পিতার স্বাস্থ্যহানী হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
আমার স্টাইল স্টেটমেন্ট
আমার কাজ
আমি খুবই লাকি যে অমিতাভ বচ্চনের মত অভিনেতার সঙ্গে দুটো ছবি করেছি। সুজিত সরকার, সুজয় ঘোষ, অনুরাগ কাশপ্যের মতো পরিচালকের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। আমি অনেকের কাছেই কাজ চাইতে যাই। আর ব্যাপারে আমার কোনও লজ্জা নেই। সঞ্জয় (লীলা বনশালি) স্যরের সঙ্গে শাহরুখের দিওয়ালি পার্টিতে দেখা হয়েছিল। তখন ওঁর ছবিতে কাজ করার ইচ্ছা ব্যক্ত করি। আমার ‘মনমর্জিয়া’ ছবি দেখে রাজু (কুমার হিরানী) স্যর আমাকে মেসেজ করেছিলেন। পরে ওঁর অফিসে গিয়ে দেখা করি। ওঁর ছবিতেও অভিনয়ের করার কথা বলি। আমার খুব ইচ্ছে ছিল দুই নায়িকা প্রধান ছবিতে কাজ করার। তাই ‘সান্ড কি আঁখ’ ছবিটি করতে বিশেষ আগ্রহী হই। আর আমি ঝুঁকি নিতে দারুণ ভালবাসি। তাই ৩০ বছরে দাঁড়িয়ে ৬০ বছরের বৃদ্ধার চরিত্রে অভিনয় করতে পিছপা হইনি। এর আগে অনেক অভিনেত্রীকে আমার অভিনীত চরিত্রটি করতে প্রস্তাব দেওয়া হয়ে ছিল। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেননি ঝুঁকি নিতে। তবে আজ এনিয়ে অনেক বিতর্ক দানা বেঁধেছে। কেন কোনও বয়স্কা অভিনেত্রীকে চরিত্রটি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। কিন্তু এর আগে আমির খান, অনুপম স্যর একই কাজ করেছেন তখন তাঁদের বাহবা দেওয়া হয়েছে। আসলে চরিত্র নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে ভালবাসি। এই ছবির জন্য আমাকে ভাষা, উচ্চারণভঙ্গি, বডি ল্যাংগুয়েজ, আর অবশ্যই বন্দুক চালানো শিখতে হয়েছে। আমার নিশানা বরাবরই খারাপ। তাই বন্দুক চালানো শিখতে অনেক সময় লেগেছে। কিন্তু ভূমি (পেডনেকর) তাড়াতাড়ি শিখেছিল।
আমার মা
আমার কেরিয়ারের বয়স নয় বছর। এই প্রথম মা শুটিংয়ে আমার সঙ্গে ছিলেন। ‘সান্ড কি আঁখ’ ছবির শুটিং আসল লোকেশনে হয়েছিল। চান্দ্রু দাদির বাড়িতে আমরা শুটিং করেছি। আমার মা আমার সঙ্গে টানা এক মাস চান্দ্রু দাদির বাড়িতে ছিলেন। উনি ওঁদের পরিবারের একজন হয়ে উঠেছিলেন। ওঁদের রান্নাঘরে গিয়ে মা রান্নায় সাহায্য করতেন। আমার মা আমাকে সবসময় উৎসাহ দিয়ে এসেছেন। এই ছবিটার ক্ষেত্রে মা আমার রেফারেন্স ছিলেন। আমি ওঁর অভিব্যক্তিকে পর্দায় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমি মাকে একবার জিঞ্জেস করেছিলাম যে বিয়ের আগে উনি কী হতে চেয়ে ছিলেন। মা উত্তরে বলেছিলেন যে তিনি জানতেনই না কী হতে চান। মা বি এ পাস করেছিলেন। ওয়াইডব্লুসিএ-তে একটা ডিপ্লোমা কোর্স করেছিলেন। এরপর বাবা-মায়ের পছন্দ করা ছেলেকে মা বিয়ে করেন। এখনও মা জানেন না অবসর সময়ে কী করবেন। আমার একটা বাজে দোষ আছে, সবকিছুতে যুক্তি খুঁজে বেড়াই। মা তাতে খুব রেগে যান। মা আমাকে আর বোনকে ছোট থেকে বলে এসেছেন যে কোনও বিষয়ে তর্ক যেন না করি। কিন্তু চুপ করে থাকতে পারি না। আমি আমার ছন্দে চলি।
আমার আমি
আমার আর্থিক দিক বাবা দেখভাল করেন। আমি বিজ্ঞানের ছাত্রী। তাই ব্যালেন্স শিট নিয়ে কোনও ধারণা আমার নেই। আমি শুধু টিকিট, খাবার এবং হোটেলের বিল মেটাতেই খরচ করি। আমি খুব একটা শপিং করি না। তবে নানান স্টাইলের জুতো এবং ব্যাগ কিনতে দারুণ লাগে। জুতো এবং ব্যাগের জন্য টাকা খরচ করি। তবে এক লাখ টাকা দিয়ে কি করে কেউ একটা ব্যাগ কেনেন তা বুঝে উঠতে পারি না। একবার বিদেশে ৮০ হাজার টাকার একটা ব্যাগ দারুণ পছন্দ হয়। আমি কিনতে পারিনি। পরে আমার বোনকে বলি ব্যাগটা কিনে আনতে। আজও আমার মনে হয় এই ব্যাগের পিছনে আমি বেশি অর্থ ব্যয় করেছি। আমি প্রচুর উপহার পাই। আর উপহার দিতেও দারুণ লাগে। বোনকে আমি একটা গাড়ি উপহার দিয়েছি। ওকে অর্ধেক বিশ্ব ঘুরিয়ে দিয়েছি। আমি আমার বাবা-মা-কেও বেড়াতে নিয়ে গিয়েছি। আমি সাদামাটা থাকতে ভালবাসি। বাড়িতে আমি আমার মতো থাকি। নিজের কিছু কাজ করি। নিজের জামাকাপড় কেচে শুকাই। জিনিসপত্র অর্ডার করি। বাড়িতে আমার কোনও সারা দিনের কাজের লোক নেই।
আমার কলকাতা
কলকাতা আমার দারুণ লাগে। তিনবার আমি কলকাতায় গিয়েছি। ‘পিঙ্ক’, ‘নাম শাবানা’ ছবি দুটি এবং একটা ইভেন্টের জন্য কলকাতাতে গিয়েছিলাম। ওখানে গেলে সবাই অস্থির হয়ে যান যে আমাকে কী কী খাওয়াবেন। কলকাতাতে মাটনের দারুণ সুস্বাদু পদ পাওয়া যায়। আর গুড়ের সন্দেশ আমার দুর্দান্ত লেগেছিল। আজ আমি যেটুকু সাফল্য পেয়েছি তাঁর পিছনে অনেক বাঙালির অবদান আছে। তাই মনে করি, বাঙালিরা আমার কাছে লাকি।