হঠাৎ নেওয়া সিদ্ধান্তে বিপদে পড়তে পারেন। চলচিত্র ও যাত্রা শিল্পী, পরিচালকদের শুভ দিন। ধনাগম হবে। ... বিশদ
এনজেপি স্টেশনে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহারের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার শুভেন্দ্রকুমার চৌধুরী বলেন, ৩০ আগস্ট থেকে টয় ট্রেনের জঙ্গল সাফারি শুরু হবে। ভিস্তডোম কোচের সেই ট্রেন শিলিগুড়ি জংশন থেকে বিকেল ৪টেয় রওনা হয়ে তিনধরিয়ায় যাবে। কিছুক্ষণ সেখানে থেকে আবার সন্ধ্যায় শিলিগুড়ি ফিরে আসবে। ভাড়া মাথাপিছু ১ হাজার টাকা।
দীর্ঘদিন পরিষেবা বন্ধ থাকার পর টয় ট্রেনের জনপ্রিয়তা দ্রুত বাড়াতে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু, এদিন এনজেপি থেকে ফের টয় ট্রেনের যাত্রা শুরু করা নিয়ে সেভাবে প্রচার করা হয়নি। ফলে মাত্র দু’জন পর্যটক এদিন টিকিট কেটে ট্রেনে চাপেন। টয় ট্রেনে সফর করেন রেল আধিকারিক সহ স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
এদিন সকাল ১০টায় কাটিহারের ডিআরএম ফ্ল্যাগঅফ করে টয় ট্রেনের যাত্রার সূচনা করেন। ডিজেল ইঞ্জিন নিয়ে পাহাড়ের বুক চিরে টয় ট্রেন বিকেলে সোয়া ৫টায় পৌঁছয় দার্জিলিংয়ে। একইভাবে এদিন সকাল আটটায় দার্জিলিং স্টেশন থেকে ছেড়ে একটি টয় ট্রেন বিকেল সাড়ে চারটেয় শিলিগুড়িতে আসে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় এদিন হঠাৎ করে বাড়ির সামনে দিয়ে টয় ট্রেন ছুটতে দেখে অনেকেই খুশি হয়েছেন। শালবাড়ি, সুকনার রাস্তার ধারে বহু মানুষ বাইক, গাড়ি থামিয়ে ট্রেন দেখতে থাকেন। টয় ট্রেনের লাইন ঘেঁষেই রয়েছে ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়ক। অনেকে আবার আরাধনা সিনেমায় রাজেশ খান্নার মতো টয় ট্রেনের সঙ্গে বাইক নিয়ে এগতে থাকেন। কেউ কেউ মোবাইল ফোনে ট্রেনের সঙ্গে সেলফি তোলেন। ট্রেন এতদিন না চলায় অভ্যাসবশত টয় ট্রেনের লাইনের উপরেই কেউ কেউ বাইক রেখেছিলেন। শালবাড়িতে এমন ঘটনায় থমকে যায় টয় ট্রেনের চাকা। যদিও পথচারীরা, আশেপাশের দোকানদার দ্রুত বাইক সরিয়ে দিয়ে টয় ট্রেনের যাওয়ার পথ করে দেন। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলেও টয় ট্রেনের জনপ্রিয়তায় তার জায়গাতেই রয়েছে। এদিন পথের ধারে মানুষের উৎসাহ সেই বার্তাই দিয়েছে। ডিআরএম বলেন, এদিন প্রথমদিন ছিল। আমরাও ঠিকমতো প্রচার করতে পারিনি। সেইসঙ্গে সকাল থেকে বৃষ্টি হয়। আমরা আশাবাদী, অক্টোবর মাসে পুজোর সময়ে টয় ট্রেনের চাহিদা বহুগুণ বাড়বে। ওই সময় পর্যটকের ঢল নামবে।
ডিএইচআরের ডিরেক্টর এ কে মিশ্র বলেন, টয় ট্রেনে দার্জিলিং পর্যন্ত এগজিকিউটিভ ক্লাসে ভাড়া ১৪২০ টাকা, ভিস্তাডোমে ১২০০ টাকা। এখন ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এনজেপিতে ট্রেনে ওঠা দুই পর্যটক প্রান্তিক ও সন্দীপ যাদব বেনারস থেকে এসেছেন। তাঁরা জানতেন না এদিন থেকেই টয় ট্রেনের যাত্রা ফের শুরু হচ্ছে। সন্দীপ বলেন, এনজেপি স্টেশনে নেমে রেলের ঘোষণা শুনে জানতে পারি টয় ট্রেন চালু হচ্ছে। জীবনে প্রথমবার দার্জিলিং যাচ্ছি। তাই এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি। ডিআরএম বলেন, পর্যটকদের পাশাপাশি এবার ব্যবসায়ীদের কাছেও টয় ট্রেনকে মেলে ধরতে চাইছে রেল। তাই ৩০ বছর বাদে টয় ট্রেনের সঙ্গে পার্সেল ভ্যান যুক্ত করা হল। পাঁচটন পর্যন্ত পণ্য বহন করা যাবে। নিজস্ব চিত্র