হঠাৎ নেওয়া সিদ্ধান্তে বিপদে পড়তে পারেন। চলচিত্র ও যাত্রা শিল্পী, পরিচালকদের শুভ দিন। ধনাগম হবে। ... বিশদ
তাঁর এই মন্তব্য-বক্তব্যের লক্ষ্য যে ভারত ও আমেরিকা তা গোপন থাকে না। কারণ, আফগানিস্তানের মাটিকে সন্ত্রাসমুক্ত করার এবং সেখানে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফেরাবার ব্যাপারে সে-দেশের সরকারের পাশে সর্বতোভাবে ছিল ভারত। আমেরিকাও সামরিক ও কূটনৈতিক সহযোগিতার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছিল। আফগানিস্তানে তালিবানরাজ প্রতিষ্ঠাকে প্রথম স্বাগত জানিয়েছে পাকিস্তান ও চীন। অব্যবহিত পরেই তালিবানের তরফে নয়াদিল্লিকে হুঁশিয়ার করে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে সেনা পাঠানোর বাহাদুরি ভারত যেন না করে। তাতে ফল হিতে বিপরীতই হবে! পুরোটাই যে পর্দার পিছনের খেলা তা এক সহজ অনুমান। আড়ালে অতি সক্রিয় শক্তিটির নাম অবশ্যই পাকিস্তান, যার আসল ভরসার নাম চীন—জি জিনপিঙের মাটিতে মুসলিমদের কী করুণ হাল ইমরানের সরকার তা মনে রাখেনি। অন্যদিকে, তালিবানি দাপটের অতীত অভিজ্ঞতার ভিতরে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন সে-দেশের সাধারণ নাগরিকরা। বিশেষত দুর্ভাগ্যের প্রহর গুনছেন সব বয়সি মহিলারা। তাতে পাকিস্তানের কিছুই যায় আসে না। জন্মলগ্ন থেকেই রাষ্ট্রটির এক ও একমাত্র লক্ষ্য ভারতের অমঙ্গলসাধন। এই ব্যাপারে বেনজির ভুট্টো থেকে নওয়াজ শরিফ, পারভেজ মোশারফ কিংবা ইউসুফ রাজা গিলানিতে কোনও প্রভেদ ছিল না। ভারতের ক্ষতি করতে পারে তো? পাকিস্তানের কাছে এটাই সর্বোচ্চ যোগ্যতা। এমন যোগ্যতামানের অধিকারী ব্যক্তিটি নরপিশাচ হলেও তারই পাশে দাঁড়াবার রুচি প্রদর্শন করেছে ইসলামাবাদ! ভারতকে দগ্ধে মারাই ছিল তাদের এক প্রাক্তন নেতার ঘোষিত শপথ। ভারতের বিরুদ্ধে হাজার বছরের যুদ্ধও ঘোষণা করে গিয়েছেন পাকিস্তানেরই আর এক প্রাক্তন রাষ্ট্রনায়ক।
ইমরানের জমানা যে তার থেকে একচুলও নড়েনি তারই প্রমাণ রেখেছে তারা তালিবান ইস্যুতে। ভারতের সঙ্গে দু-দু’বার যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে অঙ্গহানি ঘটিয়েছে পাকিস্তান। তারপরেও তারা কাশ্মীরজয়ের খোয়াব দেখে যাচ্ছে। ভাবছে, কাজটা এবার সহজ হবে। সঙ্গে আছে তালিবান, আর ভয় কী! হয়তো এজন্যই বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের জঙ্গিরা ইমরান প্রশাসনের মদতে লাফালাফি বাড়িয়ে দিয়েছে। তালিবানের ডাকে সাড়া দিতে শুরু করেছে তারা। তাদের মিশন আফগানিস্তান। এটা ভারত ও বাংলাদেশের পক্ষে মোটেই স্বস্তির কথা নয়। এই দুই মিত্র দেশকে অশান্ত করে তুলতে পারলে তাদের নষ্টামির পথ অবশ্যই প্রশস্ত হয়। উপমহাদেশ যত অশান্ত হবে তত মজা চীনের। কারণ কমিউনিজমের মোড়কে চৈনিক সাম্রাজ্যবাদ বিস্তারের পথে বড় অন্তরায়ের নাম গণতন্ত্র। বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারতই হল এই অঞ্চলের প্রেরণা। এই অঞ্চলের গণতান্ত্রিক পরিবেশ ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে চীন হয়তো পাকিস্তানের সেনাশাহি এবং আফগানিস্তানের তালিবানরাজকে এবার নতুনভাবে ব্যবহার করার কৌশল খুঁজছে। আজকের পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল, স্পর্শকাতর ও উদ্বেগজনক। নরেন্দ্র মোদির উচিত, অবিলম্বে পুরো বিষয়টিতে ভারতের অবস্থান ব্যাখ্যা করা। কারণ এই পরিস্থিতিতে ভারতবাসীর মন ভালো থাকতে পারে না।