পিতার স্বাস্থ্যহানী হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
ভক্ত সম্মেলনে যোগদান করিবার জন্য সকলকেই চেষ্টা করিতে হইবে।
সম্মেলনের (তথা সঙ্ঘের) প্রধান উদ্দেশ্য—
(ক) আদর্শ গৃহস্থ জীবন গঠন, (খ) সঙ্ঘ শক্তির প্রতিষ্ঠা এবং (গ) ভাব বিনিময়। সঙ্ঘান্তর্গত শিষ্য-ভক্তবৃন্দ এই আদর্শত্রয়কে লক্ষ্য করিয়া শ্রীগুরু নির্দ্দিষ্ট সাধন সহায়ে জীবন পথে পরিচালিত হওয়ার যথারীতি চেষ্টা করিবে।
প্রতিটী শিষ্য শ্রীগুরু সঙ্ঘাশ্রিত হওয়ার চিহ্ন স্বরূপ কণ্ঠে রুদ্রাক্ষ ধারণ করিবে এবং পরস্পর পরস্পরের প্রতি ভ্রাতৃভাব করিবে। তোমরা আমার বুকের রক্ত। তোমরা যদি অবিকৃত থাকিয়া চিত্ত প্রফুল্ল রাখিয়া সুখে স্বচ্ছন্দে রাজপুত্রের মতন বিচরণ কর সংসারে আমার মত সুখী কে? তোমরা বিকৃত হইলেই আমার বুক টন্ টনানি, তাহাতেই আমার রোগ শোক পরিতাপ যাহা কিছু। তোমার শ্রীগুরু কাহাকেও ভুলিতে আসে নাই, কাহাকে ভুলিতে জানে না—ভুলিতে পারে না। তাহার ভগবান যে বিশ্বরূপ। তোমরা যে এক একজন তাঁহার লীলা স্বীকৃত বিগ্রহ, তাঁহার জীবন্ত মূর্ত্তি। জীবের সেবাই যে তাঁহার শিবের সেবা। ... আমি বিশ্বরূপ ভগবানের পূজা করি। তোমরা আমাকে এই একটা শরীরে সীমাবদ্ধ ভাবিও না। আমি তোমাদের ভিতরেও আছি। যাহারা আত্মসর্মপণ করিয়াছে তাহাদের যতদিনেই হউক প্রাক্ত কর্মক্ষয় করাইয়া পথে চালিয়ে নিবই। ... সর্বদা আশ্রমে যাতায়াত করিবা ...
আমার আত্মা সর্বদাই শ্রীগুরু সঙ্ঘে অচল অটল ভাবে বিরাজ করিতেছে। যে সকল ভক্ত স্থির চিত্তে সংযমী ভাবে আশ্রমে যাতায়াত করিবে তাহারাই উপলব্ধি করিতে পারিবে।
দুর্গাপ্রসন্ন পরমহংসদেবের ‘বাণী চিরন্তনী’ থেকে