পিতার স্বাস্থ্যহানী হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
নিয়মিত নিজের যত্ন নেওয়া থেকে ভালো আর কিছু হতে পারে না। সবারই মন চায় নিজেকে নিজের মতো করে সাজিয়ে গুছিয়ে মেলে ধরার। কিন্তু দৈনন্দিন ঘর সংসার বা অফিসের কাজ সামলে দিনের শেষে ক্লান্ত বোধ হয়। এমনকী সময় করে পার্লারে গিয়ে রিল্যাক্স করার মতো সুযোগটারও খুব অভাব। আবার সবার পক্ষে সম্ভব হয় না নানারকম বিউটি প্রোডাক্টস কিনে সময় নিয়ে রূপচর্চা করার। বিশেষত অনেক বিউটি প্রোডাক্টই নানারকম কেমিকেল, ভেজাল রঙে তৈরি হয় যা ত্বক ও চুলের দফারফা করে দেয়। এর থেকে ভালো হয় যদি সহজেই হাতের কাছে পাওয়া যায় এমন কিছু ঘরোয়া টোটকা দিয়ে নিজেকে লাবণ্যময়ী করে তোলা যায়। হলুদের সঠিক প্রয়োগে থাকবে না কোনও সাইড এফেক্ট বা হবেন না আপনি বন্ধুমহলে উপহাসের পাত্রী।
রান্নাঘরে হলুদ খুবই প্রয়োজনীয় একটি মশলা যা ছাড়া রান্নায় স্বাদ, রং কিছুই আসে না। তবে হলুদ শুধুমাত্র রান্নায় নয় আমাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে অনেকটাই কাজে লাগে। শরীর, ত্বক ও চুলের সৌন্দর্যবৃদ্ধির চাবিকাঠি রয়েছে হলুদে। হলুদের মধ্যে থাকে কারকিউমিন যা অ্যান্টি অক্সিডেন্টের কাজ করে আমাদের ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা এনে দেয়। বিশেষত হলুদ খুব ভালো বিউটি প্রোডাক্ট হিসাবে কাজ করে। দই, মধু, চন্দন, হলুদ মিশিয়ে একটা ফেস প্যাক বানিয়ে তা ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে ধুয়ে ফেললে ত্বকের উজ্জ্বল ভাব ধীরে ধীরে চোখে পড়বে। যাঁদের অয়েলি স্কিন বা ত্বকে ব্রণর সমস্যা আছে তাঁরা এই প্যাকের মধ্যে ২-৪ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করুন। ব্রণ খুব বেশি হলে ২-১ ফোঁটা টি-ট্রি এসেনশিয়াল অয়েল মেশাতে পারেন ফেস প্যাকটিতে। নর্মাল স্কিনের জন্য ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল খুব উপকারী। যাঁদের স্কিন খুব ড্রাই তাঁরা দুধের সঙ্গে হলুদ, মধু ও বেসন মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখে লাগান ও ২০ মিনিট রাখার পর ধুয়ে নিন। এতে ত্বক অনেক ময়েশ্চরাইজ হবে, গ্লো আসবে। এমনকী অ্যাকনে কমবে, রিঙ্কলস আসবে না, সানট্যান দূর হবে ও ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় থাকবে। স্ট্রেচমার্ক দূর করার জন্য হলুদবাটা ও দই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে স্ট্রেচমার্কের ওপর লাগান ও ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। হলুদবাটা সম্ভব না হলে হলুদগুঁড়ো জলে মিশিয়েও ব্যবহার করা যাবে। ম্যাজিকের মতো দূর হবে স্ট্রেচমার্কস। অনেকের মুখে বড় লোম বা চুল দেখা যায় যা দেখতে খুবই খারাপ দেখায়। হলুদের মধ্যে হিরসুটিসম নামক একরকম উপাদান থাকে যা মুখের বড় লোম বা চুল তুলে ফেলতে সাহায্য করে। এর জন্য দই, হলুদ ও কর্নফ্লাওয়ার মিশিয়ে একটা প্যাক বানিয়ে তা মুখে লাগান। প্যাক শুকিয়ে গেলে ভিজে কাপড় দিয়ে ঘষে ঘষে তুলে দিন। এই পদ্ধতি নিয়মিত ব্যবহার করলে এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। তবে অবশ্যই সদ্য ওঠা বা পাতলা লোম বা চুলের জন্য এটি প্রযোজ্য। মুখের মৃত কোষগুলিকে দূর করে ত্বক টানটান ও উজ্জ্বল করার জন্য ১ টেবিল চামচ আপেল সাইডার ভিনিগার ও টেবিল চামচ হলুদ মিশিয়ে তা ১৫ মিনিট মাসাজ করার পর ধুয়ে নিন। হলুদ খুশকির সমস্যাতেও খুব ভালো কাজ করে। অলিভ অয়েল ও হলুদ মিশিয়ে তা স্ক্যাল্পে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে নিলে স্কাল্পের সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে। এছাড়া দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়েও খাওয়া হয় যা ‘হলদি দুধ’ নামে পরিচিত। এই হলদি দুধের কোনও বিকল্প হয় না, শরীর, ত্বক ও চুল ভালো রাখার জন্য।