Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

ডাকাত কালী
সুভাষচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়

কয়েকশো বছর আগের কাহিনী। তখন এখানে চারপাশে ঘন জঙ্গল। বহু জায়গায় সূর্যালোক পর্যন্ত পৌঁছত না। ছিল একাধিক হিংস্র পশুও। পাশেই সরস্বতী নদীর অববাহিকা। সেখানে বহু ডাকাতের বসবাস ছিল। বাংলার বিখ্যাত রঘু ও গগন ডাকাতও এই পথ দিয়ে ডাকাতি করতে যেতেন।
কথিত আছে, রঘু ও গগন ডাকাতি করতে যাওয়ার আগে ঘটে ফুল চড়িয়ে পুজো করতেন। যদি ঘট থেকে ফুল পড়ত, তাহলে তাঁরা ডাকাতি করতে যেতেন। ফুল না পড়লে যেতেন না। তাঁরা মনে করতেন, ফুল পড়া মানে মায়ের আশীর্বাদ রয়েছে। একদিন তাঁরা ডাকাতি করতে বেরিয়েছিলেন। যেতে যেতে হাজির হয়েছিলেন সিঙ্গুরের এই পুরুষোত্তমপুর গ্রামে। সেখানে রঘু ও গগন ডাকাতই ঘট স্থাপন করে মা কালীর পুজো শুরু করেছিলেন। ডাকাতদের প্রতিষ্ঠিত পুজো বলেই আমাদের মায়ের নাম ডাকাত কালী।
রঘু ও গগন ডাকাত ঘটে পুজো শুরু করার পর পুরুষোত্তমপুরের পাশের চালকেবাটি গ্রামের এক মোড়লকে মা কালী স্বপ্নাদেশ দিয়েছিলেন। তিনি গোরুর পিঠে ধানের বস্তা নিয়ে শেওড়াফুলি যাচ্ছিলেন। তিনি ছিলেন ব্যবসায়ী। একটি গাছের তলায় বিশ্রাম নিতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। তখনই মা কালী তাঁকে স্বপ্নাদেশ দেন, ঘটে পুজোর বদলে যেন প্রতিমায় পুজো হয়। আর প্রতিমা যেন তিনিই তৈরি করেন। স্বপ্নাদেশে মা তাঁকে জানান, বাজারে যাওয়ার দরকার নেই। বাড়ি ফিরে যেতে। মায়ের স্বপ্ন পেয়ে ওই মোড়ল বাড়ি ফিরে যান। বাড়িতে গিয়ে দেখেন, তাঁর ধানের বস্তার ওজন কয়েকশোগুণ ভারী হয়ে গিয়েছে। তিনি অবাক হয়ে যান। তারপর বস্তার মুখ খুলতেই তাঁর চক্ষু চড়কগাছ। কারণ, ধানের বস্তা তখন মোহরের বস্তায় পরিণত হয়েছে।
কিন্তু, প্রতিমা তৈরির পর মা থাকবেন কোথায়? বাইরে তো রাখা যাবে না। কারণ, ঝড়-বৃষ্টিতে তো মাটির প্রতিমা নষ্ট হয়ে যাবে। সে কথা প্রার্থনা করে ওই মোড়ল মাকে জানালেন। তারপর মা কালী বর্ধমানের মহারাজাকে স্বপ্নাদেশ দিয়েছিলেন, তাঁর মন্দির তৈরি করে দেওয়ার জন্য। মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়েই মহারাজা তাঁর জন্য মন্দির স্থাপন করেন। মন্দির তৈরির হওয়ার পর মন্দিরের ভিতরে ওই মোড়ল মায়ের প্রতিমা তৈরি করেন। সেই থেকে এখানে প্রতিমায় পুজো শুরু হয়। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর মায়ের প্রতিমা তৈরি করা হয়। অর্থাৎ পাঁচ বছরে এখানে নবকলেবর হয়। মায়ের পুজো করার জন্য বর্ধমানের মহারাজাই আমাদের পূর্বপুরুষদের সেবাইত হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছেন। তারপর থেকে আমরাই মায়ের পুজো করে আসছি। এখানে ছ’জন সেবায়েত রয়েছেন। প্রতি ছ’বছর অন্তর আমাদের পুজোর দায়িত্ব পড়ে।
যে সময় এই পুজো শুরু হয়, সেই সময়ের ডাকাতরা সবাই শুদ্র সম্প্রদায়ের ছিলেন। যেহেতু, রঘু ও গগন ডাকাত ঘটে পুজো শুরু করেছিলেন, তাই শূদ্র সম্প্রদায়ের মানুষেরাই গঙ্গা থেকে ঘটের জন্য জল নিয়ে আসেন। সেই প্রথার অন্যথা হয়নি এখনও। কালীপুজোর সময় বছরে একবারই ঘটের জল বদল করা হয়। কারও দেখা চলে না। তাই জল বদলের সময় মন্দিরের দরজাও বন্ধ থাকে।
এই ডাকাত কালী পুজোয় আগে নরবলি দেওয়া হতো বলে শোনা যায়। এখন ছাগ বলি দেওয়া হয়। তবে, এই ছাগ বলিরও নির্দিষ্ট একটি নিয়ম রয়েছে। কালীপুজোর রাতে চার প্রহরে চারবার বলি দেওয়া হয়। কালীপুজোর পরদিন গোধূলিলগ্নে আরও একবার ছাগ বলি দেওয়ার রীতি প্রচলিত রয়েছে। সেই সন্ধিক্ষণের বলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওই সময় মিশকালো ছাগ বলি দেওয়া হয়। সেই ছাগের গায়ে কোনও সাদা অথবা খয়েরি ছাপ থাকা চলে না।
কালীপুজোর আগে টানা ন’দিন এখানে চণ্ডীপাঠ হয়। আটদিন ধরে হয় মায়ের অষ্টমঙ্গলা। এখানে সারাবছরই মায়ের নিত্যপুজো হয়। ভোর প্রহরে ও সন্ধ্যায় আরতিও করা হয়। তবে, কালীপুজোর সময় এই ডাকাত কালী মন্দিরে হাজার হাজার ভক্তের সমাগমে তিল ধারণের জায়গা থাকে না।
এই ডাকাত কালী মন্দিরে মা সারদাদেবীকে নিয়েও একটি কাহিনী রয়েছে। তিনি একবার জয়রামবাটি-কামারপুর থেকে দক্ষিণেশ্বর যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। তাই এই চত্বরে একটি গাছের তলায় তিনি বিশ্রাম নেওয়ার জন্য বসেছিলেন। তখন একদল ডাকাতের খপ্পরে পড়েন তিনি। কিন্তু সারদাদেবীকে আটকাতে গিয়ে স্বয়ং মা কালীর দর্শন পান ডাকাতরা। তারপর ডাকাতরা মা সারদাকে ছেড়ে দেন। গাছতলায় বসিয়ে মাকে তাঁরা চাল-কড়াই ভাজাও খেতে দিয়েছিলেন। তাই কালীপুজোর সময় এখনও প্রতিবছর আমাদের এখানে মাকে চাল-কড়াই ভাজা উৎসর্গ করা হয়। সিঙ্গুরের পুরুষোত্তমপুরে এই ডাকাত কালী মন্দিরের মা খুবই জাগ্রত। কালীপুজোর দিন এই মন্দির হয়ে ওঠে মিলনক্ষেত্র।
 লেখক সিঙ্গুরের ডাকাত কালী মন্দিরের অন্যতম সেবায়েত
কল্লোল ভট্টাচার্য
(মনোহর ডাকাতের কালী পুজোর বর্তমান প্রধান সেবায়েত)
যখন ছোট ছিলাম, তখন বিভিন্ন গল্প-উপন্যাসে ডাকাতদের সম্পর্কে পড়েছি। সেখান থেকেই জেনেছি, ডাকাতদের উপাসনা করত শক্তির দেবী মা কালীর। ছোটবেলায় সিনেমাতেও দেখতাম, ডাকাতরা কীভাবে লুটের পর মা কালীর কাছে এসে সেগুলি সঁপে দিত। বুঝতে শেখার পর জানতে পারি, আমি যে বাড়ির সদস্য, সেই পরিবার ডাকাত কালীবাড়ির পুজোর সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত। শুধু যুক্ত বললে কম বলা হবে কারণ, গোটা পুজোর দায়িত্বভারই আমাদের পরিবারের। ঠাকুর্দা, বাবার পর আমি এখন সেই ১২৮ বছর পুরনো পুজোর দায়িত্বে।
পুরনো দিনের ডাকাত বলতে সাহিত্য-উপন্যাস-গল্পে ভবানী পাঠক, রঘু ডাকাত, দেবী চৌধুরানীর নাম বারবার উঠে এসেছে। আমরা যে ‘ডাকাতিয়া কালীপুজো’ করি, সেটি শুরু করেছিলেন এক ডাকাতেরই পালিত ছেলে। বর্তমানে যে রাস্তাটি মনোহরপুকুর রোড বলে খ্যাত, তা ওই ডাকাতেরই নামে। ‘মনোহর ডাকাত’। আমি শুনেছি, পুরনো বাংলার ডাকাতরা যেমন হতেন, তেমনই ছিলেন এই মনোহর বাগদি।
দক্ষিণ কলকাতার পূর্ণ দাস রোডের উপরে যেখানে আমাদের বাড়ি বা মন্দির, সেখানে ১০০-১৫০ বছর আগে একটা খাল আর ঘন জঙ্গল ছাড়া কিছুই ছিল না। সেখানেই নিজের ডেরা তৈরি করেছিলেন মনোহর ডাকাত। নিজের দল তৈরি হওয়ার পর মা শক্তিকে পুজো করতেন তিনি। কষ্টি পাথরের মা কালীর প্রতিমা তৈরি করে মনোহর ডাকাত পুজো শুরু করেন। মনোহর ডাকাত বিশ্বাস করতেন, মাকে পুজো করে ডাকাতি করতে বের হলে, তাঁদের শক্তি আরও বৃদ্ধি পাবে। তাঁরা যে কাজের জন্য যাচ্ছেন, মায়ের আশীর্বাদে সেই কাজে সফল হবেন। তাই তাঁরা মাকে সর্বশক্তিমান বলে মনে করতেন।
মনোহর বাগদি অবিবাহিত ছিলেন। একটি ছোট্ট ঘরে তাঁর বৃদ্ধা কাকিমার সঙ্গে থাকতেন। তাঁর ঘরের লাগোয়াই ছিল কালী মন্দির। গাছের তলায় কষ্টি পাথরে তৈরি মাকে পুজো করতেন মনোহর বাগদি। কালীঘাটের মন্দিরে সেই সময় বহু মানুষ আসতেন। এখন যেটা আদি গঙ্গা, তা আগে বিশাল নদী ছিল। নৌকা পথে পুণ্যার্থীরা মন্দিরে আসতেন। মনোহর ডাকাতদের দলবল সেই পুণ্যার্থীদের মালপত্র লুট করতেন এবং সোনা-রুপো-মুক্তোর গয়না এবং দামী দামী সামগ্রী এনে মায়ের পায়ে নিবেদন করতেন। লুটের সামগ্রী শুধু নিবেদন নয়, চলত ভয়ঙ্কর নরবলি। আমি শুনেছি, নরবলি দেওয়ার পর আশপাশের গাছগুলিতে মুণ্ড ঝুলিয়ে রাখা হতো। মায়ের কাছে সেই বলির মাংস উৎসর্গ করা হতো। বিশালদেহী মনোহর ডাকাত এবং তাঁর দলবল ছাড়া এই জঙ্গলে কারও প্রবেশাধিকার ছিল না।
মনোহর ডাকাত যখন মৃত্যুশয্যায়, তখন তিনি তাঁর পালিত ছেলে হারাধন বাগদিকে বলেছিলেন, সে যেন একটা মন্দির তৈরি করে। আর সেই মন্দিরেই যেন ওই কষ্টি পাথরের প্রতিমাকে প্রতিষ্ঠা করা হয়। হারাধন বাগদি একটি মন্দির তৈরি করে, সেখানে মাকে প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর হারাধন বাগদির বংশই সেই মন্দিরের দেখাশুনা করত। এখন মানুষ যে মন্দিরটি দেখেন, সেটি ১৯৮১ সালে গড়ে তোলেন কামাখ্যাচরণ মুখোপাধ্যায় নামে একজন সাধু। মায়ের নিত্যপুজোর ভারও নেন তিনি। সেই সময় নরবলিতে রাশ টানা হলেও, লাগাতার পশুবলি হতো। মন্দির চত্বরেই একটি শিব মন্দির রয়েছে। শুনেছি, তাঁর নীচেই ওই সাধুকে সমাধিস্থ করা হয়।
এরপর এই এলাকায় সভ্যতার বিকাশ হতে থাকে। ব্রিটিশ সরকার এখানে ঘর-বাড়ি তৈরি করে। সেই সময় এক ব্রিটিশ সাহেব আমার ঠাকুর্দা কালীভূষণ ভট্টাচার্যকে বলেন, এই মন্দিরের পুজোর দায়িত্ব নিতে। পাশাপাশি তিনি মন্দিরটির সংস্কারে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। আমার ঠাকুমা চপলাবালাদেবী পুজো করতে শুরু করেন। ধীরে ধীরে মন্দিরের সংস্কার শুরু হয়। আগে যেখানে প্রতিমা ছিল, সেখান থেকে বর্তমান জায়গায় নিয়ে আসা হয়। ঠাকুর্দার পর আমার বাবা কান্তিভূষণ ভট্টাচার্য মন্দিরের সেবায়েতের দায়িত্ব পান। তাঁর থেকে পাই আমি। নরবলি বা পশুবলি-দুটোই এখন অতীত। এখন চালকুমড়ো বলি দেওয়া হয়। বর্তমানে প্রতি অমাবস্যায় পুরোহিতরা এসে পুজো করেন। কালীপুজোয় যতক্ষণ অমাবস্যা থাকে, ততক্ষণ পুজো চালু থাকে। বাঙালি-অবাঙালি মানুষের ভিড়ে এই ডাকতিয়া কালীবাড়ি অন্য রূপ নেয়।
গ্রাফিক্স  সোমনাথ পাল
সহযোগিতায়  উজ্জ্বল দাস
 
27th  October, 2019
সংবিধানের ৭০
সমৃদ্ধ দত্ত

ভারত এবং বিশেষ করে আগামীদিনের শাসক কংগ্রেসের সঙ্গে এভাবে চরম তিক্ততার সম্পর্ক করে রেখে পৃথক পাকিস্তান পাওয়ার পর, সেই নতুন দেশের নিরাপত্তা কতটা সুনিশ্চিত? কীভাবে সম্ভাব্য পাকিস্তানের নিরাপত্তা সুরক্ষিত করা যাবে? কী কী সমস্যা আসতে পারে?  
বিশদ

রাজ সিংহাসন
প্রণবকুমার মিত্র

 দরবারে আসছেন মহারাজ। শিঙে, ঢাক, ঢোল, কাঁসর ঘণ্টার বাদ্যি আর তোপের শব্দ সেটাই জানান দিচ্ছে। তারপর সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে মহারাজ ধীর পায়ে গিয়ে বসলেন রাজ সিংহাসনে। আগেকার দিনে রূপকথার গল্পে এটাই বলা হতো।
বিশদ

08th  December, 2019
আ ম্মা হী ন তামিল রাজনীতি
রূপাঞ্জনা দত্ত

২৪ ফেব্রুয়ারি। তামিলনাড়ুর কাছে এটা একটা বিশেষ দিন। মন্দিরে মন্দিরে উপচে পড়ত ভিড়। সবার একটাই প্রার্থনা, ‘আম্মা নাল্লামাগা ইরঙ্গ’। ‘আপনি ভালো থাকুন’। ওইদিন তিনিও যেতেন মন্দিরে। নিজের জন্মদিনে ভক্তদের ভালোবাসা বিলোতে। সেটাকে অবশ্য ‘পুরাচি থালাইভি’র আশীর্বাদ বলেই গণ্য করত সবাই।   বিশদ

01st  December, 2019
অর্ধশতবর্ষে শ্বেত বিপ্লব 
কল্যাণ বসু

‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে...’
রায়গুণাকর ভারতচন্দ্রের ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্যে ঈশ্বরী পাটনীর কালজয়ী বর প্রার্থনা ছিল এটাই। ‘অন্নপূর্ণা ও ঈশ্বরী পাটনী’র এই অবিস্মরণীয় পংক্তিতে সন্তানের মঙ্গলচিন্তা যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে সন্তানের মঙ্গলার্যে বিরাট কোনও লোভ না দেখিয়ে শুধুমাত্র দুধ-ভাতের আজীবন জোগান প্রার্থনা করা। সুস্থ-সবল সন্তানের জন্য ভাতের সঙ্গে দুধের অপরিহার্যতার কথাও আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রয়েছে এই প্রার্থনায়।  
বিশদ

24th  November, 2019
অচেনা অযোধ্যা
সমৃদ্ধ দত্ত

 সরযূ নদীর নয়াঘাটে মাঝেমধ্যেই দেখা যাবে এক টানাপোড়েনের দৃশ্য। গোন্দা জেলার মানকপুর গ্রামের রমাদেবী নিজের মেয়ের সামনে হাতজোড় করে বলছেন, ‘আমাকে ছেড়ে দে রে..আমি কয়েকদিন পর আবার চলে যাব..সত্যি বলছি যাব।’ মেয়ে জানে মায়ের কথার ঠিক নেই। আজ বিশ্বাস করে ছেড়ে দিলে, সত্যিই কবে যাবে, কোনও ঠিক নেই।
বিশদ

17th  November, 2019
বিস্মৃতপ্রায় সুরেন্দ্রনাথ
রজত চক্রবর্তী

কালো পুলিস ভ্যানটা ঢুকতেই উত্তেজিত জনতা যেন তাতে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে। আন্দোলনের নেতৃত্বে স্বয়ং ‘বাংলার বাঘ’ আশুতোষ মুখোপাধ্যায়। হবে নাই বা কেন! বাংলার জাত্যাভিমানকে পরিচিতি দিয়েছিলেন পুলিস ভ্যানের ভিতরে বসে থাকা ব্যক্তিটিই। সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ তাঁর জন্মদিন। বিশদ

10th  November, 2019
সুরেন্দ্রনাথের সাংবাদিক সত্ত্বা 
ডাঃ শঙ্করকুমার নাথ

১৮৮৩ সালে কলকাতা হাইকোর্ট ‘The Bengalee’ পত্রিকার সম্পাদক সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুদ্রাকার-প্রকাশক রামকুমার দে’র নামে রুল জারি করার নির্দেশ দিল এবং পরের দিন তা কার্যে পরিণত হল। বলা হল— ‘আদালত অবমাননা করার অপরাধে কেন জেলে যাইবেন না, তাহার কারণ প্রদর্শন করুন।’ 
বিশদ

10th  November, 2019
আরাধনা ৫০
সমৃদ্ধ দত্ত

 রবি শর্মার বাড়িতে গুরু দত্ত এসেছেন। প্রায় মধ্যরাত। এত রাতে কী ব্যাপার? রবি শর্মা চোখে জিজ্ঞাসু দৃষ্টি। গুরু দত্ত বললেন, ‘রবি আমি একটা গান চা‌ই। একটি মানুষ অনেক রাত পর্যন্ত মুশায়রার আসর থেকে বাড়ি ফিরেছে। তার সবেমাত্র বিয়ে হয়েছে। অপূর্ব সুন্দরী স্ত্রী। সেই মেয়েটি স্বামীর জন্য অপেক্ষা করে করে একসময় ঘুমিয়ে পড়েছে। স্বামী ভদ্রলোক বাড়ি ফিরে দেখছেন স্ত্রী গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন।
বিশদ

03rd  November, 2019
মননে, শিক্ষায় পুরোপুরি বাঙালি

সুইডিশ অ্যাকাডেমি ঘোষণাটা করার পর কিছু সময়ের অপেক্ষা। আগুনের মতো খবরটা ছড়িয়ে গিয়েছিল গোটা দেশে... একজন বাঙালি, একজন ভারতীয় আরও একবার জগৎসভায় দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন। অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। অমর্ত্য সেনের পর অর্থনীতিতে নোবেল পাচ্ছেন তিনি। বিশদ

20th  October, 2019
অর্থনীতিতে নীতি
অনির্বাণ মুখোপাধ্যায়

 লেখাটা শুরু করা যেতে পারে আমার ছাত্রজীবনে রাশিবিজ্ঞানের ক্লাসে শোনা একটা গল্প দিয়ে। কোনও একসময় ইংল্যান্ডের স্কুলশিক্ষা দপ্তর ঠিক করেছিল, স্কুলের বাচ্চাদের দুধ খাইয়ে দেখবে তাদের স্বাস্থ্যের উপর তার কোনও সুপ্রভাব পড়ে কি না। সেইমতো স্কুলগুলিতে কোনও একটি ক্লাসের অর্ধেক বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানো হয় এবং বাকিদের তা দেওয়া হয়নি। বিশদ

20th  October, 2019
বাহন কথা 
রজত চক্রবর্তী

আকাশে সোনার থালার মতো চাঁদ। বাড়িতে বাড়িতে দোরগোড়া থেকে লতানে ধানের শিষ। এঁকে বেঁকে চলে গিয়েছে চৌকাঠ ডিঙিয়ে, ডাইনিংয়ের পাশ দিয়ে প্রতিটি ঘরে ঘরে... এমনকী সিঁড়ির পাশ দিয়েও উঠেছে দোতলায়। ধানের শিষের পাশে পাশে ছোট্ট ছোট্ট সুন্দর পায়ের ছাপ।  
বিশদ

13th  October, 2019
প্র তি মা র বি ব র্ত ন
সোমনাথ দাস

বর্ষা আর শরৎ এখন মিলেমিশে একাকার। বিশ্ব উষ্ণায়নের কৃপাদৃষ্টিতে শহরবাসীর পক্ষে আর এই দু’টি ঋতুকে আলাদা করা সম্ভব নয়। তবে ভাদ্রের সমাপ্তি এবং আশ্বিনের সূচনা বাঙালির জীবনে নিয়ে আসে এক অনাবিল আনন্দ। মা দুর্গার আগমনবার্তায় আমাদের হৃদয় নেচে ওঠে।   বিশদ

29th  September, 2019
পুজোর ফুলের যন্ত্রণা
বিশ্বজিৎ মাইতি

 বিশ্বজিৎ মাইতি: হাওড়া‑খড়্গপুর রেলওয়ে শাখার বালিচক স্টেশন। মার্চ মাসের এক শুক্রবারের সকালে বেশ কয়েকজনকে ধরেছেন টিটি। বিনা টিকিটে ট্রেন সফর। তাঁদের মধ্যে এক যুবকের হাতে গোটা চারেক বস্তা। হাতে একগুচ্ছ ব্যাগ। গাল ভর্তি দাড়ি। উসকো-খুসকো চুল। পরনে নানান দাগে ভর্তি জামা ও হাফপ্যান্ট। করুণ চোখে আচমকাই নিজের মানিব্যাগ টিটির মুখের সামনে দেখিয়ে ধরা গলায় বলল, ‘স্যার একটা টাকাও নেই। পুরো শরীর চেক করে দেখুন...।
বিশদ

22nd  September, 2019
ভো-কাট্টা

বিশ্বকর্মা পুজোর সঙ্গে ঘুড়ি ওড়ানোটা সমার্থক হয়ে গিয়েছে। বিশ্বকর্মা পুজো মানেই আকাশজোড়া ঘুড়ির আলপনা। অসংখ্য ঘুড়ির ভেলায় যেন স্বপ্ন ভাসে। বহু কৈশোর আর যৌবনের মাঞ্জায় লেগে আছে ঘুড়ি ওড়ানোর স্মৃতি। যে ছেলেটা কোনওদিন সকাল দেখেনি, সেও বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে সূর্য ওঠার আগেই ঘুড়ি-লাটাই নিয়ে ছাদে উঠে যায়।  
বিশদ

15th  September, 2019
একনজরে
 ওয়াশিংটন, ১৪ ডিসেম্বর (পিটিআই): ‘আমার কোনও দোষ নেই। তবু আমাকে ইমপিচ করা হচ্ছে। এটা অন্যায়।’ শুক্রবার ট্যুইটারে এভাবেই ইমপিচমেন্ট বিতর্কে ক্ষোভ উগরে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন কংগ্রেসের জুডিশিয়ারি কমিটি ট্রাম্পের ‘অপসারণ’ অনুমোদন করে দেওয়ায় তা এখন হাউস অব ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নোটবন্দির ফাঁদে রাজ্যের বহু আদালত। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে আদালতে জমা থাকা পুরনো ৫০০ বা ১০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কে জমা না করায় এমনই জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই সমস্যার সমাধানে কলকাতা হাইকোর্ট প্রশাসন এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে শনিবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিল কোনা এক্সপ্রেসওয়ে। গড়ফার কাছে সকাল থেকে অবরোধের পর আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হল অন্তত ...

সংবাদদাতা, কুমারগ্রাম: আগামী ২৭-২৯ ডিসেম্বর তুফানগঞ্জ-১ ব্লক কৃষি দপ্তরের উদ্যোগে এবং ব্লক প্রশাসনের সহযোগিতায় একটি কৃষি মেলা আয়োজিত হবে। তুফানগঞ্জ-১ ব্লকের চিলাখানা ফুটবল মাঠে এই মেলা হবে।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পিতার স্বাস্থ্যহানী হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক চা দিবস
১৮৭৭- টমাস এডিসন ফোনোগ্রাফের পেটেন্ট নিলেন,
১৯০৮- রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের স্বামী রঙ্গনাথানন্দের জন্ম,
১৯৫০- সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের মৃত্যু,
১৯৭৬- ফুটবলার বাইচুং ভুটিয়ার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.৮০ টাকা ৭১.৪৯ টাকা
পাউন্ড ৯৩.৪৩ টাকা ৯৬.৮০ টাকা
ইউরো ৭৭.৪৪ টাকা ৮০.৪৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
14th  December, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮, ৪৫৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬, ৪৮৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭, ০৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪, ০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪, ১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, রবিবার, তৃতীয়া ২/৪৫ দিবা ৭/১৮ পরে চতুর্থী ৫৮/২৫ শেষরাত্রি ৫/৩৫। পুষ্যা ৫৪/৩০ রাত্রি ৪/১। সূ উ ৬/১২/৩৫, অ ৪/৫০/১৭, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৪ গতে ৯/১ মধ্যে পুনঃ ১১/৫২ গতে ২/৪২ মধ্যে। রাত্রি ৭/৩০ গতে ৯/১৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৮ গতে ১/৪৪ মধ্যে পুনঃ ২/৩৮ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ১০/১২ গতে ১২/৫১ মধ্যে, কালরাত্রি ১/১১ গতে ২/৫১ মধ্যে। 
২৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, রবিবার, তৃতীয়া ৫/৩৫/৫৭ দিবা ৮/২৮/৫০। পুনর্বসু ১/১৯/৩২ প্রাতঃ ৬/৪৬/১৬ পরে পুষ্যা ৫৮/৫৩/৩৭ শেষরাত্রি ৫/৪৭/৫৪, সূ উ ৬/১৪/২৭, অ ৪/৫০/২৪, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১২/১ গতে ২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৯ গতে ৯/২৬ মধ্যে ও ১২/৭ গতে ১/৫৪ মধ্যে ও ২/৪৭ গতে ৬/১৫ মধ্যে, কালবেলা ১১/৩২/২৬ গতে ১২/৫১/৫৫ মধ্যে, কালরাত্রি ১/১১/৫৬ গতে ২/৫৩/২৬ মধ্যে। 
মোসলেম: ১৭ রবিয়স সানি 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা মিলবে। বৃষ: ব্যবসা শুরু করলে ভালো হবে। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
 আন্তর্জাতিক চা দিবস১৮৭৭- টমাস এডিসন ফোনোগ্রাফের পেটেন্ট নিলেন,১৯০৮- রামকৃষ্ণ মঠ ...বিশদ

07:03:20 PM

প্রথম একদিনের ম্যাচ: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৮ উইকেটে জিতল 

09:55:39 PM

প্রথম একদিনের ম্যাচ: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৩২/২ (৪০ ওভার) 

09:12:17 PM

প্রথম একদিনের ম্যাচ: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৬১/১ (৩০ ওভার) 

08:23:30 PM

মাথাভাঙায় জলাশয় থেকে পচাগলা দেহ উদ্ধার 

08:10:00 PM