পিতার স্বাস্থ্যহানী হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
তাই এই সম্মেলনের গুরুত্ব সমধিক। আমি তোমাদের আশীর্বাদ করি এবং ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি তোমরা প্রকৃত কর্মের সন্ধান। লাভ কর। কর্ম যোগী হও। তোমাদের জীবন শান্তিময় হউক। জনসমাজে তোমরা কর্মের এমন আদর্শ তুলিয়া ধর যাহাতে জনগণ তোমাদের আদর্শে অনুপ্রাণিত হইয়া প্রকৃত কর্মের সন্ধান পাইতে পারে এবং জনজীবনকে চিরশান্তিময় করিয়া তুলিতে পারো। এইভক্ত সম্মেলন আপামর সকলের পথ প্রদর্শক হউক। এবং ইহাই সুদূরপ্রসারী সুফল দিকে দিকে শ্রীগুরু সঙ্ঘের জয় ঘোষণা করুক। শ্রীগুরু সঙ্ঘ অমর হউক। জয় শ্রীগুরু। ওঁ শান্তিঃ।
আমার সেবা করা বহু রকম। আমি যে নাম দিয়াছি তাহা প্রাণ ভরিয়া করিতে পারিলেই আমার সেবা করা হয়। সুতরাং উক্ত সেবা যথাসাধ্য করিয়া যাও তাহাতেই সর্ববিঘ্ন নাশ হইয়া শান্তি হইবে।
দুটি পথ আছে। একটি প্রতি মুহূর্তে বিচার করে চলা। আর অন্যটি ... ... ... আত্মনিবেদনের তুল্য উৎসর্গ নাই। ভালমন্দ তাঁর উপর ছেড়ে দিয়ে কর্তব্য কর্ম করে যাওয়া। তিনি যা করেন মঙ্গলের জন্য। এইভাবে চলতে শেখা। এইটিই হল সহজ পথ। তোমাদের জন্য এই পথই প্রশস্ত।
নববিধান পালনের ব্যবস্থা করিয়া আমার শ্রীগুরুর আদেশ মতন নিয়ম পালন করিতে আদেশ দিয়াছি। যাহারা এই আদেশ বেদবাক্য মনে করিয়া ‘নির্বিচারে পালন করিবে তাহাদের যে ভাবেই হোক দিন কাটিয়া যাইবে। ... ... ... শ্রীগুরু সঙ্ঘ—‘সত্য, সেবা, নীতি, ধর্ম’ এই চারিটি বাণীর উপরে স্থাপন করিয়াছি। ... ... ... প্রতি ঘরে ঘরে ‘ মঙ্গলঘট’ দিয়া মহাযজ্ঞ করিয়া নিরাপদে থাকার ব্যবস্থা করিয়াছি। ... ... মঙ্গল ঘটের চাউল রাখা হয় শ্রীগুরুর উদ্দেশ্যে। উহার ভিতরে অন্য কোন দেবদেবীর অধিকার নাই, একমাত্র শ্রীগুরুর অধিকার এবং তিনি উহার সুফলদাতা। ... ... ... উক্ত মঙ্গলঘটের চাউল শ্রীগুরুদেবেরই সম্পূর্ণ প্রাপ্য। এ বিধান সর্বকালের বজায় থাকিবে।
... ... ... সকল শিষ্য ভক্ত ঘরে ঘরে শ্রীগুরুর সঙ্ঘ নামক পত্রিকার গ্রাহক হওয়া উচিত। ইহার অর্থ কিছু দিন পাঠ করিলে বুঝিতে পারিবে।
... তোমরা শ্রীগুরু সঙ্ঘের গৈরিক পতাকা নিয়া সম্মুখে অগ্রসর হও। সত্য, সেবা, নীতি, ধর্ম এই মহান্ আদর্শকে চতুর্দিকে প্রচার কর। ভ্রাতৃসঙ্ঘ এবং মাতৃসঙ্ঘ যথারীতি করিয়া যাও। শ্রীভগবানের শ্রী পাদপদ্মে মন রাখিয়া পথ চলিতে পারিলে তোমাদের কোন দুর্যোগই স্পর্শ করিতে পারিবে না।
নিজ নিজ সন্তানগণকে সাবধানে শিক্ষাদান করিবে। তাহারা যেন অসৎ সঙ্গে না যায় তৎপ্রতি বিশেষ দৃষ্টি দিবে। ভ্রাতৃসঙ্ঘ ও মাতৃসঙ্ঘই তোমাদের রক্ষা পাইবার উপায়। অতি লোভের বশবর্ত্তী হইয়া কখনো অন্যায় পথে অর্থোপার্জনের চেষ্টা করিবে না। অন্যায় পথে গেলেই তাহার শাস্তি অনিবার্য। ধর্মপথে চল, ধর্মকেই আশ্রয় কর। পরলোক ধর্ম ভিন্ন অন্য কোন অর্থ-বিত্তই সঙ্গে যাইবে না, এই কথা চিন্তা করিও।