পিতার স্বাস্থ্যহানী হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
উত্তর: তার মানে অধমেরও অধম, সবচেয়ে নীচু, সবচেয়ে স্থূল, এই আর কী।
ব্রহ্ম যে, তাতে অবস্থান—এটিই সবার শ্রেষ্ঠ। ধ্যানভাব মধ্যম। অধম হলেও বাহ্যপূজা ত্যাজ্য নয়। বাহ্যপূজা একেবারে তলায়, তলায় হলেও সেটা একটা ধাপ; আরম্ভেতে সেটাও করতে হবে, প্রবর্তক। ঠাকুর বলছেন, সিঁড়ি দিয়ে ধাপে ধাপে ছাদে উঠতে হয়।
প্রশ্ন: আমাদের সাধনা কি মন্দকে দূর করা?
উত্তর: হ্যাঁ, এই!
প্রশ্ন: তিনি শুদ্ধ, অপাপবিদ্ধ, তবে পাপের উৎপত্তি কী করে হয়?
উত্তর: তাঁকে পাপ স্পর্শ করতে পারে না, তিনি পাপকে প্রকাশ করতে পারেন। ভগবান হবার জন্য ভগবানকে চিন্তা করতে হয়। এগুলি আরোপ করতে করতে ভগবানের স্বরূপ সম্বন্ধে ধারণা হবে; নিয়ন্ত্রিত্ব, কর্তৃত্ব ইত্যাদি।
প্রশ্ন: পূজা করার সময় কী করে করব?
উত্তর: গণেশের পুজো করলে গণেশের নাম করে—‘শ্রীগণেশায় নমঃ’ বলে করবে। মায়ের নাম করে—‘মা সারদা দেব্যৈ নমঃ’ বলে মায়ের পুজো করবে। জপ করা নয়, যে দেবতার পুজো করছ তাঁর নাম উচ্চারণ করে করবে। কেউ উপোস করতে চাইলে করতে পারে, তা না হলে কিছু খেয়েও করতে পারে।
প্রশ্ন: পঞ্চতপা করা হয় কেন?
উত্তর: মনের দুঃখ দূর করার জন্য। পঞ্চতপায় শরীর রয়েছে ঠিকই, কিন্তু সেদিকে মন নেই, মন ঈশ্বরেতে মগ্ন! ঠাকুরের যখন অন্তর্ধান হল, ঠাকুরের অভাবেতে মায়ের খুব শোক হয়েছিল; মায়ের কষ্ট দেখে একজন মাকে বলেছিলেন—‘পঞ্চতপা কর, তবে মন শান্ত হবে।’ চারদিকে আগুন আর মাথার উপরে সূর্য। চারদিকের আগুনের মাঝখানে বসে জপ করতে হয়। জপ করতে করতে গরম আর অনুভব হয় না। পঞ্চতপা করে মায়ের মন শান্ত হয়েছিল।
প্রশ্ন: এত লোকে কৃচ্ছ্রসাধন করে কেন?
উত্তর: ইচ্ছে হয়, তাদের মনে হয়, তাই কৃচ্ছ্রসাধন করে। অনেকের ক্ষেত্রে তীর্থভ্রমণে সত্যিকারের কাজের কাজ কিছু হয় না, কেবল মন উচাটন আর অর্থহানি হয়ে থাকে। এর চেয়ে ঘরে বসে শান্তভাবে অন্তরে তাঁর চিন্তা করলেই কাজ হয়। মানুষ অন্তরে প্রবেশ করতে পারে না বলেই এরকম হয়।
প্রশ্ন: শুধু ১০৮ বার জপ করলেই হবে, আর দরকার নেই?
উত্তর: দরকার সকলেরই আছে! যত জপ করতে পারবে ততই ভাল। গুরুপ্রদত্ত মন্ত্র! খাটতে হবে খুব।
প্রশ্ন: জপ করতে করতে কৃষ্ণমূর্তি আসছে, কী করব?
উত্তর: আসুক না! এটা কি ছেলেখেলার জিনিস নাকি? তোমার মন শুদ্ধ হলে, যাতে তোমার কল্যাণ হবে, তাই হোক। মন অনেকদিন ধরে কৃষ্ণকে চিন্তা করেছে, রামকৃষ্ণকে কম চিন্তা করেছে, এই জন্যই কৃষ্ণ-চিন্তা আসছে; তাতে অবশ্য ক্ষতি নেই। তবে আমরা বলি—আগে
শ্রীরামকৃষ্ণকে একটু চিন্তা করে তারপর অন্য (দেবদেবীর) চিন্তা করা। আমাদের তেত্রিশ কোটি দেবতা আছেন,—এঁদের সবাইকে চিন্তা
করতে পার, কিন্তু জানবে সব একই। উপনিষদে আছে,—কয়টি দেবতা? প্রথমে বলা হল—‘তেত্রিশ শত’, তারপর ‘তেত্রিশ’, তারপর
বলছেন ‘তিন’, তারপর ‘দুই’, তারপর ‘এক’।