Bartaman Patrika
চারুপমা
 

বাঙালিবাবুর সাজসজ্জা 

একালের মতো সেকালের বাবুদেরও সাজগোজের সীমা ছিল না। সাধারণত মনে হয় সাজসজ্জা প্রসাধন বুঝি মেয়েদেরই একচেটিয়া ব্যাপার, কিন্তু সাজ প্রসাধনের শৌখিনতা ও বিলাসিতায় পুরুষেরাও পশ্চাদপদ নয়। একালের মতো সেকালেও তার ভুরি ভুরি নজির মেলে। লিখেছেন শ্যামলী বসু।

কালীঘাটের পটে, পটুয়ার তুলির টানে সেকালের বাঙালিবাবুর ছবি পরিষ্কার ফুটেছে। গিলে করা পাঞ্জাবি, উড়নিটি গলায় প্যাঁচানো বা চাদরটি কাঁধে ফেলা, কোঁচাটি যেন ময়ূরের পেখম, গোঁফের সরু দুটি প্রান্ত মোমমাজা। চুলের বাহারও কিছুমাত্র কম নয়। কাঁধ অবধি বাবড়ি, অথবা সিঁথিকাটা। পায়ে নাগরা কি লপেটা, অ্যালবার্ট বা পাম্পশ্যু। ছড়িটি থাকত হাতে, দৈবাৎ পোষা টিয়েটি। বাইজির আসর যেতে গলায় দুলত বেল জুঁই-এর গোড়ে, কখনও তা থাকত হাতে জড়ানো।
হুবহু প্রায় এইরকম সাজে সেকালের এক শৌখিন পুরুষকে তাঁদের বাড়ি আসতে দেখেছেন কল্যাণী দত্ত পঁচাশি-নব্বই বছর আগে। ‘ঘোষাল বলে এক ভদ্দরলোক আমাদের বাড়ি আসতেন। ... অত্যন্ত সুপুরুষ। যেমন চোখে পড়বার মতো চেহারা, তেমনই পোশাকেও বাহার। হাতে হাতির দাঁতের কাজ করা ছড়ি, পায়ে নকশাদার জুতো কিংবা সাজা নাগরা। ছুরি দিয়ে কাপড় চাদর কুঁচোনো, শীতের দিনে শাল, জামায় মিনে করা বোতাম, হাতে বর্মা চুরুট।’ রানিচন্দ’ও ছোটবেলায় পূর্ব বাংলার গণ্ডগ্রামে তাঁর মামার বাড়িতে আসতে দেখতেন এক শৌখিন প্রতিবেশী পুরুষকে। ‘কোঁচানো ধুতি পাঞ্জাবি পরে, গায়ে শাল জড়িয়ে ছড়ি হাতে নিয়ে।’
শিল্পী পরিতোষ সেন লিখেছেন, তাঁর বাবা বিখ্যাত কবিরাজ প্রসন্নকুমারের কথা। তিনি নিয়মিত ‘চুল গোঁফের প্রসাধন’ (কলপ) করে পরতেন— ‘ম্যানচেস্টারি’ (বিলিতি মিল) ‘নয়ন সুখ’ ধুতি, ... গিলে করা ফিনফিনে আদ্দির পাঞ্জাবি।’ এরপর ‘এক টুকরো তুলো সুগন্ধি আতরে ভিজিয়ে... ডান দিকের কানে গুঁজে’ দিতেন। এই সুগন্ধের ব্যবহার ছিল সেকালের শৌখিন পুরুষের প্রিয় প্রসাধন। কত রকমের আতর এছাড়া দেশি-বিদেশি কত সুগন্ধ সুরভিই ব্যবহার করতেন। সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের মেয়ে ইন্দিরা লিখেছেন, নাটোররাজ জগদীন্দ্রনাথ রায়ের কথা। ‘... এমন সুন্দর সুগন্ধ মাখতেন যে, পাড়ায় কোনও বাড়িতে এলে রাস্তা অবধি সুবাসে ভুরভুর করত।’
একালের মতো সেকালের বাবুদেরও কত রকমের সাজই যে ছিল। কাজের সাজ, বিয়ে বাড়ি যাবার সাজ, বরের সাজ, পার্টি যাবার সাজ, থিয়েটার যাবার সাজ, শীতের সাজ, আবার কেবল সাজের জন্যই সাজ। সাজ-প্রসাধন নিয়ে নানা রকম খেয়ালিপনা, বাবুয়ানিও চলত। সেকালের এমন এক খেয়ালিবাবু— উপেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথা বলেছেন অবনীন্দ্রনাথ। — ‘তাঁর শখ ছিল কাপড়-চোপড় সাজগোজে... সাজতে তিনি খুব ভালোবাসতেন, ঋতুর সঙ্গে রং মিলিয়ে তিনি সাজ করতেন। ‘... আমরা ছোটবেলায় দেখেছি, আশি বছরের বুড়ো তখন তিনি। বসন্তকালে হলদে রঙের চাপকান, জরির টুপি মাথায় বের হতেন বিকেল বেলায় হাওয়া খেতে।’
সেকালের ঢিমেতালে চলা জীবনে— সম্ভ্রান্ত সচ্ছল পরিবারের মানুষেরা সাধারণত খোসমেজাজি খোস পোশাকিই হতেন। সেই সঙ্গে সাজসজ্জার পরিপাট্য, চাকচিক্য— দাম আর অঙ্গের হীরে জহরত নিয়েও সেকালের বড় মানুষদের মধ্যে একটা প্রচ্ছন্ন রেষারেষি, প্রতিযোগিতাও চলত, বিশেষ করে বড় পরিবারগুলির মধ্যে। দ্বারকানাথ ঠাকুরের মৃত্যুর পর পিতৃঋণ শোধ করার জন্য দেবেন্দ্রনাথের আর্থিক অবস্থা যখন বিপর্যস্ত, তখন শোভাবাজারের রাজবাড়ি থেকে বড় নিমন্ত্রণ এল। এই অবস্থায় বাবু দেবেন্দ্রনাথ কী সাজে আসেন, তা নিয়ে সেকালের ধনী পরিবারে জল্পনা-কল্পনা ও কৌতূহলের শেষ ছিল না। দেবেন্দ্রনাথও সেটা বুঝেছিলেন। তখন পুরানো জহুরিকে বললেন, একজোড়া মখমলের জুতোয় মুক্তো বসিয়ে নকশা করে আনতে। অবনীন্দ্রনাথ জানিয়েছেন, তারপর দেবেন্দ্রনাথ নিমন্ত্রণ সভায় এলেন সাদা আচকান জোড়া সাদা পাগড়ি পরে। ‘কোথাও জরি কিংখাব নেই। আগাগোড়া ধবধব করছে বেশ। পায়ে কেবল সেই মুক্তো বসানো মখমলের জুতো জোড়াটি।’ এই সাজ দেখে খুশি হয়ে গৃহকর্তা সকলকে ডেকে দেখিয়ে বলেছিলেন— ‘একেই বলে বড়লোক! আমরা যা গলায় মাথায় দুলিয়েছি, ইনি তা পায়ে রেখেছেন।’ দেবেন্দ্রনাথের অনাড়ম্বর অভিজাত সাজে সচেতন বনেদিয়ানা স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল।
তবে প্রধানত অভিজাত পরিবারের পুরুষ, সচ্ছল সম্পন্ন ব্যবসায়ী পরিবার আর উঁচু পদের রাজকর্মচারীরাই সাজপোশাক ও প্রসাধন নিয়ে সচেতন ছিলেন। নাটোররাজ জগদীন্দ্রনাথ সম্বন্ধে প্রচলিত কথা ছিল যে, ‘একদিন যে পোশাক-পরিচ্ছদ পরতেন তা আর দ্বিতীয় দিন তিনি অঙ্গে ধারণ করতেন না।’ দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরও ‘কিছুদিন বাদে বাদেই ব্যবহারের জামাকাপড় ফেলে দিতেন।’ এ তথ্য জানিয়ে অবনীন্দ্রনাথ বলেছেন, তাঁর বাবা গুণেন্দ্রনাথের কথা। গুণেন্দ্রনাথ প্রতিবছর গরমকালে আলমারি খালি করতেন। হাতের কাছে যা জামাকাপড় পেতেন টেনে ফেলে দিতেন। আবার নতুন পোশাকে ভরে উঠত তাঁর সাজের আলমারি।’
বিলাসিতা, বড়মানুষি আর শৌখিনতার নতুনত্ব বা বাড়াবাড়ি ছাড়াও শিক্ষিত, সংস্কৃতিবান বাঙালি পুরুষ সাজে-পোশাকে একটা সচেতন ঔদাসীন্য দেখাতেন। সেটাই তাদের সাজের বৈশিষ্ট্য। প্রমথ চৌধুরী প্রসঙ্গে এক প্রত্যক্ষদর্শী লিখেছেন, ‘আভূমি লুণ্ঠিত চুনোট করা ধুতির অগ্রভাগ ধূলি ধূসরিত, গায়ে শ্বেতশুভ্র পরিচ্ছন্ন পাঞ্জাবি। ...সিঁড়ি দিয়ে উঠবার সময় কোঁচার প্রান্তভাগ কোনওদিন হাতে ধরতেন না। এটাই ছিল তাঁর বৈশিষ্ট্য।’
সেকালের বড়ঘরের ছেলেদের বিয়ের সাজের ঘটাও কিছু কম ছিল না। তাজ, পাগড়ি চাপকান আচকানে সেজে, হীরে মুক্তো হাতে গলায় পরে খাসগেলাসের ঝাড়বাতি নিয়ে, আতশ বাজি ফুটিয়ে বিয়ে করতে আসত সেকালের বাঙালি বর। কখনও বা অঙ্গে থাকত জরি মখমলের সাজ— মাথায় জরির টুপি। একশো বছর আগে প্রায় একই সঙ্গে বিয়ে হয় লেখিকা জ্যোতির্ময়ীদেবী ও তাঁর দিদির। দিদির বর ‘আলো এবং বাজনা বাদ্য করে ‘যাত্রার দুর্যোধনের মতো মখমলের পোশাক পরে এসেছিলেন।’ জ্যোতির্ময়ীর স্বামী এসেছিলেন ধুতিচাদরের সাজে। প্রায় দেড়শো বছর আগে দেবেন্দ্রনাথের সেজ ছেলে হেমেন্দ্রনাথ বিয়ে করতে গিয়েছিলেন বেনারসি জোড়, হীরের কণ্ঠা, মুক্তামালা আর অনেকগুলো জড়োয়া আংটি পরে। পরের প্রজন্মের গগনেন্দ্রনাথের বড় ছেলে গেহেন্দ্রের বিয়ের সাজ ছিল— ‘বেনারসি জোড় পাঞ্জাবি..., কপালে চন্দন, গলায় ফুলের মালা, মাথায় টোপর, গলায় হীরের কণ্ঠা, হাতে হীরের আংটি।’ জানিয়েছেন বোন পূর্ণিমা।
হুতোমের কলমের আঁচড়ে ফুটেছে সেকালের নতুন পয়সা হওয়া বাঙালিবাবুর পুজোর সাজের ছবি। বারোইয়ারি পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা— ‘শ্যামবর্ণ, বেঁটেখাটো’ রকমের বীরকৃষ্ণ দাঁ— ‘ধূপছায়া চেলির জোড় ও কলার কপ ও প্লেট ওয়ালা (ঝাড়ের গোলাপের মতো) কামিজ ও ঢাকাই ট্যারচা কাজের চাদরে শোভা পাচ্ছেন। রুমলেটি কোমরে বাঁদা আচে...।’ শখশৌখিনতার এ চাকচিক্য বনেদি আভিজাত্যের একেবারে বিপরীত। সেটাই পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন হুতোম— বীরকৃষ্ণের সাজে।
শাসক সম্প্রদায়ের সাজ-প্রসাধন আর খাওয়া দাওয়া সুস্পষ্ট প্রভাব ফেলে দেশের জীবনচর্যায়। বিশেষ করে উচ্চবিত্ত ও উচ্চপদের রাজকর্মচারী আর অভিজাত মহলের জীবনযাত্রায়। মুসলমানি আমলে তাজ জরির টুপি, চোগা চাপকান, আচকানে তারই ছায়া। আবার ইংরেজ শাসন কায়েম হলে ধনী, বাঙালি রাজকর্মচারী বাঙালির অঙ্গে উঠল স্যুট, মোজা, বুট, টাই, হ্যাট ক্রমে ইংরেজি শিক্ষিত মানুষের কাজের ও সাজের পোশাক হয়ে উঠল। তবে বনেদি পরিবারে কারও কারও সাজে পুরনো দিনের ‘পাগড়ি-ই বজায় রইল, হ্যাট নয়। গলাবন্ধ কোট ও একটা সমন্বয়ী সাজের অঙ্গহল। গগনেন্দ্রনাথের মেয়ে পূর্ণিমা লিখেছেন ‘বাবা যখন স্যুট পরতেন তখন গলাবন্ধ কোট, প্যান্ট ও পাগড়ি পরতেন—’। অবশ্য যুগধর্মের প্রভাবে মুসলমানি ও ইংরেজি সাজের সঙ্গে বাঙালিবাবুর ধুতি-পাঞ্জাবির আর চাদরের সনাতন সাজটিও বজায় ছিল।
শীতের দিনে ধুতি-পাঞ্জাবির সঙ্গে শৌখিন বাঙালি গায়ে দিতেন শাল। জামেয়ার শাল ছিল বাঙালি পুরুষের বংশগৌরব আর বনেদিয়ানার প্রতীক। পূর্বপুরুষের জামেয়ার শাল এখনও অনেক পুরনো পরিবারের স্মৃতি সঞ্চয়। উনিশ শতকের ছয়-সাত দশক থেকে বিশ শতকের প্রথম তিন-চার দশকেও শালের জোব্বা ধরনের পোশাক পরতেন বনেদিবাড়ির কর্তারা। ঠাকুর পরিবারে এ সাজের চল ছিল খুবই বেশি। তখন অবশ্য ফ্যাশনেবল মহলে গরম স্যুটের সাজও এসে গেছে। সেকালের সম্ভ্রান্ত পরিবারে বাঙালি পুরুষের সাজ-পোশাক নিয়ে বিলাসিতা, শখ, শৌখিনতা যেমন প্রবাদের মতো হয়ে উঠেছিল, প্রয়োজন হলে সেই সাজসজ্জার মোহ কাটিয়ে বেরিয়ে আসতেও সময় নিতেন না তেজস্বী বাঙালি পুরুষ। স্বদেশি যুগে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনের সাজ বদলে কৃচ্ছ্রসাধনার কথার সশ্রদ্ধ বিবরণ দিয়েছেন তাঁর সুগায়িকা ভাগ্নি সাহানাদেবী। ‘মামাবাবুকে খদ্দর পরতে দেখে খুবই কষ্ট হত। ৬০ ইঞ্চি বহরের অর্ডার দেওয়া শান্তিপুরি কোঁচানো ধুতি ছাড়া অন্য কিছু যিনি পরেননি, তিনি যখন ৪৪ ইঞ্চি বহরের খদ্দর পরতে লাগলেন... বুঝলাম মুখে কিছু না বললেও অত খাট ধুতিতে ওঁর অস্বস্তি হচ্ছে।’ কেবল খদ্দর পরাই নয়। সেকালের প্রথা অনুযায়ী ‘ইঙ্গবঙ্গ’ সমাজের পার্টিতে মনের জোরে বিলিতি পোশাক বর্জন করে দেশি পোশাকে যাবার মতো আদর্শ স্থাপন করেছিলেন সেকালের মনীষী বাঙালিরা। রবীন্দ্রনাথ ছিলেন তাঁদের অগ্রণী, সঙ্গে ছিলেন গগনেন্দ্রনাথ, সমরেন্দ্রনাথ, অবনীন্দ্রনাথ প্রমুখ। অবনীন্দ্রনাথের স্মৃতিচারণে জানা যায়, রবিকাকা বললেন, ‘সব ধুতি চাদরে চলো। পরলুম ধুতি পাঞ্জাবি, পায়ে দিলুম শুঁড় তোলা... চটি। ...আমাদের সাজসজ্জা দেখে সবার মুখ গম্ভীর হয়ে গেল। ... কিছুকাল পরে দেখি বাই বাইরেও সবাই সেই সাজ ধরতে আরম্ভ করেছে। ... এমনকী বিলেত ফেরতরাও ক্রমে ক্রমে ধুতি পরতে শুরু করল।’  
12th  October, 2019
স্টাইলিশ শাল স্টোল 

তিনটি তিন ধরনের শাল, স্টোল ও র‌্যাপারের কথায় সোমা লাহিড়ী।  বিশদ

14th  December, 2019
স্টাইলিশ উইন্টার মুড 

শীত আসছে। বাতাসে হিমের পরশ। মুডটা এমনিই ভালো হয়ে যায়। আর মুড যখন ভালো তখন স্টাইল তো জমবেই। স্টাইলিশ উইন্টার ওয়্যারের খবরে সোমা লাহিড়ী। 
বিশদ

30th  November, 2019
চরিত্র যেমন সাজ তেমন 

১৩ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে পরিচালক অভিরূপ ঘোষের ছবি জম্বিস্থান। ছবির কাহিনী, চিত্রনাট্য, সংলাপ ও পোশাক পরিকল্পনার দায়িত্বে স্বয়ং পরিচালক। খবরে চৈতালি দত্ত। 
বিশদ

23rd  November, 2019
জ্যাকেটে জমজমাট হেমন্ত 

হেমন্তের হিমেল হাওয়ায় জ্যাকেট এল নতুন সাজে। ফ্যাব্রিক থেকে ডিজাইন সব কিছুতেই বেশ বদল হয়েছে এবার। কেমন সেই বদল? ছবিতে লেখায় রইল সেই হেমন্ত স্পেশাল জ্যাকেটের হদিশ। হদিশ দিলেন সোমা লাহিড়ী। 
বিশদ

23rd  November, 2019
পাঞ্জাবিতে জমে যাক আড্ডা 

সব বয়সের সবার প্রিয় পাঞ্জাবি। ঠিক আড্ডার মতোই বাঙালির পছন্দের পোশাক পাঞ্জাবি। পাঞ্জাবির গল্প বলছেন সোমা লাহিড়ী।  বিশদ

16th  November, 2019
অভিনব ফ্যাশন শো
ন্যাশনাল প্যাজেন্ট ইন্ডিয়া 

একসঙ্গে পা মিলিয়ে সাত পা হাঁটলে বন্ধুত্বের অঙ্গীকার করতে হয়। মাত্র সাত পা নয় ওঁরা একসঙ্গে পা মিলিয়ে অনেক পা হাঁটলেন আর হাঁটতে হাঁটতে এই বার্তাই পৌঁছে দিলেন সমাজের কাছে, যে ওঁদের বন্ধুত্বের দাবি নারী, পুরুষ, রূপান্তকরকামী নির্বিশেষে মানবতার সঙ্গে। ওঁরা তাই লিঙ্গভেদ মানেন না, শুধু আস্থা রাখেন ‘মানুষ’ শব্দটার ওপর।  
বিশদ

09th  November, 2019
গ্রেসফুলি বয়স
বাড়লে ক্ষতি কী?

ঋতুপর্ণা, তুমি এখনও জানো না আজ তোমার সবথেকে কাছের মানুষটি সিঙ্গাপুরের ঝলমলে পাঁচতারা হোটেলে তোমার জন্মদিন সেলিব্রেট করার জন্য একটা পার্টির আয়োজন করেছেন গোপনে। তোমাকে সারপ্রাইজ দেবে বলে কেউ কিচ্ছুটি জানায়নি। এমনকী তোমার পুচকে মেয়েটাও মাকে চমকে দেবে বলে চুপিচুপি বাবা আর দাদার সঙ্গে অনেকরকম প্ল্যান করেছে।  বিশদ

09th  November, 2019
হলুদ দিয়ে রূপটান

নিয়মিত নিজের যত্ন নেওয়া থেকে ভালো আর কিছু হতে পারে না। সবারই মন চায় নিজেকে নিজের মতো করে সাজিয়ে গুছিয়ে মেলে ধরার। কিন্তু দৈনন্দিন ঘর সংসার বা অফিসের কাজ সামলে দিনের শেষে ক্লান্ত বোধ হয়। এমনকী সময় করে পার্লারে গিয়ে রিল্যাক্স করার মতো সুযোগটারও খুব অভাব। আবার সবার পক্ষে সম্ভব হয় না নানারকম বিউটি প্রোডাক্টস কিনে সময় নিয়ে রূপচর্চা করার। বিশদ

09th  November, 2019
বিকিকিনির হাটে তারকারা 

ফ্যাশনের বিকিকিনির হাটে বলিউড তারকারা এখন পসরা সাজিয়ে বসেছেন। এই তালিকায় বলিউডের প্রথম সারির অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী রয়েছেন। তাঁদের নিজস্ব ব্র্যান্ডের পোশাক, প্রসাধন সামগ্রী, অ্যাকসেসরিজ পাওয়া যায় অনলাইনে অথবা শপিং মলে। এইসব তারকাদের ভিন্ন ধরনের কর্মযোগের ইতিকথা তুলে ধরলেন দেবারতি ভট্টাচার্য। 
বিশদ

02nd  November, 2019
 দীপালিকায় জ্বালাও আলো...

 আলোর উৎসবে সাজ হওয়া চাই উজ্জ্বল প্রাণময়। কালীপুজো, দেওয়ালি, ভাইফোঁটা প্রত্যেকটি অনুষ্ঠানেই আলোময় সাজে সাজিয়ে তুলুন নিজেকে, প্রিয়জনকেও। কেমন হবে সেই সাজ জানাচ্ছেন সোমা লাহিড়ী। বিশদ

26th  October, 2019
দীপাবলিতে সুস্থ থাকার টিপস

দীপাবলিতে সাজগোজ, বাজি পোড়ানো তো রয়েইছে। কিন্তু সবকিছুই করতে হবে নিজেকে সুস্থ রেখে। বাজিতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে চোখ, শরীরকেও রাখতে হবে তরতাজা। সংকলনে স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী। বিশদ

26th  October, 2019
ওজন ঝরিয়ে উৎসবে
হয়ে উঠুন মোহময়ী 

সামনেই দীপাবলি। আলোর উৎসব। এই সময় নিজেকেও ঘষেমেজে আলোকোজ্জ্বল করে তোলার একটা ইচ্ছে সবারই থাকে। শরীর থেকে চুঁইয়ে পড়বে ঔজ্জ্বল্য, তবেই না লোকে দু’বার তাকাবে! তার জন্য শরীরকে করে তুলতে হবে নির্মেদ, বাহুল্যবর্জিত। 
বিশদ

19th  October, 2019
আসছে আলোর দিন 

আসছে ধনতেরস। তারপরই দীপাবলি। আলোয় আলোয় ভরে ওঠার দিন। এমন উৎসবে কেমন হবে সাজ, জানাচ্ছেন সোমা লাহিড়ী।  বিশদ

19th  October, 2019
তাপসী স্টাইলে বিশ্বাসী 

 বলিউডের সাম্রাজ্যের বাইরে থেকে এসেও খুব কম সময়ে নিজের জায়গা তৈরি করে নিয়েছেন তাপসী পান্নু। মুক্তি পেতে চলেছে তাঁর অভিনীত ছবি ‘সান্ড কি আঁখ’। এক খোলামেলা আড্ডায় উঠে এল তাপসীর ফ্যাশন থেকে বাঙালি প্রীতির কথা। বিশদ

12th  October, 2019
একনজরে
 শিলং, ১৪ ডিসেম্বর: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে উত্তাল উত্তর-পূর্ব ভারত। আন্দোলন চলছে পশ্চিমবঙ্গ সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যেও। এরমধ্যে নতুন বিতর্ক তৈরি করলেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায়। শুক্রবার ট্যুইটারে তাঁর বার্তা, আপনি যদি বিভেদকামী গণতন্ত্র না চান, তাহলে আপনার উত্তর কোরিয়া ...

সংবাদদাতা, কুমারগ্রাম: আগামী ২৭-২৯ ডিসেম্বর তুফানগঞ্জ-১ ব্লক কৃষি দপ্তরের উদ্যোগে এবং ব্লক প্রশাসনের সহযোগিতায় একটি কৃষি মেলা আয়োজিত হবে। তুফানগঞ্জ-১ ব্লকের চিলাখানা ফুটবল মাঠে এই মেলা হবে।   ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নোটবন্দির ফাঁদে রাজ্যের বহু আদালত। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে আদালতে জমা থাকা পুরনো ৫০০ বা ১০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কে জমা না করায় এমনই জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই সমস্যার সমাধানে কলকাতা হাইকোর্ট প্রশাসন এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে শনিবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিল কোনা এক্সপ্রেসওয়ে। গড়ফার কাছে সকাল থেকে অবরোধের পর আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হল অন্তত ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পিতার স্বাস্থ্যহানী হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক চা দিবস
১৮৭৭- টমাস এডিসন ফোনোগ্রাফের পেটেন্ট নিলেন,
১৯০৮- রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের স্বামী রঙ্গনাথানন্দের জন্ম,
১৯৫০- সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের মৃত্যু,
১৯৭৬- ফুটবলার বাইচুং ভুটিয়ার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.৮০ টাকা ৭১.৪৯ টাকা
পাউন্ড ৯৩.৪৩ টাকা ৯৬.৮০ টাকা
ইউরো ৭৭.৪৪ টাকা ৮০.৪৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
14th  December, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮, ৪৫৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬, ৪৮৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭, ০৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪, ০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪, ১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, রবিবার, তৃতীয়া ২/৪৫ দিবা ৭/১৮ পরে চতুর্থী ৫৮/২৫ শেষরাত্রি ৫/৩৫। পুষ্যা ৫৪/৩০ রাত্রি ৪/১। সূ উ ৬/১২/৩৫, অ ৪/৫০/১৭, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৪ গতে ৯/১ মধ্যে পুনঃ ১১/৫২ গতে ২/৪২ মধ্যে। রাত্রি ৭/৩০ গতে ৯/১৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৮ গতে ১/৪৪ মধ্যে পুনঃ ২/৩৮ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ১০/১২ গতে ১২/৫১ মধ্যে, কালরাত্রি ১/১১ গতে ২/৫১ মধ্যে। 
২৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, রবিবার, তৃতীয়া ৫/৩৫/৫৭ দিবা ৮/২৮/৫০। পুনর্বসু ১/১৯/৩২ প্রাতঃ ৬/৪৬/১৬ পরে পুষ্যা ৫৮/৫৩/৩৭ শেষরাত্রি ৫/৪৭/৫৪, সূ উ ৬/১৪/২৭, অ ৪/৫০/২৪, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১২/১ গতে ২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৯ গতে ৯/২৬ মধ্যে ও ১২/৭ গতে ১/৫৪ মধ্যে ও ২/৪৭ গতে ৬/১৫ মধ্যে, কালবেলা ১১/৩২/২৬ গতে ১২/৫১/৫৫ মধ্যে, কালরাত্রি ১/১১/৫৬ গতে ২/৫৩/২৬ মধ্যে। 
মোসলেম: ১৭ রবিয়স সানি 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা মিলবে। বৃষ: ব্যবসা শুরু করলে ভালো হবে। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
 আন্তর্জাতিক চা দিবস১৮৭৭- টমাস এডিসন ফোনোগ্রাফের পেটেন্ট নিলেন,১৯০৮- রামকৃষ্ণ মঠ ...বিশদ

07:03:20 PM

প্রথম একদিনের ম্যাচ: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৮ উইকেটে জিতল 

09:55:39 PM

প্রথম একদিনের ম্যাচ: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৩২/২ (৪০ ওভার) 

09:12:17 PM

প্রথম একদিনের ম্যাচ: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৬১/১ (৩০ ওভার) 

08:23:30 PM

মাথাভাঙায় জলাশয় থেকে পচাগলা দেহ উদ্ধার 

08:10:00 PM