্যবহার চালিয়ে যেতে হবে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস সহ অন্যান্য ক্রনিক সমস্যায় ভোগা রোগী অবশ্যই নিজের ওষুধ নিয়ম করে খেয়ে চলুন শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে নিয়মিত ইনহেলার নিতে হবে ফাস্টফুড ও মিষ্টিজাতীয় খাদ্য এড়িয়ে চলুন প্রতিদিন পরিমিত জলপান করবেন।