উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
বড় বেরঙিন আজকাল...। তাই তো। রঙের কথা প্রায় ভুলতে বসেছি আমরা। ভয়, আতঙ্ক আর চিন্তার মধ্যে আমরা সরে গিয়েছি জীবনের স্বাভাবিক ছন্দ থেকে। কোথাও বেড়ানো নেই, বন্ধুদের সঙ্গে ভার্চুয়াল আড্ডা ছাড়া গতি নেই। ভালো ভালো পোশাক, গয়নাগাটি আর সাজের সব সরঞ্জাম মুখ লুকিয়েছে কোন আড়ালে। ড্রেসিং টেবলের সামনেও এখন স্যানিটাইজার, সারফেস ক্লিনারের শিশি বোতল। রুপোর ঝুমকো, নেকপিস বা মেকআপের সব কিছুই কি তবে আলমারি-বন্দি থাকবে?
রুপোয় রূপসী
এ শহরের রুপোর গয়নার কারবারি করিশ্মা জয়সিং জানাচ্ছেন, মুখ ভার করে বসে থাকার কিছুই নেই। একটু সাবধান হয়ে আগেকার রুটিনে ফিরতেই পারেন। নিজেকে মনের খুশিতে সাজিয়ে তুলতে পারলে অনেক নেগেটিভ ভাবনাচিন্তাও এক পলকে দূরে সরে যায়। তাই করিশ্মা বলছেন, ‘নিশ্চিন্তে রুপোর গয়না পরুন। কারণ এটা সবসময়েই খুব ক্লাসি লুক দেয়, আর অ্যাফর্ডেবল-ও। এখন এমনিতেই মাস্ক পরে মুখের অর্ধেকের বেশি ঢাকা পড়ে যাচ্ছে। তাই কানে, হাতে কিছু না পরলে আরও খালি খালি লাগবে।’ সাজের অনেকটা পুষিয়ে দিতে পারে কুর্তা বা শাড়ির সঙ্গে ভালো দেখতে এবং মানানসই নেকপিস। তবে আপাতত সেগুলো ছোট বা হাল্কা হলেই এই সময়ে সুবিধে হবে। তা-ই সই। তাতে সাজের কিছু খামতি হবে, এমনটা ভাববেন না। নিজের সেরা লুকটা তার মধ্যেই নিয়ে আসা যায়। ছোট বা হাল্কা গয়নার আর একটা প্লাস পয়েন্ট, এগুলো পরিষ্কার করাও সহজ হবে। আর করিশ্মার আশ্বাস, কাপড়ে স্যানিটাইজার দিয়ে ভিজিয়ে এগুলো সাফ করতে গেলে একটা বিষয় নিশ্চিন্ত থাকুন, গয়নার কোনও ক্ষতি হবে না। তিনি জানালেন, স্যানিটাইজারে থাকা অ্যালকোহল গয়না জীবাণুমুক্ত তো করবেই, সঙ্গে তার জেল্লা আরও বাড়বে। ভয় নেই, এতে রুপোর কোনও অংশমাত্র ক্ষয়েও যাবে না। দুল হোক, নেকপিস হোক বা সরু রিস্টলেট নিশ্চিন্তে সব সাফ করে নিন। সাবান-জলে যদি কেউ ধুতে চান, তাতেও কিছু অসুবিধে নেই বলে জানালেন তিনি। তাই অল্প রুপোতেই হয়ে উঠুন রূপসী। অন্য কস্টিউম জুয়েলারির তুলনায় এখন ভরসা রাখুন এতেই। রুপোর কাঠি ছুঁয়েই জাগিয়ে তুলুন মনের মধ্যে ঘুমিয়ে থাকা সুন্দরীকে।
মেকআপে সাবধান
এতদিন বাড়িতে বসে বসে মেকআপের কথাও প্রায় ভুলতে বসেছি আমরা। সাজগোজের মধ্যে এবার ফিরিয়ে আনতে বাধা নেই হাল্কা মেকআপ-কে। কিন্তু সাবধান হয়েই। মেকআপ আর্টিস্ট অভিজিত পাল বলছেন, এখন এমনিতেও তাঁরা সতর্ক হয়ে মেকআপের বিভিন্ন সরঞ্জাম ব্যবহার করছেন। অর্থাৎ কারও মেকআপ করার আগে ব্রাশ, স্পানজের মতো জিনিস স্যানিটাইজ করে নিতেই হবে। একজনেরটা অন্য জনের ক্ষেত্রে ব্যবহারের আগে ফের আর একবার স্যানিটাইজ করা দরকার। মেকআপের বিভিন্ন ভালো প্রোডাক্ট অনেক দামি হয়। সেগুলো একবার ব্যবহার করে ফেলে দেওয়া যায় না। তাই ফাউন্ডেশন, আইশ্যাডো, ব্লসম—এগুলোর ক্ষেত্রে ব্রাশ, স্পানজ এবং যিনি মেকআপ করছেন, তাঁর হাত স্যানিটাইজ করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। এর পাশাপাশি অভিজিত জানালেন, এখন ব্রাইডালের জন্য লিপস্টিক, কাজল, লাইনার ইত্যাদি তাঁরা আলাদা কিনে রাখতে বলছেন। যাতে ফের ব্যবহারের প্রয়োজনটাই না পড়ে। যাঁর জিনিস তিনিই ব্যবহার করবেন। তাঁর কাছেই রয়ে যাবে সেটা।
আর রোজকার হাল্কা মেকআপের সামগ্রীও মাঝে মাঝে সারফেস ক্লিনারের মতো স্প্রে দিয়ে সাফসুতরো রাখা যায়। নিজের স্পানজ নিজে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারেন। আর ইউজ-অ্যান্ড-থ্রো স্পানজও পাওয়া যায় আজকাল। চাইলে সেটাও রাখতে পারেন। ব্যবহার করে ফেলে দিন। মেকআপের সব ব্রাশও রোজ পরিষ্কার করে রাখতে হবে। বাইরে বেরিয়ে টিপ পরলেও সেটা একবারই ব্যবহার করুন। পরদিন আবার নতুন একটা নিয়ে কপালে পরুন। অভিজিতের পরামর্শ, বাইরে থেকে এসে অবশ্যই স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ক্লিন করে নিন। তারপরে মেকআপ ভালো করে তুলে নিয়ে স্নান সেরে ফেলুন।