Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

উন্নয়নের সঙ্গে আপস করে
জনমোহিনী বাজেট

দেবনারায়ণ সরকার

শুক্রবার লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে মোদি সরকারের ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করলেন। কার্যত এটাকে পূর্ণাঙ্গ বাজেটই বলা চলে। এই বাজেটের বিশেষত্ব এই যে নরেন্দ্র মোদি তাঁর ইনিংসের শেষ ওভারে কার্যত কমবেশি সকলেরই ক্ষত উপশম করার চেষ্টা করলেন। তবে, এর দায় বস্তুত পরবর্তী সরকারের উপরেই বর্তাবে।
প্রথমে বলব এই বাজেটের রাজস্ব শৃঙ্খলার দিকটি। চলতি অর্থবর্ষের রাজকোষ (ফিসকাল) ঘাটতি ধরা হয়েছিল জিডিপির ৩.৩ শতাংশ। কিন্তু সংশোধিত বাজেটে এটা বেড়ে দাঁড়াবে ৩.৪ শতাংশ। গত তিন বছরও রাজকোষ ঘাটতির নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। রাজকোষ ঘাটতি বৃদ্ধির অর্থ হল—পরবর্তী বছরে সুদের বোঝা আরও বাড়বে। বর্তমান বছরেও দেখা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকারের কর বাবদ যা আয় হচ্ছে তার প্রায় ৪০ শতাংশ খরচ হয়ে যাচ্ছে শুধু সুদ মেটাতে। ফলে, রাজকোষ ঘাটতি বেশি হওয়ার অর্থ হল—রাজস্ব শৃঙ্খলা অর্জনে ব্যর্থতা। রাজস্ব (রেভিনিউ) ঘাটতি চলতি বছরে দাঁড়াতে পারে ২.৫ শতাংশ। মোদি সরকারের প্রথম বছরের পর এটাই সর্বোচ্চ।
২০১৯-২০ অর্থবর্ষেও রাজকোষ ঘাটতি জিডিপির ৩.৪ শতাংশে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। অর্থাৎ আগামী বছরেও রাজকোষ ঘাটতি হ্রাসের ইঙ্গিত থাকছে না। ফলে, এটাও রাজস্ব শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে যথেষ্ট উদ্বেগের। বিমুদ্রাকরণের পর অনেক বেশি মানুষ ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করেছেন। কিন্তু, কার্যত কর-জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধির গতি নগণ্য। ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে যেখানে এই অনুপাত ছিল ১০.৬, বর্তমান অর্থবর্ষে এটা ১১.১ শতাংশে দাঁড়াতে পারে। প্রত্যক্ষ কর-জিডিপি অনুপাতও ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে যেখানে ৫.৫, বর্তমান অর্থবর্ষে সেটা ৫.৯। এখানে স্পষ্ট যে অনেক বেশি মানুষ আয়কর রিটার্ন দাখিল করলেও কর আদায় বাড়ছে খুবই কম। ফলে, রাজস্ব শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে এটাও খুব উদ্বেগের। অর্থাৎ ডিমনিটাইজেশনের ফসল সামান্যই।
কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ডেফিসিট (সিএডি) আগামী বছরে জিডিপির ২.৫ শতাংশ হবে বলে বলা হয়েছে। গত চার বছরের তুলনায় এটা অনেক বেশি। চলতি বছরে এটা বেড়ে ৩ শতাংশ হয়ে যেতে পারে। বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এটাও খুব উদ্বেগের।
বিমুদ্রাকরণের পর থেকে বিশেষ করে বেসরকারি বিনিয়োগ ভীষণভাবে কমে গিয়েছে। গত চার বছরে মোট স্থির পুঁজি গঠনের হার জিডিপির ২৮.৫ শতাংশের মতো। ইউপিএ আমলে এটা ৩৪-৩৫ শতাংশের কাছাকাছি ছিল। ফলে, কর্মসংস্থানের মূল ভরসা এখন সরকারি বিনিয়োগ। কিন্তু গত চার বছরে জিডিপির সাপেক্ষে সরকারি বিনিয়োগও ক্রমশ কমছে। আজকে পেশ করা বাজেটেও দেখা যাচ্ছে—২০১৮-১৯ সালে এটা আরও কমেছে। আগামী অর্থবর্ষে এটা আরও হ্রাসের ইঙ্গিত রয়েছে। আগামী অর্থবর্ষে ২৭ লক্ষ ৮৪ হাজার কোটি টাকা মোট ব্যয়ের মধ্যে সরকারি মূলধনী ব্যয় ধরা হয়েছে মাত্র ৩ লক্ষ ৩৬ হাজার কোটি টাকা। এটা মোট ব্যয়ের মাত্র ১২ শতাংশের মতো। এখানে সহজে অনুমান করা যায় কেন মোদি সরকারের জমানায় বেকারত্বের হার গত ৪৫ বছরের মধ্যে সর্বাধিক?
এই বাজেটে সমাজের প্রতিটি স্তরের জন্য কমবেশি সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে মোদি সরকার। প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি এবং শ্রম যোগী মন্ধন—এই দুটি প্রকল্পে প্রায় ২২ কোটি পরিবারের ক্ষত কিছুটা উপশম করার চেষ্টা করেছেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে ছোট এবং প্রান্তিক চাষিদের (২ হেক্টর পর্যন্ত জমির মালিক) প্রতি বছরে চাষের জন্য তিন কিস্তিতে মোট ৬০০০ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এতে বলা হচ্ছে—১২ কোটি ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষি পরিবার উপকৃত হবে। এর ফলে, বাৎসরিক খরচ হবে ৭৫ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবর্ষে গত ডিসেম্বর থেকে পাওনা এক কিস্তির টাকা দেওয়া হবে। এতে চলতি বছরে অতিরিক্ত খরচ হবে ২০ হাজার কোটি টাকা। দ্বিতীয় প্রকল্পটি হল—অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য পেনশন প্রকল্প। ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ১০ কোটি অসংগঠিত শ্রমিককে প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা করে পেনশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তবে, এর জন্য কর্মক্ষম থাকা অবস্থায় প্রতি মাসে ১০০ টাকা করে ওই প্রকল্পে জমা দিতে হবে।
কৃষকদের শস্যঋণের সুদে ২ শতাংশ ছাড় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ঋণ সময়মতো পরিশোধ করলে এই ছাড় অতিরিক্ত ১ শতাংশ মিলবে। এছাড়া প্রাকৃতিক কারণে শস্যের হানি হলে এই ছাড় মিলবে আরও ২ শতাংশ বেশি। মৎস্য এবং প্রাণিসম্পদের ঋণের ক্ষেত্রেও সুদেও ২ শতাংশ ছাড় মিলবে। সময়মতো পরিশোধের পুরস্কার আরও ১ শতাংশ ছাড়। ক্ষুদ্র ও মাঝারি আয়তনের শিল্পে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণের সুদেও ছাড় মিলবে ২ শতাংশ।
চাকরিজীবী করদাতাদের ক্ষেত্রেও যথেষ্ট ছাড়ের ঘোষণা করা হয়েছে। মোদি সরকার আয়করে প্রাথমিক ছাড় ২ থেকে ২.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করেছিল। এবার এক ধাক্কায় ২.৫ থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করহীন করে দেওয়া হল! এছাড়া স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের অঙ্কটা ৪০ হাজার টাকা থেকে করা হল ৫০ হাজার টাকা। ব্যাঙ্ক ও ডাকঘর সঞ্চয়ের সুদে করছাড়ের সীমা ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হল ৪০ হাজার টাকা। বাড়িভাড়া থেকে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয়ে এতদিন কর দিতে হতো না, এবার এই সীমা বাড়িয়ে করা হল ২ লক্ষ ৪০ টাকা।
আরও ৮ লক্ষ ফ্রি রান্নার গ্যাসের কানেকশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ফ্ল্যাগশিপ প্রোগাম বা সেন্ট্রাল স্পনসর্ড স্কিমগুলিতে ব্যয় বাড়ানো হল মাত্র ৭.৫ শতাংশ—৩ লক্ষ ৪ হাজার কোটি থেকে ৩ লক্ষ ২৭ হাজার কোটি টাকা। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের ব্যয়ও কার্যত বাড়ল না—বর্তমান বছরে বরাদ্দ ছিল ৫৫ হাজার কোটি টাকা, অতিরিক্ত আরও ৬ হাজার কোটি টাকা চলতি বছরেই দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই বাবদ আগামী বছরের জন্য ধরা হয়েছে মাত্রই ৬০ হাজার কোটি টাকা। তবে, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় বরাদ্দ যথেষ্ট বেড়েছে—৮০ শতাংশ। ব্যয় বেড়েছে জাতীয় শিক্ষা কমিশনে ১৮ শতাংশ, আইসিডিএসে ১৭ শতাংশ, তফসিলি জাতির উন্নয়নে ৩৫ শতাংশ, তফসিলি জনজাতির ক্ষেত্রে ২৮ শতাংশ।
সার্বিকভাবে এই বাজেট নিঃসন্দেহে জনমুখী। আসন্ন ভোটের দিকে তাকিয়েই যে এই বাজেট তৈরি করা হয়েছে তা অনুমান করতে কষ্ট হয় না। তবে, সমস্যা সেই তিমিরেই। রাজস্ব আয় বৃদ্ধির দিশা কার্যত এই বাজেটে নেই। পরোক্ষ কর জিএসটি থেকে ১১ শতাংশের বেশি রাজস্ব আদায় হবে না বলেই আশঙ্কা হয়। টাকার অঙ্কে যা কমপক্ষে দেড় লক্ষ কোটি। প্রত্যক্ষ করের ক্ষেত্রেও অতিরিক্ত আয়ের দিশাও দেখাতে পারেনি এই বাজেট। কার্যত কর-জিডিপি অনুপাত না-বাড়লে আয়বৃদ্ধির আশা থাকেই না। অন্যদিকে, রাজকোষ ঘাটতিও লক্ষ্যমাত্রায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না। রাজস্ব ঘাটতির বহরও যথেষ্ট বেশি। একদিকে আয়ের থেকে ব্যয় ক্রমশ বেশি হচ্ছে, অন্যদিকে জনমুখী প্রকল্পে খরচের মাত্র অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। কার্যত বর্তমান সরকারের আমলে মুদ্রাস্ফীতিটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকলেও কর্মসংস্থান, রাজস্ব ঘাটতি, রাজকোষ ঘাটতি, রাজস্ব আয়বৃদ্ধি, সরকারি মূলধনী ব্যয়, বেসরকারি মূলধনী ব্যয় প্রভৃতি ক্ষেত্রে ব্যর্থতার লক্ষণ প্রকট হচ্ছে। ভোটের কথা মাথায় রেখে জনমোহিনী বাজেট উপহার দিতে গিয়ে মোদি সরকারকে উন্নয়নের সঙ্গে চরম আপস করতে হল—দেশের জন্য এ কোনও সুসংবাদ নয়।
 লেখক প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক
02nd  February, 2019
স্মার্ট সিটি এবং সুশাসন
রঞ্জন সেন

স্মার্ট হওয়া ভালো, কিন্তু আরও ভালো হল সুশাসিত হওয়া। আর এটা হয় না বলেই রাতারাতি স্মার্ট বলে দেগে দেশের স্মার্ট সিটিগুলিতে হঠাৎ প্রয়োজনে জরুরি পরিষেবা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। অন্যদিকে তার প্রশস্ত রাজপথে চরে বেড়ায় গোরু। তার পরিণতিতে মানুষের প্রাণও যায়।
বিশদ

ভোটের কৈফিয়ত
পি চিদম্বরম

একটা আত্মবিশ্বাসী সরকার স্বাভাবিক অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করত আর এটাই করা উচিত, কিন্তু আত্মবিশ্বাসের মতো জিনিসটার ঘাটতি রয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের মধ্যে। শুধু বিজেপি এমপিদের বিষণ্ণ মুখগুলোর দিকে তাকান বিশেষত যাঁরা রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও উত্তরপ্রদেশ থেকে এসেছেন এবং আপনি আমার সঙ্গে একমত হবেন।
বিশদ

11th  February, 2019
ফাঁকা অভিযোগ করে বা সিবিআই জুজু দেখিয়ে কি মমতার গতিরোধ করা যাবে?
শুভা দত্ত

২০১৯ যুদ্ধের দামামা বেশ ভালোমতোই বেজে উঠেছে। বোঝাই যাচ্ছে লোকসভা ভোট আর দূরে নেই। মাঝে বড়জোর মাস দুই-আড়াই। তারপরই এসে পড়বে সেই বহু প্রতীক্ষিত মহাসংগ্রামের দিন। দেশের শাসনক্ষমতার মসনদ দখলের যুদ্ধে মুখোমুখি হবে শাসক এবং বিরোধী শিবিরের রথী-মহারথীবৃন্দ।
বিশদ

10th  February, 2019
হৃদয় গিয়েছে চুরি
অতনু বিশ্বাস

আচ্ছা, হৃদয়টাকে (হৃদপিণ্ড মানে হৃদয় ধরে নিয়ে) সত্যি সত্যিই কি কোথাও ফেলে আসা যায় না? যদি সত্যিই না যায়, কুমিরটা সেটা বিশ্বাস করল কী করে? উপকথার কুমিররা হয়তো বোকা হয়, তবে তার তথাকথিত বোকামিকে অনেক ক্ষেত্রেই আমার নেহাতই সরলতা বলে মনে হয়েছে।
বিশদ

09th  February, 2019
ন্যানো, একটি স্বপ্নের অকাল মৃত্যু
মৃণালকান্তি দাস

ভক্সওয়াগেন বিটল। যে বছর ভারতে ন্যানোর আবির্ভাব, তার ঠিক ৭০ বছর আগে বাজারে এসেছিল এই ‘পিপলস কার’। গোটা জার্মানি জুড়ে শুধু রোড নেটওয়ার্ক বাড়ানোই নয়, দেশের মানুষকে সস্তায় গাড়ি চড়ানোর স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন অ্যাডলফ হিটলার। কে না জানে, ভক্সওয়াগেন মানেই তো ‘জনতার গাড়ি’।
বিশদ

08th  February, 2019
সিবিআই নাটকে শেষপর্যন্ত
মমতাই কি লাভবান হলেন না?
মেরুনীল দাশগুপ্ত

 নাটক? হ্যাঁ, নাটক। নাটক ছাড়া কী! বলা নেই, কওয়া নেই হঠাৎ করে রবিবারের শেষ বিকেলে কোত্থেকে চল্লিশ সিবিআই চলে এলেন, সন্ধের মুখে তাঁদের কজন জিজ্ঞাসাবাদের অছিলায় হানা দিলেন লাউডন স্ট্রিটে খোদ পুলিস কমিশনারের দরজায়, ঢোকার মুখেই কর্তব্যরত পুলিসের সঙ্গে বাধল সংঘাত, ছড়াল উত্তেজনা, কয়েক মুহূর্তের মধ্যে কলকাতা পুলিসের বড়কর্তারা হাজির, তর্ক-বিতর্ক ধস্তাধস্তি এবং শেষমেশ পুলিসের গাড়িবন্দি হয়ে দলের নেতা ডিএসপি সিবিআই ও আরও কয়েকজন শেক্সপিয়র সরণি থানায়!
বিশদ

07th  February, 2019
উন্নয়নের সঙ্গে যথেষ্ট আর্থিকশৃঙ্খলা অর্জিত হয়েছে
দেবনারায়ণ সরকার

সোমবার অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের রাজ্য বাজেট পেশ করলেন। এই বাজেটে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লক্ষ ৩৭ হাজার ৯৬৪ কোটি টাকা। গত বছরের অনুমিত বাজেটের তুলনায় এটা ২১ শতাংশেরও বেশি। রাজস্ব খাতে আয় ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা। 
বিশদ

05th  February, 2019
গাদকারি মাহাত্ম্য
পি চিদম্বরম

নীতিন গাদকারি একজন অন‌্যধরনের রাজনীতিক। তাঁর নিজের স্বীকার অনুযায়ী, তিনি একজন ভোজনরসিক, তিনি হাল ফ‌্যাশনের পোশাক পরেন এবং দেখে মনে হয় জীবনটাকে উপভোগও করেন। তিনি পাবলিক ফাংশনে ভাষণ দিতে পছন্দ করেন এবং এমনভাবে কথা বলেন যেন দুনিয়ার কে কী ভাবল তাতে তাঁর যায় আসে না।
বিশদ

04th  February, 2019
বাজেটে ভুলিয়ে দেশের মানুষের মন জেতা যাবে?
শুভা দত্ত

শুক্রবার সংসদে যে বাজেট প্রস্তাব পেশ হল হিসেব মতো সেটা দেশের চলতি সরকারের শেষ বাজেট—অন্তর্বর্তী বাজেট। কিন্তু, বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বপ্রাপ্ত পীযূষ গোয়েলের বক্তৃতা বা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আচার-আচরণ দেখে মনে হল অন্তর্বর্তী নয়, আসন্ন অর্থবর্ষের জন্য পূর্ণাঙ্গ বাজেটই পেশ করল বিদায়ী সরকার! শুধু তাই নয়, গোটা বাজেট প্রস্তাব জুড়ে মধ্যবিত্ত থেকে কৃষক শ্রমিক প্রান্তিক মানুষজনের জন্য ‘ছাড়’ আর অর্থবরাদ্দের যে হিড়িক দেখা গেল—এককথায় তা নজিরবিহীন।
বিশদ

03rd  February, 2019
ইয়ং ইন্ডিয়া
সমৃদ্ধ দত্ত

প্রায় বছর দশেক হয়ে গেল এই পিতাপুত্রের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। যা ক্রমেই অত্যন্ত ঘনিষ্ঠতায় পর্যবসিত। রাউলাট বিলের প্রতিবাদ করে মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে সভা করে বেড়াচ্ছিলেন। সেই সময় একটি সভা হয়েছিল এলাহাবাদে। মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীকে বলা হয়েছিল স্থানীয় একজন আইনজীবীর বাড়িতে থাকতে।
বিশদ

01st  February, 2019
রাজনীতিক প্রিয়াঙ্কা: কতটা ম্যাজিক, কতটা অঙ্ক?
অতনু বিশ্বাস

অবশেষে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ওয়াধেরা সক্রিয় রাজনীতিতে নেমেই পরলেন। ওয়াকিবহল মহলে একটা আভাস ছিলই। সেটা সোনিয়া গান্ধীর অসুস্থতার কারণে। যাই হোক, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের সব চাইতে বড় চমক হয়তো প্রিয়াঙ্কাই। আমরা এ ঘটনার রাজনৈতিক প্রেক্ষিত এবং সম্ভাবনা একটু খতিয়ে দেখতে চাই এই আলোচনায়।
বিশদ

31st  January, 2019
বাজেট অন্তর্বর্তী হলেও চ্যালেঞ্জ আছে সর্বক্ষেত্রে
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

শেষ বারের মতো মোদি সরকারে যে বাজেট পেশ হচ্ছে সেটি কার্যত ভোট অন অ্যাকাউন্ট,অর্থাৎ নতুন সরকার না আসা পর্যন্ত সব বিষয়ে কাজ চালানোর মতো কিছু বরাদ্দ করা। এর মধ্যে দিয়ে দেশের বিকাশ বা অর্থনীতির মেরামতে দীর্ঘ মেয়াদি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়।
বিশদ

30th  January, 2019
একনজরে
 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মজুরি বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন দাবিকে সামনে রেখে এবার লোকসভা ভোটের মুখে রাজ্যে চটকল শিল্পে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দিল বাম ও দক্ষিণপন্থী ২১টি শ্রমিক সংগঠন। আগামী ১ মার্চ থেকে রাজ্যের তামাম চটকলগুলিতে এই ধর্মঘট শুরু হবে বলে ...

 বিএনএ, বহরমপুর: এবার মুর্শিদাবাদ জেলায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮২হাজার ২২৮জন। এরমধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা বেশি। আজ, মঙ্গলবার থেকে পরীক্ষা নির্বিঘ্নে করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা পুলিস ও প্রশাসন। ...

 লখনউ, ১১ ফেব্রুয়ারি (পিটিআই): জাতীয় স্বার্থ ও জাতীয় নিরাপত্তা ‘চৌকিদারে’র জন্যই উপেক্ষিত হচ্ছে। রাফাল ইস্যুতে সোমবার প্রধানমন্ত্রীকে এভাবেই নিশানা করলেন বসপা সুপ্রিমো মায়াবতী। এক সর্বভারতীয় দৈনিকের রিপোর্টে ফ্রান্সের সঙ্গে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের রাফাল চুক্তিতে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের হস্তক্ষেপের বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। ...

সংবাদদাতা, মালবাজার: তিস্তা নদী থেকে অবৈধভাবে বালি পাথর তোলার ফলে বিপন্ন বন্যপ্রাণ। পরিবেশ প্রেমীদের দাবি, বন্যপ্রাণ রক্ষার স্বার্থে দ্রুত তিস্তা নদী থেকে বালি পাথর তোলা বন্ধ করতে হবে। যদিও প্রশাসন দ্রুত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছে। প্রসঙ্গত, ডুয়ার্সের তিস্তা ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৪৭: বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসনের জন্ম
১৮৮২: ছন্দের জাদুকর সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের জন্ম
১৯১৭: মার্কিন লেখক সিডনি শেলডনের জন্ম
১৯৮০: ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদারের মৃত্যু
১৯৯০: দক্ষিণ আফ্রিকার জেল থেকে মুক্তি পেলেন নেলসন ম্যান্ডেলা 

11th  February, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৪৪ টাকা ৭২.১৪ টাকা
পাউন্ড ৯০.৫২ টাকা ৯৩.৭৮ টাকা
ইউরো ৭৯.২৫ টাকা ৮২.২৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৩,৪৭৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩১,৭৬০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩২,২৩৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪০,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪০,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৯ মাঘ ১৪২৫, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার, সপ্তমী ২৪/১১, দিবা ৩/৫৫। ভরণী ৩৯/৫০ রাত্রি ১০/১১। সূ উ ৬/১৪/৩৬, অ ৫/২৭/১৮, অমৃতযোগ দিবা, ৮/২৯ গতে ১০/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/২৭ মধ্যে পুনঃ ৩/১২ গতে ৪/৪২ মধ্যে। রাত্রি ৬/১৮ মধ্যে পুনঃ ৮/৫১ গতে ১১/২৫  মধ্যে পুনঃ ১/৫৮ গতে ৩/৪২  মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৮ গতে ৯/২  মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৩৯, মধ্যে, কালরাত্রি ৭/৩ গতে ৮/৩৯ মধ্যে।
২৮ মাঘ ১৪২৫, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার, সপ্তমী ১১/১৩/৪৭। ভরণীনক্ষত্র সন্ধ্যা ৫/৫৫/২৩, সূ উ ৬/১৬/১, অ ৫/২৫/৩৪, অমৃতযোগ দিবা ৮/২৯/৫৬ থেকে ১০/৪৩/৫০ মধ্যে ও ১২/৫৭/৪৫ থেকে ২/২৭/১ মধ্যে ও ৩/১১/৩৯ থেকে ৪/৪০/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৬/৫৬ মধ্যে ও ৮/৫১/১ থেকে ১১/২৫/৭ মধ্যে ও ১/৫৯/১২ থেকে ৩/৪১/৫৬ মধ্যে, বারবেলা ৭/৩৯/৪৩ থেকে ৯/৩/২৪ মধ্যে, কালবেলা ১/১৪/২৯ থেকে ২/৩৮/১১ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/১/৫২ থেকে ৮/৩৮/১১ মধ্যে।
৬ জমাদিয়স সানি
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: ব্যবসায় উন্নতির যোগ। বৃষ: আর্থিক ক্ষেত্র শুভ। মিথুন: পাওনা অর্থ ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
আন্তর্জাতিক ডারউইন দিবস১৮০৯: বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইনের জন্ম১৮০৯: আব্রাহাম লিংকনের জন্ম১৮৭১: ...বিশদ

07:03:20 PM

চ্যানেল বাছাই: সময় বাড়ল ৩১ মার্চ পর্যন্ত
নতুন নিয়মে চ্যানেল বাছাইয়ের প্রক্রিয়া যাঁদের সম্পূর্ণ হয়নি, সেই দর্শকদের ...বিশদ

10:15:02 PM

পোখরানের কাছে ভেঙে পড়ল বায়ুসেনার প্রশিক্ষণ প্রদানকারী মিগ-২৭ বিমান, অক্ষত পাইলট 

07:30:55 PM

নিউ টাউনে নাবালকের বিরুদ্ধে মাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ
নাবালক ছেলের বিরুদ্ধে মাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল। গতকাল ...বিশদ

04:49:00 PM

বিজেপি অগণতান্ত্রিক দল: মমতা 
এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির ...বিশদ

04:34:14 PM