কর্মপ্রার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। নিকটস্থানীয় কারও প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। পুরোনো কোনও বন্ধুর ... বিশদ
দিন তো চলে তার নিজের গতিতে। প্রকৃতি তার শোভা বদলায় আপন খেয়ালে। তাই করোনা সংক্রান্ত সব নিয়ম নিষ্ঠা নিয়ে মানুন। আর ডিজাইনারদের বসন্ত সম্ভারে চোখ রাখুন। এই মুহূর্তে শপিংয়ে বেরনো সম্ভব নয়, কিন্তু ফোনে পছন্দের শাড়িটি বুক করে রাখার সুযোগ রয়েছে।
প্রথম শাড়িটি ভাগলপুরের তসর। অদ্ভুত সুন্দর রং। ঠিক রানিও নয়, আবার বেগুনিও নয়—ম্যাট ম্যাজেন্টা বলা যেতে পারে। সিলভার জরি বর্ডার ও বুটি। ফ্লোরাল মোটিফে তৈরি একটু বড় বুটি। সিলভার জরিও ম্যাট কনসেপ্টে বোনা। শাড়িটি বেহালার ‘সুপ্রিয়া’জ বুটিক’ থেকে নেওয়া। ডিজাইনার সুপ্রিয়া গঙ্গোপাধ্যায় জানালেন, শুধু ভাগলপুরই নয়, ভারতের প্রায় সব প্রদেশ থেকেই শাড়ি আনেন তিনি। সবই হাতে বোনা।
দ্বিতীয় শাড়িটি ম্যাট জরি বর্ডার হ্যান্ডলুম। শাড়িটির বিশেষত্ব প্রিন্টে। মাছের মোটিফে এক্সক্লুসিভ ব্লক তৈরি করিয়েছেন ডিজাইনার শাশ্বতী দাস। গ্রে ও গাঢ় পিঙ্কের কম্বিনেশনে প্রিন্ট করা হ্যান্ডলুমটি অনুষ্ঠানে পরার জন্য বেশ ভালো। শাড়িটি ‘সোনাঝুরি’ বুটিকের। বসন্ত সম্ভারে প্রাধান্য পেয়েছে প্রিন্ট।
তৃতীয় শাড়িটি বেশ জমকালো, যেন উৎসবের মেজাজ ছড়িয়ে আছে শাড়ির ভাঁজে। তসর শাড়িটিকে রেশম তাঞ্চই বর্ডার আর বেনারসি আঁচল বসিয়ে গার্জিয়াস লুক দিয়েছেন ডিজাইনার ডালিয়া বি মিত্র। জমিতে ব্লকপ্রিন্ট শাড়িটিকে আরও সুন্দর করে তুলেছে। ‘দশভূজা’ বুটিকে এমন জমকালো শাড়ির প্রচুর স্টক পাবেন।
চতুর্থ শাড়িটি তাঁত প্রিন্ট, কিন্তু সাধারণ তাঁতপ্রিন্ট বলতে যা বোঝায় ঠিক সেই রকম নয়, একেবারে অন্যরকম। আর এই অন্য রকম করার নেশাই ডিজাইনার অনুশ্রী ও শম্পার। তাঁদের ‘অনুস্পা’ বুটিকে তাঁতের ক্যানভাসে এক্সক্লুসিভ ব্লকপ্রিন্ট ও হ্যান্ডপেন্টিংয়ের সমারোহ। ব্লকপ্রিন্টে শাড়ির নীচের অংশ সাদা রেখে ওপর দিকে উজ্জ্বল রঙে প্রিন্ট করেছেন এবার। বেশ অফ বিট গেট আপ।
পঞ্চম শাড়িটি গঙ্গাযমুনা পাড় হ্যান্ডলুম। শাড়িটিকে এক্সক্লুসিভ আজরক প্রিন্টে সাজিয়েছেন ডিজাইনার চৈতালি ঘোষ। তাঁর ‘ফাগুন’ বুটিকের স্প্রিং সামার কালেকশনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে এই আজরক প্রিন্টের হ্যান্ডলুম। তুলতুলে নরম এই শাড়ি পরে চলে যেতে পারেন যে কোনও উৎসবে।