Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

অচেনা অযোধ্যা
সমৃদ্ধ দত্ত

সরযূ নদীর নয়াঘাটে মাঝেমধ্যেই দেখা যাবে এক টানাপোড়েনের দৃশ্য। গোন্দা জেলার মানকপুর গ্রামের রমাদেবী নিজের মেয়ের সামনে হাতজোড় করে বলছেন, ‘আমাকে ছেড়ে দে রে..আমি কয়েকদিন পর আবার চলে যাব..সত্যি বলছি যাব।’ মেয়ে জানে মায়ের কথার ঠিক নেই। আজ বিশ্বাস করে ছেড়ে দিলে, সত্যিই কবে যাবে, কোনও ঠিক নেই। প্রায় দু’ মাসের বেশি হয়ে গেল যায়নি। জোর করেই নিয়ে যেতে হয়। তবে হ্যাঁ, কখনও সখনও নিজে থেকেই বাড়ি যান রমাদেবী। মেয়ে জামাই নাতি নাতনির সঙ্গে সময় কাটান। সরযূ নদীর ওপার হল গোন্দা জেলা। কে বলেছে শুধুই উদাসীন পুরুষ একদিন ভরভরন্ত সংসার ছেড়ে বেরিয়ে পড়ে সন্ন্যাসীর মতো? নারীরাও পড়েন। এই তো রমাদেবী। মেয়ের বিয়ে দেওয়ার পরই সরযূ নদী পেরিয়ে অযোধ্যায় চলে আসেন। ২৪ বছর ধরে লক্ষ্মণ ঘাটে থাকেন। অন্য অনেক ভিক্ষুকের সঙ্গে। রমাদেবীর ভিক্ষা করার দরকার নেই। সংসারে তাঁর আদর আছে। মেয়ে জামাই আছে। সেখানে কেউ দুর্ব্যবহার করেছে এমনও নয়। বরং রাখতেই আগ্রহী। স্বামীর রেখে যাওয়া জমি আছে সামান্য। সেখানে চাষ হয়। তা হলে কেন এই ভিক্ষার জীবন? ধবধবে ফর্সা, কপালে চন্দনের তিলক আঁকা হাতে জপমালা হাতে থাকা রমাদেবী সরযূ নদীর দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘নেশা। বহুকাল আগে স্বামীর হাতে ধরে প্রথম সরযূতে স্নান করেছিলাম। সেই থেকে এই নদীটা আমার নেশা। ঠিক করেছিলাম একদিন চিরকালের জন্য এখানেই চলে আসব। সব কর্তব্যই তো সংসারে করেছি। তারপর যখন একা হলাম, চলে এলাম। আর ভিক্ষান্ন খাওয়ার জন্য লজ্জার কী আছে? এ তো সরযূ মাতার দান। ঠিক আমাকে দেখে তোমার মধ্যে চাল কিংবা কিছু টাকা দেওয়ার কথা যখন মনে হবে, জানবে ওই সময়টায় তোমার মধ্যে সরযূ মাতাই ঢুকে পড়েছে। এই নদীর কাছে কেউ অনাহারে থাকে না জানো তো? এই যে একটু আগে তুমি আমাকে ১০ টাকা দিলে, তখন তোমার মধ্যে সরযূ মাতা ঢুকে পড়েছিল বুঝলে! তোমার প্রাণটা শান্ত হল, তাই না!’ রমাদেবী বললেন, ‘মাঝেমধ্যেই মেয়ে জামাই নিতে চলে আসে। আমি কখনও যাই, কখনও যাই না। বেশি না যাওয়ার কারণ কী জানো তো? যাদের সঙ্গে এই লক্ষ্মণ ঘাটে থাকি, তাদের অনেকের সংসারে কেউ নেই, আদরও নেই। আমার যে সব আছে। ওরা আমাকে দূরের মানুষ ভাববে। কিন্তু আমি তো ওদেরই মতো হতে চা‌ই। আমাদের একটাই আশ্রয়। সরযূ মাতা! শীত, গরম, বর্ষা, রাত, দিন, ভোর। কতরকম রূপ একই নদীর। উদাসীন আশ্রমের ভজন আর সরযূ মাতার বাতাস। এর কাছে সংসারের সুখ কিছুই না, বুঝলে!’

‘একটাই সমস্যা বুঝলেন তো! ভালো কারিগর পাওয়া যায় না। আসে, আবার চলে যায়। অথচ মানুষের ভিড় লেগেই থাকে। কারণ বাঙালি মিষ্টির খ্যাতি তো দেশজুড়ে।’ চিন্তিত সুফলচন্দ্র কৈরী। সিনেমার চিত্রনাট্যের চিরাচরিত একটি জনপ্রিয় ফর্মুলা হল, নিরন্ন গরিব থেকে জীবনসংগ্রাম করে সমাজে উচ্চতম আসনে স্থান পাওয়া। সুফলচন্দ্র কৈরীর কাহিনিটা অনেকটাই ওরকম। পুরুলিয়ার পুকুরবেড়িয়া গ্রাম থেকে ১৪ বছর বয়সে বেরিয়ে গেলেন সুফল। কারণ সংসারের দারিদ্র। এক গ্রামবাসী বলেছিলেন ধানবাদে নাকি কাজ পাওয়া যায়। সোজা ধানবাদ। একটি বাড়িতে পরিচারকের কাজ দিয়ে শুরু হল সুফলচন্দ্রের লড়াই। একদিন এক কোলিয়ারির ম্যানেজার ঢুকিয়ে দিলেন কয়লা খনিতে। দিনের পর পর মাসের পর মাস ১০ হাজার ফুট নীচে কয়লা সাম্রাজ্যে অন্য জীবনে ঢুকে পড়লেন সুফল। ছেলেটির মধ্যে খারাপ অভ্যাস নেই। চুরি চামারি করে না, খারাপ নেশা নেই, ভদ্র ব্যবহার। অতএব শুধুই কোলিয়ারিতে জীবন কাটিয়ে দেবে? ম্যানেজারের দয়া হল। তিনি একদিন বললেন, ‘লখনউতে আমাদের একটা প্রেস আছে। ওখানে চলে যাও। প্রেসের কাজ করবে। এর থেকে ভালো।’ চলেই গেলেন সুফল লখনউ।
একটানা ৯ বছর। কিন্তু আবার তাঁর পায়ের সরষে বলল ঠাঁই পাল্টাও। কোথায়? এবার ফৈজাবাদ। একটা বইয়ের দোকানে কাজ পাওয়া গেল। মাত্র সাত আট কিলোমিটার দূরেই অযোধ্যা। তাই ঘনঘন অযোধ্যায় যাতায়াতের সেই শুরু। ‘গোকুলভবনে এসে থাকতে পারো।’ বলেছিলেন এক আশ্রমিক। অযোধ্যায় ঘোর লেগে গেল সুফলের। চলে এলেন। কিন্তু কাজ কোথায়? ফুচকা, আলু কাবলি আর ছোলামটর নিয়ে ভ্যানে করে সারাদিন ধরে বিক্রি করা শুরু হল। সুফলচন্দ্রকে এক দোকানি বললেন, ‘সবাই শুধু লাড্ডু বিক্রি করে। তুমি বাঙালি, একটা অন্য মিষ্টির দোকান দাও। চলবে।’ মনে ধরল সেই পরামর্শ। আর ভাগ্যের চাকা এমনই যে, ভাড়ার দোকানটা পাওয়া গেল একেবারে রামজন্মভূমি-বাবরি মসজিদের গেটের সামনেই। সবেমাত্র একটু একটু করে থিতু হচ্ছে ব্যবসাটা। ঠিক তখনই এল সেই দিনটি। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর। মসজিদটা ভাঙলই। একদিনের মধ্যেই সুফল চন্দ্রের দোকানও চলে গেল ইতিহাসের অভ্যন্তরে। সব হারিয়ে সুফলচন্দ্র আবার রাস্তায় এসে দাঁড়ালেন। তারপর ফের শূন্য থেকে লড়াই শুরু। আর আজ অযোধ্যায় যে কোনও প্রান্তে বাঙালির দোকান কোথায় জানতে চাওয়া হলে, সকলে একবাক্যে চিনিয়ে দেবে সুফলচন্দ্র কৈরীর দোকান। একমাত্র বাঙালি দোকান গোটা অযোধ্যায়। হনুমান গড়হির পাশেই। যে ছেলেটি পুরুলিয়ার গ্রাম থেকে পালিয়ে এসে ধানবাদে বাড়ির কাজের লোক হিসেবে জীবন শুরু করেছিল, সেই ছেলেটির পরিচয় কী হল পরবর্তীকালে? সেই কাজের ছেলে, সেই কোলিয়ারির শ্রমিক অযোধ্যা সিটি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হলেন একদিন। এই অবিশ্বাস্য জার্নির মালিক সুফলচন্দ্র কৈরী ওই যে বসে আছেন দোকানে দিনভর। সেই কবে ছেড়েছেন ঘর। ছেড়েছেন বাংলা। রামজন্মভূমি, বাবরি মসজিদ, হিন্দু, মুসলিম বিতর্কের এপিসেন্টারে বসে ওই যে দোকানের দেওয়াল ভর্তি অরবিন্দ ঘোষ থেকে স্বামী বিবেকান্দ, শ্রীরামকৃষ্ণ থেকে রবীন্দ্রনাথের ছবি নিয়ে বসে আছেন সুফল।

রামচন্দ্র নয়। সীতা মাঈয়া নয়। হনুমানজি নয়। তাঁরা তো আছেনই। কিন্তু লক্ষ্মীকান্ত মিশ্রের প্রত্যক্ষ ভগবান দু’জন। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং স্বামী বিবেকানন্দ। অযোধ্যা মার্কেটের থেকে রামবল্লভ কুঞ্জ আর জানকী ঘাটের দিকে যাওয়ার রাস্তায় চোখে পড়বে একটি উঁচু রোয়াক। একটি ঘরে ওই যে ভদ্রলোক বসে আছেন, তাঁর চেয়ারের পিছনে দুটি ফোটোফ্রেম। নেতাজি আর স্বামীজি। লক্ষ্মীকান্ত মিশ্র ফৈজাবাদ কোর্টের আ‌ইনজীবী। অযোধ্যায় এটাই তাঁর চেম্বার। বাড়ি থেকে চলে এসে লক্ষ্মীকান্ত মিশ্র প্রতিদিন সকালে উঠে ধূপ আর প্রদীপ দিয়ে বন্দনা করেন এই দু’টি ছবিকে। নেতাজি ও স্বামীজি। বললেন, ‘এই দুটি মানুষকে ভারতবাসী যদি ফলো করে, যদি সকলেই এদের পুজো করে, তা হলে আর রাজনীতি করা লোকগুলো আমাদের বোকা বানাতে পারবে না বুঝলেন তো! তাই আমার ঈশ্বর এই দু’জন।’ সবেমাত্র কাল সুপ্রিম কোর্টের রায় বেরিয়েছে মন্দির মসজিদ নিয়ে। আজ তো সব দোকানপাট বন্ধ। আপনি চেম্বার খুলেছেন কেন? কেউ তো আসছেও না আজ। যদি গোলমাল হয়? ‘গোলমাল?’ লক্ষ্মীকান্ত মিশ্র হাসলেন। ‘অযোধ্যার হিন্দু-মুসলিমরা নিজেদের মধ্যে কোনওদিন আজ পর্যন্ত লড়াই করেনি। কোনওদিন না। সব বাইরে থেকে আসা লোকগুলো ঝামেলা করেছে। ১৯৯২ সালেও তাই। এই আমাকেই দেখুন না। আমার বেশিরভাগ মক্কেলই মুসলিম। তারা আমাকে মারবে? নাকি আমি মারব? আমার বাড়ির সব অনুষ্ঠানে টেন্ট ভাড়া করি সাজ্জাদের থেকে। আমি ওকে মারব? আর ভয়ে চেম্বার খুলব না কেন? সকালে নেতাজি স্বামীজিকে প্রণাম করতে হবে না! ওটা তো রোজের অভ্যাস!’ শ্রীরামচন্দ্রের নগরীর এক গলিতে নেতাজি আর স্বামীজিকে উকিলের চেম্বারে প্রতিদিন ঈশ্বরজ্ঞানে বন্দনা করা হচ্ছে, এই দৃশ্যই জানিয়ে দিচ্ছে, বৈচিত্র্যময় এই ভারতীয় সমাজে জীবনদর্শনের আয়তনটি আসলে অনেকটাই বড়। কতটুকুই বা দেখেছি! কতটাই বা স্পর্শ করা সম্ভব!

নিয়মটা হল তীর্থস্থান, উৎসব, মেলায় ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া স্বজনকে হারানো প্রাপ্তি নিরুদ্দেশের কণ্ট্রোল রুমে খুঁজে পেলে স্বস্তির শ্বাস ফেলে পুলিশকে ধন্যবাদ-টন্যবাদ জানিয়ে স্বজনের হাতটি আরও শক্ত করে ধরে দ্রুত চলে যাওয়া। এতক্ষণ অপেক্ষা করার পর অবশেষে স্বামী রামকিশোর যাদবকে দেখেও হারিয়ে যাওয়া রাজকুমারীর মুখে হাসি ফুটলেও এখনই তিনি যাবেন না। কণ্ট্রোল রুমেই থাকবেন। ‘কেন? আর কী কাজ এখানে?’ রামকিশোর জানতে চান। পাশে বসা মহিলাকে দেখালেন রাজকুমারী। তুলসী উদ্যানের কন্ট্রোল রুমে এতক্ষণ পাশাপাশি বসে ছিলেন রাজুকমারী আর নুরাদেবী। তাঁরা হারিয়ে গিয়েছেন অযোধ্যার কার্তিক পূর্ণিমার ভিড়ে। অনেক বার পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমে হারানো প্রাপ্তি নিরুদ্দেশ ঘোষণা চলছে তাঁদের স্বামীদের উদ্দেশ্যে। বেশ কিছুক্ষণ পর রাজুকমারীর স্বামী রামকিশোর যাদব দিশাহারা ভাবে কণ্ট্রোল রুমে ঢুকে স্ত্রীকে পেয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। কিন্তু স্ত্রী যাবেন না এখন। তিনি জানালেন, এই এতক্ষণ ধরে যে মেয়েটির সঙ্গে অধীর অপেক্ষায় প্রবল উদ্বেগ আর কান্না ভাগাভাগি করলেন, সেই নুরাকে ছেড়ে যাবেন কী ভাবে? রাজকুমারী না হয় স্বামীকে পেলেন, নুরার স্বামী তো এখনও আসেনি! একটু আগেও কেউ কাউকে চিনত না। বিহারের নওয়াদা জেলার ভরোসা গ্রামের রাজকুমারীর সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের বরাবাঁকির নুরার আলাপ এই কন্ট্রোল রুমেই। দু’জনেই কার্তিক পূর্ণিমায় হারিয়ে গিয়েছেন। পুলিশ কন্ট্রোল রুমে দুজনের স্থান হয়েছে। পাশাপাশি বসে সেই আলাপ। দু’জনের অধীর অপেক্ষা ছিল কখন আসবে স্বামী। রাজকুমারী স্বামীকে পেয়েছেন। কিন্তু রাজুকমারীর জেদ, যতক্ষণ না নুরার স্বামী আসছে, ততক্ষণ নুরাকে ফেলে তিনি যেতে পারবেন না। রাজকুমারী স্বামী রামকিশোরকে হেসে বললেন, ‘যাও আমাদের জন্য সামোসা নিয়ে এসো। কতক্ষণ কিছু খাইনি।’ হতভম্ব রামকিশোর চাপা স্বরে বললেন, ‘আরে আমরা কতক্ষণ ইন্তেজার করব। ওর আদমি যদি না আসে? ট্রেন ছুটে যাবে না?’ রাজুকমারী বললেন, ‘ভরোসা রাখো। আসবে। তুমি যেমন এলে।’ তখন কার্তিক পূর্ণিমার চাঁদ উঠেছে সরযূ নদীর উপরে। নুরা আরও শক্ত করে ধরলেন রাজকুমারীর হাত। চোখে জল এবং ভরসা! সরযূর দিক থেকে একটা বাতাস এল। বসল রাজুকমারীদের পাশে। আশ্বাস হয়ে। বাসুদেব ঘাটে তখন যজ্ঞ শুরু হয়েছে। বিশ্বকল্যাণের!
..............................................................
গ্রাফিক্স  সোমনাথ পাল
সহযোগিতায়  উজ্জ্বল দাস
17th  November, 2019
সংবিধানের ৭০
সমৃদ্ধ দত্ত

ভারত এবং বিশেষ করে আগামীদিনের শাসক কংগ্রেসের সঙ্গে এভাবে চরম তিক্ততার সম্পর্ক করে রেখে পৃথক পাকিস্তান পাওয়ার পর, সেই নতুন দেশের নিরাপত্তা কতটা সুনিশ্চিত? কীভাবে সম্ভাব্য পাকিস্তানের নিরাপত্তা সুরক্ষিত করা যাবে? কী কী সমস্যা আসতে পারে?  
বিশদ

রাজ সিংহাসন
প্রণবকুমার মিত্র

 দরবারে আসছেন মহারাজ। শিঙে, ঢাক, ঢোল, কাঁসর ঘণ্টার বাদ্যি আর তোপের শব্দ সেটাই জানান দিচ্ছে। তারপর সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে মহারাজ ধীর পায়ে গিয়ে বসলেন রাজ সিংহাসনে। আগেকার দিনে রূপকথার গল্পে এটাই বলা হতো।
বিশদ

08th  December, 2019
আ ম্মা হী ন তামিল রাজনীতি
রূপাঞ্জনা দত্ত

২৪ ফেব্রুয়ারি। তামিলনাড়ুর কাছে এটা একটা বিশেষ দিন। মন্দিরে মন্দিরে উপচে পড়ত ভিড়। সবার একটাই প্রার্থনা, ‘আম্মা নাল্লামাগা ইরঙ্গ’। ‘আপনি ভালো থাকুন’। ওইদিন তিনিও যেতেন মন্দিরে। নিজের জন্মদিনে ভক্তদের ভালোবাসা বিলোতে। সেটাকে অবশ্য ‘পুরাচি থালাইভি’র আশীর্বাদ বলেই গণ্য করত সবাই।   বিশদ

01st  December, 2019
অর্ধশতবর্ষে শ্বেত বিপ্লব 
কল্যাণ বসু

‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে...’
রায়গুণাকর ভারতচন্দ্রের ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্যে ঈশ্বরী পাটনীর কালজয়ী বর প্রার্থনা ছিল এটাই। ‘অন্নপূর্ণা ও ঈশ্বরী পাটনী’র এই অবিস্মরণীয় পংক্তিতে সন্তানের মঙ্গলচিন্তা যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে সন্তানের মঙ্গলার্যে বিরাট কোনও লোভ না দেখিয়ে শুধুমাত্র দুধ-ভাতের আজীবন জোগান প্রার্থনা করা। সুস্থ-সবল সন্তানের জন্য ভাতের সঙ্গে দুধের অপরিহার্যতার কথাও আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রয়েছে এই প্রার্থনায়।  
বিশদ

24th  November, 2019
বিস্মৃতপ্রায় সুরেন্দ্রনাথ
রজত চক্রবর্তী

কালো পুলিস ভ্যানটা ঢুকতেই উত্তেজিত জনতা যেন তাতে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে। আন্দোলনের নেতৃত্বে স্বয়ং ‘বাংলার বাঘ’ আশুতোষ মুখোপাধ্যায়। হবে নাই বা কেন! বাংলার জাত্যাভিমানকে পরিচিতি দিয়েছিলেন পুলিস ভ্যানের ভিতরে বসে থাকা ব্যক্তিটিই। সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ তাঁর জন্মদিন। বিশদ

10th  November, 2019
সুরেন্দ্রনাথের সাংবাদিক সত্ত্বা 
ডাঃ শঙ্করকুমার নাথ

১৮৮৩ সালে কলকাতা হাইকোর্ট ‘The Bengalee’ পত্রিকার সম্পাদক সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুদ্রাকার-প্রকাশক রামকুমার দে’র নামে রুল জারি করার নির্দেশ দিল এবং পরের দিন তা কার্যে পরিণত হল। বলা হল— ‘আদালত অবমাননা করার অপরাধে কেন জেলে যাইবেন না, তাহার কারণ প্রদর্শন করুন।’ 
বিশদ

10th  November, 2019
আরাধনা ৫০
সমৃদ্ধ দত্ত

 রবি শর্মার বাড়িতে গুরু দত্ত এসেছেন। প্রায় মধ্যরাত। এত রাতে কী ব্যাপার? রবি শর্মা চোখে জিজ্ঞাসু দৃষ্টি। গুরু দত্ত বললেন, ‘রবি আমি একটা গান চা‌ই। একটি মানুষ অনেক রাত পর্যন্ত মুশায়রার আসর থেকে বাড়ি ফিরেছে। তার সবেমাত্র বিয়ে হয়েছে। অপূর্ব সুন্দরী স্ত্রী। সেই মেয়েটি স্বামীর জন্য অপেক্ষা করে করে একসময় ঘুমিয়ে পড়েছে। স্বামী ভদ্রলোক বাড়ি ফিরে দেখছেন স্ত্রী গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন।
বিশদ

03rd  November, 2019
ডাকাত কালী
সুভাষচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়

 কয়েকশো বছর আগের কাহিনী। তখন এখানে চারপাশে ঘন জঙ্গল। বহু জায়গায় সূর্যালোক পর্যন্ত পৌঁছত না। ছিল একাধিক হিংস্র পশুও। পাশেই সরস্বতী নদীর অববাহিকা। সেখানে বহু ডাকাতের বসবাস ছিল। বাংলার বিখ্যাত রঘু ও গগন ডাকাতও এই পথ দিয়ে ডাকাতি করতে যেতেন।
বিশদ

27th  October, 2019
মননে, শিক্ষায় পুরোপুরি বাঙালি

সুইডিশ অ্যাকাডেমি ঘোষণাটা করার পর কিছু সময়ের অপেক্ষা। আগুনের মতো খবরটা ছড়িয়ে গিয়েছিল গোটা দেশে... একজন বাঙালি, একজন ভারতীয় আরও একবার জগৎসভায় দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন। অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। অমর্ত্য সেনের পর অর্থনীতিতে নোবেল পাচ্ছেন তিনি। বিশদ

20th  October, 2019
অর্থনীতিতে নীতি
অনির্বাণ মুখোপাধ্যায়

 লেখাটা শুরু করা যেতে পারে আমার ছাত্রজীবনে রাশিবিজ্ঞানের ক্লাসে শোনা একটা গল্প দিয়ে। কোনও একসময় ইংল্যান্ডের স্কুলশিক্ষা দপ্তর ঠিক করেছিল, স্কুলের বাচ্চাদের দুধ খাইয়ে দেখবে তাদের স্বাস্থ্যের উপর তার কোনও সুপ্রভাব পড়ে কি না। সেইমতো স্কুলগুলিতে কোনও একটি ক্লাসের অর্ধেক বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানো হয় এবং বাকিদের তা দেওয়া হয়নি। বিশদ

20th  October, 2019
বাহন কথা 
রজত চক্রবর্তী

আকাশে সোনার থালার মতো চাঁদ। বাড়িতে বাড়িতে দোরগোড়া থেকে লতানে ধানের শিষ। এঁকে বেঁকে চলে গিয়েছে চৌকাঠ ডিঙিয়ে, ডাইনিংয়ের পাশ দিয়ে প্রতিটি ঘরে ঘরে... এমনকী সিঁড়ির পাশ দিয়েও উঠেছে দোতলায়। ধানের শিষের পাশে পাশে ছোট্ট ছোট্ট সুন্দর পায়ের ছাপ।  
বিশদ

13th  October, 2019
প্র তি মা র বি ব র্ত ন
সোমনাথ দাস

বর্ষা আর শরৎ এখন মিলেমিশে একাকার। বিশ্ব উষ্ণায়নের কৃপাদৃষ্টিতে শহরবাসীর পক্ষে আর এই দু’টি ঋতুকে আলাদা করা সম্ভব নয়। তবে ভাদ্রের সমাপ্তি এবং আশ্বিনের সূচনা বাঙালির জীবনে নিয়ে আসে এক অনাবিল আনন্দ। মা দুর্গার আগমনবার্তায় আমাদের হৃদয় নেচে ওঠে।   বিশদ

29th  September, 2019
পুজোর ফুলের যন্ত্রণা
বিশ্বজিৎ মাইতি

 বিশ্বজিৎ মাইতি: হাওড়া‑খড়্গপুর রেলওয়ে শাখার বালিচক স্টেশন। মার্চ মাসের এক শুক্রবারের সকালে বেশ কয়েকজনকে ধরেছেন টিটি। বিনা টিকিটে ট্রেন সফর। তাঁদের মধ্যে এক যুবকের হাতে গোটা চারেক বস্তা। হাতে একগুচ্ছ ব্যাগ। গাল ভর্তি দাড়ি। উসকো-খুসকো চুল। পরনে নানান দাগে ভর্তি জামা ও হাফপ্যান্ট। করুণ চোখে আচমকাই নিজের মানিব্যাগ টিটির মুখের সামনে দেখিয়ে ধরা গলায় বলল, ‘স্যার একটা টাকাও নেই। পুরো শরীর চেক করে দেখুন...।
বিশদ

22nd  September, 2019
ভো-কাট্টা

বিশ্বকর্মা পুজোর সঙ্গে ঘুড়ি ওড়ানোটা সমার্থক হয়ে গিয়েছে। বিশ্বকর্মা পুজো মানেই আকাশজোড়া ঘুড়ির আলপনা। অসংখ্য ঘুড়ির ভেলায় যেন স্বপ্ন ভাসে। বহু কৈশোর আর যৌবনের মাঞ্জায় লেগে আছে ঘুড়ি ওড়ানোর স্মৃতি। যে ছেলেটা কোনওদিন সকাল দেখেনি, সেও বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে সূর্য ওঠার আগেই ঘুড়ি-লাটাই নিয়ে ছাদে উঠে যায়।  
বিশদ

15th  September, 2019
একনজরে
 শিলং, ১৪ ডিসেম্বর: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে উত্তাল উত্তর-পূর্ব ভারত। আন্দোলন চলছে পশ্চিমবঙ্গ সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যেও। এরমধ্যে নতুন বিতর্ক তৈরি করলেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায়। শুক্রবার ট্যুইটারে তাঁর বার্তা, আপনি যদি বিভেদকামী গণতন্ত্র না চান, তাহলে আপনার উত্তর কোরিয়া ...

সংবাদদাতা, কাঁথি: জমির রেকর্ড নিজের নামে না থাকায় চাষিদের অনেকেই বুলবুলের ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এনিয়ে কৃষক মহলে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কৃষক সংগ্রাম পরিষদ।   ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে শনিবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিল কোনা এক্সপ্রেসওয়ে। গড়ফার কাছে সকাল থেকে অবরোধের পর আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হল অন্তত ...

 কল্যাণী থেকে নিজস্ব প্রতিনিধি: ট্রাউকে হারিয়ে ২২ ডিসেম্বর ডার্বি নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করে দিলেন ইস্ট বেঙ্গল কোচ আলেজান্দ্রো। শনিবার কল্যাণী স্টেডিয়ামে ম্যাচের পর স্প্যানিশ কোচ বলেন, ‘এরপর আমরা সল্টলেক স্টেডিয়ামে খেলব। এই মাঠ আমার খুবই পছন্দের। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পিতার স্বাস্থ্যহানী হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক চা দিবস
১৮৭৭- টমাস এডিসন ফোনোগ্রাফের পেটেন্ট নিলেন,
১৯০৮- রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের স্বামী রঙ্গনাথানন্দের জন্ম,
১৯৫০- সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের মৃত্যু,
১৯৭৬- ফুটবলার বাইচুং ভুটিয়ার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.৮০ টাকা ৭১.৪৯ টাকা
পাউন্ড ৯৩.৪৩ টাকা ৯৬.৮০ টাকা
ইউরো ৭৭.৪৪ টাকা ৮০.৪৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
14th  December, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮, ৪৫৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬, ৪৮৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭, ০৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪, ০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪, ১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, রবিবার, তৃতীয়া ২/৪৫ দিবা ৭/১৮ পরে চতুর্থী ৫৮/২৫ শেষরাত্রি ৫/৩৫। পুষ্যা ৫৪/৩০ রাত্রি ৪/১। সূ উ ৬/১২/৩৫, অ ৪/৫০/১৭, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৪ গতে ৯/১ মধ্যে পুনঃ ১১/৫২ গতে ২/৪২ মধ্যে। রাত্রি ৭/৩০ গতে ৯/১৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৮ গতে ১/৪৪ মধ্যে পুনঃ ২/৩৮ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ১০/১২ গতে ১২/৫১ মধ্যে, কালরাত্রি ১/১১ গতে ২/৫১ মধ্যে। 
২৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, রবিবার, তৃতীয়া ৫/৩৫/৫৭ দিবা ৮/২৮/৫০। পুনর্বসু ১/১৯/৩২ প্রাতঃ ৬/৪৬/১৬ পরে পুষ্যা ৫৮/৫৩/৩৭ শেষরাত্রি ৫/৪৭/৫৪, সূ উ ৬/১৪/২৭, অ ৪/৫০/২৪, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১২/১ গতে ২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৯ গতে ৯/২৬ মধ্যে ও ১২/৭ গতে ১/৫৪ মধ্যে ও ২/৪৭ গতে ৬/১৫ মধ্যে, কালবেলা ১১/৩২/২৬ গতে ১২/৫১/৫৫ মধ্যে, কালরাত্রি ১/১১/৫৬ গতে ২/৫৩/২৬ মধ্যে। 
মোসলেম: ১৭ রবিয়স সানি 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা মিলবে। বৃষ: ব্যবসা শুরু করলে ভালো হবে। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
 আন্তর্জাতিক চা দিবস১৮৭৭- টমাস এডিসন ফোনোগ্রাফের পেটেন্ট নিলেন,১৯০৮- রামকৃষ্ণ মঠ ...বিশদ

07:03:20 PM

প্রথম একদিনের ম্যাচ: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৮ উইকেটে জিতল 

09:55:39 PM

প্রথম একদিনের ম্যাচ: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৩২/২ (৪০ ওভার) 

09:12:17 PM

প্রথম একদিনের ম্যাচ: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৬১/১ (৩০ ওভার) 

08:23:30 PM

মাথাভাঙায় জলাশয় থেকে পচাগলা দেহ উদ্ধার 

08:10:00 PM