কর্মপ্রার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। নিকটস্থানীয় কারও প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। পুরোনো কোনও বন্ধুর ... বিশদ
চারুলতা ছবিটার কথা মনে পড়ছে? মাধবী মুখোপাধ্যায়ের ব্লাউজের গলায়, হাতার প্রান্তে ফ্রিলের ব্যবহার ছিল ভারী শিল্পসম্মত। সে যুগের মেয়েরা ব্লাউজের গলায় ও হাতায় অনেকরকম ডিজাইনে ফ্রিল বসিয়ে কেতাদুরস্ত সাজে সাজতেন। কনট্রাস্ট রঙের চওড়া ফ্রিল, একই রঙের প্লিটেড ফ্রিল, একেবারে সরু লেসের ফ্রিল, চওড়া লেসের ফ্রিল, গোল গলায় চওড়া ফ্রিল শুধু পিঠের দিকে, এয়ার হোস্টেস গলায় মাঝারি চওড়া ফ্রিল— এমন নানান ডিজাইনে ফ্রিলের ব্যবহার সাজাত তখনকার ব্লাউজ ও জ্যাকেটকে। ছোটদের ফ্রকের গলায় বুকের কাছে ও নীচে ফ্রিল বসিয়ে ডিজাইন করা হত। স্কার্টও হত অনেকগুলো স্টেপে ফ্রিল লাগিয়ে। সেই পুরনো নকশাই ফিরে এসেছে নতুন রূপে, নতুন আঙ্গিকে।
প্রথম ছবিতে আমাদের মডেল মহাশ্বেতা পরেছেন ফ্রিলের অভিনব ডিজাইনে তৈরি লেহেঙ্গা চোলি। ড্রেসটির বিশেষত্ব হল নানারকম ফ্যাব্রিকের অদ্ভুত সুন্দর ব্যবহার। লুঙ্গি, গামছা, জরি, নেট, জুট নানান রঙের মিলমিশে হয়ে উঠেছে ঝলমলে লেহেঙ্গা চোলি। এটি ডিজাইনার ইরানি মিত্র’র তৈরি। ইরানি জানালেন, তিনি সবসময়েই নতুন কিছু ডিজাইন তৈরির নেশায় নানারকম ফ্যাব্রিক নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালান। শুধু লেহেঙ্গা নয়, শাড়িতে এক্কেবারে অন্যরকমভাবে ফ্রিলের ব্যবহার করছেন তিনি। তাঁর ইন্দো-ওয়েস্টার্ন শাড়ি খুব পছন্দ করছেন টলিউডের সেলেবরা।
দ্বিতীয় ছবিতে মহাশ্বেতা পরেছেন লাল টুকটুকে ফ্রিলে সাজানো একটি সাদা-কালো তাঁতের শাড়ি। নেটের ওপর লাল এমব্রয়ডারি করা প্যাচ বসানো হয়েছে শাড়িতে নানান প্লেসমেন্টে। শাড়িটি ‘সৃজনী’ বুটিক থেকে নেওয়া। ডিজাইনার লিপি দাস জানালেন, একটি সাধারণ কালো-সাদা চেক তাঁতের শাড়িকে কীভাবে গর্জিয়াস লুক দেওয়া যায় তা করে দেখিয়েছেন তিনি। বিশেষ করে কনট্রাস্ট ফ্রিলের ব্যবহার শাড়িটিকে পার্টিওয়্যার করে তুলেছে।
তৃতীয় শাড়িটি রেশম চেক। হালকা রেশম চেকে কনট্রাস্ট নয়, একই রঙের ফ্রিল লাগানো হয়েছে। তুঁতে নীল শাড়িটির পাড় আঁচল ও কুঁচিতে সাদা ফুল ফুটিয়েছেন ডিজাইনার তুলির অসামান্য টানে। শাড়িটিতে আরও ঝলমলে লুক আসতে সরু জরি সুতোয় ফুলের আউট লাইন করা হয়েছে। শাড়িটি ‘অপূর্ব বুটিক’ থেকে নেওয়া। এখানে ফ্রিলের নকশায় সাজানো অনেক ধরনের শাড়ি পাবেন। তবে কোনটায় আপনাকে মানাবে তা বুঝে কেনার ভার আপনারই।