বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
যে কোনও বিচ্ছেদই দুঃখজনক। বিচ্ছেদ মানেই প্রাথমিকভাবে আবেগের সুনামি। এই বিপর্যয়, এই প্রবল হতাশার মুহূর্তে নিজেকে সামলানোটাই বড় কথা। কারণ এই স্বচ্ছ চিন্তাভাবনা করা সম্ভব হয় না। আবেগের স্রোতকে বইতে দিতে হবে হবে অন্য খাতে। কারণ নদীতে বাঁধ দিলে একসময় প্রবল চাপে সেই বাঁধ ভেঙে যায়। তাই বাঁধ নয়— মনের আবেগের বয়ে যাওয়ার জন্য চাই— শাখা নদী। এই কথাগুলো বলা যতটা সহজ— করে দেখানো কিন্তু ততটাই কঠিন। তবু সেই কঠিন কাজটাই করতে হবে আমাদের।
প্রশ্ন হল কীভাবে?
রইল উত্তর—
বেশি করে এক্সারসাইজ করুন। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে— মাত্রাতিরিক্ত আবেগের স্রোত সামাল দিতে এক্সারসাইজের জুড়ি নেই!
একা একা থাকবেন না। খুব কাছের কোনও বন্ধুর সান্নিধ্যে থাকুন বেশি বেশি করে। বন্ধুটি শুধু স্কুল, কলেজ, পাড়া বা অফিসের না হলেও চলবে। বন্ধুটি বা কাছের মানুষটি আপনার বাবা কিংবা মা হতে পারেন। তাকে সবটুকু খুলে বলুন। মন শান্ত হবে। এছাড়া কাছের মানুষটি আপনাকে সঠিক পরামর্শ দেবেন এবং কোনওরকম উল্টোপাল্টা সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত রাখবেন।
কান্না পাচ্ছে? কাঁদুন। কিন্তু সকলের সামনে নয়। নিভৃতে। কান্না কোনওরকমভাবেই ভীরুতা বা কাপুরুষতার লক্ষণ নয়। কাঁদলে আমাদের প্যারাসিমপ্যাথেটিক স্নায়ু উন্নীপিত হয়। এই স্নায়ু মন শান্ত রাখে।
হোয়াটস অ্যাপ, ফেসবুক, ট্যুইটার, মেসেঞ্জার থেকে দূরে থাকুন। কারণ প্রথমত অন্যান্য যুগলের পোস্ট করা ছবি দেখে নিজের কষ্ট হবে। দ্বিতীয়ত নিজের মানসিক এবং বিচ্ছিন্ন সম্পর্কের ব্যাপারে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টেটাস দিতে ইচ্ছে করবে। ইচ্ছে করবে অন্যের সহানুভূতি পেতে! কিন্তু একটা বিষয় জেনে রাখুন। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে অনেকরকম কথা বলবে। কিন্তু সত্যি পাশে থাকবে কজন? সম্ভবত এ. প্রশেন উত্তর আপনি নিজেও জানেন। তাছাড়া অন্য ব্যক্তির বক্তব্য ক্ষতে মলম দেওয়ার বদলে যন্ত্রণা উস্কে দিতে পারে। তাই বিচ্ছেদের পর সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকুন।
গান শুনুন। ভালো গান শুনুন। মন হালকা হবে।
পারলে ডাইরি লিখুন। নিজের আবেগের কথা লিখে ফেলুন। মন শান্ত হবে অনেকটা।
কোথাও কর্মরত থাকলে ছুটি নেবেন না। কাজ চালিয়ে যাবেন। এই সময়টায় নিজেকে ব্যস্ত রাখা খুব জরুরি।
কটা দিন পরে, মন একটু শান্ত হয়ে গেলে তারপর ভাবুন— এই সম্পর্কটা থেকে আপনি কী শিখলেন? আপনার নিজের কোনও ভুল ছিল না তো? নিজের ব্যাপারে বিচার-বিশ্লেষণ করাও কিন্তু একজন মানুষের পরিণতমস্তিষ্ক হওয়ার লক্ষণ।
এবার নিজেকে প্রশ্ন করুন— আপনি কতটা পরিণত মস্তিষ্ক?
সুপ্রিয় নায়েক
পরামর্শে— সল্টলেক মাইন্ডসেট-এর কর্ণধার মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ দেবাঞ্জন পান।