পিতার স্বাস্থ্যহানী হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
আত্মনির্ভর ভক্ত-শিষ্যদের ইহকালের সাথী আমি আছি ও থাকিব। সঙ্ঘের স্মরণেই সর্ব অমঙ্গল নাশ করে। সঙ্ঘের কর্মে চিত্তশুদ্ধি হয়। সঙ্ঘের ভজনে ইষ্টসিদ্ধি হয়। সাবধান মত চল, কোন কারণে যেন সঙ্ঘের উপরে দ্বেষ, হিংসা, গুরু ভাই-ভগ্নীর নিন্দার কারণ ঘটে না। শ্রীগুরু সঙ্ঘের আদর্শ মহান্-ধর্ম উদার, অসাম্প্রদায়িক। সত্যনিষ্ঠা, নীতিপরায়ণতা, ভগবানে বিশ্বাস এবং তাঁহার নাম গ্রহণ এই চারিটী সেই ধর্মের মূলনীতি। এই ধর্মে সাম্প্রদায়িকতা নাই; জাতি কুল ধন বিদ্যার অভিমান নাই। দেশে দেশে, জাতিতে জাতিতে, মানুষে মানুষে ভেদ বিভেদ নাই। ইহা এক সার্বজনীন মহাধর্ম।
“এক জাতি, এক দেশ, এক ভগবান্’ ইহাই শ্রীগুরু সঙ্ঘের আদর্শ। এই আদর্শ এক মহাশান্তির বাণী। সমস্ত দেশ, সমস্ত জাতি, সমস্ত মানব এই বাণী গ্রহণ করিলে, জগতে আর অশান্তি থাকিবে না। যুদ্ধের বিভীষিকা দূর হইবে, মানুষ শান্তির অরুণালোকে সুখৈশ্বর্য ভোগে তৃপ্তিলাভ করিতে পারিবে।”
সভাসমিতি, ভ্রাতৃসঙ্ঘ ও মাতৃসঙ্ঘের মাধ্যমে এই আদর্শ জগতে প্রচার করাই শ্রীগুরু সঙ্ঘের দায়িত্ব। কর্মীগণকে এই গুরু দায়িত্ব পালন করিতে অগ্রসর হইতে হইবে। শহরে, নগরে, দেশে বিদেশে, সমাজে পরিবারে এই মহান্ আদর্শের পতাকা নিয়া কর্মিগণ অগ্রসর হউক, জণগণকে এই মন্ত্রে দীক্ষিত করিয়া জনজীবনে নূতন স্পন্দন সৃষ্টি করুক,—ইহাই আমার আশীর্বাদ। সঙ্ঘের গুরু দায়িত্ব পালনে মহিলা কর্ম্মিগণও উদ্যাগী হইবে বলিয়াই আশা করি। মুরগীর মাংস, মুরগীর ডিম, পিঁয়াজ ও উচ্ছিষ্ট ভক্ষণ নিষেধ। মাংস ও মৎস আহারে নিষেধ নাই, কিন্তু মাংস ও মৎস্য আহারে ক্ষতি করে। সাধন পথে উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে মাংস ও মৎস্য ত্যাগ করিতে হয়। যতদিন মাংস ও মৎস্যে প্রবৃত্তি আছে জোর করে ছাড়ার প্রয়োজন নেই। পিতা, মাতা, শ্বশুর, শাশুড়ি, স্বামী জেষ্ঠ ভাই এদের ভুক্ত অবশিষ্ট উচ্ছিষ্ট বলে না। তা প্রসাদ। ... তোমাদের ঘরে ঘরে একটি করিয়া মঙ্গলঘট স্থাপন করিয়া দিয়াছি। ঐ যতই সুঃখে থাক, দুঃখেই থাক যেভাবেই থাক না কেন মঙ্গলঘটের সেবা তোমরা ভুলিও না। ঐ মঙ্গলঘটের সেবাই তোমাদের সমস্ত রক্ষা করিবে এবং তোমাদের অমঙ্গল দূর করিয়া মঙ্গল দান করিবে। ইহা তোমরা স্মরণ রাখিও। আর একটি কথা হচ্ছে তোমরা এই গুরু সঙ্ঘের আনুগত্য স্বীকার করিয়াছ। অতএব শ্রী গুরু সঙ্ঘ হইল তোমাদের প্রাণ। ... এই শ্রী গুরু সঙ্ঘ হইল তোমাদের সম্বল। এটাই হল তোমাদের কল্পবৃক্ষ। তোমাদের এই কল্পবৃক্ষ তোমরা যদি আকড়াইয়া ধরিয়া থাকিতে পার তোমাদের কোন ভয় নাই। তোমাদের ইহকাল এবং পরকালের শান্তি শ্রী গুরু সঙ্ঘই ব্যবস্থা করিবে তোমাদের আর অন্য চিন্তা করিতে হইবে না। ... তোমাদের সাধনার মূল কথা কোথায়–স্মরণ, মনন, ধ্যান।
... তোমরা স্মরণ কর। স্মরণ করিতে তোমাদের কারোর হাতের কাজ বন্ধ করিতে হইবে না, চলার পথে চলা বন্ধ করিতে হইবে না এবং লেখাপড়া স্থগিত রাখিতে হইবে না। অতএব স্মরণ কর আর মনন। তুমি যদি স্মরণ কর তবে মনন হইয়া গেল। মনন না হইলে স্মরণ কি করিয়া হইবে। যদি মনন কর ধ্যান আপনা হইতে তোমার চোখে ভাসিয়া উঠিল।