হঠাৎ নেওয়া সিদ্ধান্তে বিপদে পড়তে পারেন। চলচিত্র ও যাত্রা শিল্পী, পরিচালকদের শুভ দিন। ধনাগম হবে। ... বিশদ
উল্লেখ্য, নির্বাচনী প্রচারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ রাজ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করেছেন। প্রকল্পের আওতায় মহিলারা মাসিক হাতখরচ বাবদ নির্দিষ্ট টাকা পাবেন। তফসিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত মহিলাদের জন্য বেশি টাকা বরাদ্দ করা হবে। তারজন্য অবশ্য জাতিগত শংসাপত্র জমা দিতে হবে। ওই প্রকল্পে সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদনকারীর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক। স্থায়ী সরকারি চাকরি করেন না বা পেনশন পান না, এমন সবাই স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড থাকলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রশাসনের তরফে আবেদনপত্র পরীক্ষা করে দেখা হবে। সব শর্ত পূরণ করলে প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে। গত ১৬ আগস্ট থেকে জেলায় জেলায় দুয়ারে সরকার কর্মসূচির আওতায় শিবির চালু হয়েছে। প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে শিবির হবে। মালদহ জেলা প্রশাসন দেড় হাজারেরও বেশি শিবির করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত শিবির চলবে। এর আগেও দুয়ারে সরকারের আওতায় শিবির হয়েছে। তাতে কৃষকবন্ধু সহ অন্যান্য সরকারি প্রকল্পে সুবিধা পাওয়ার জন্য অনেককে লাইনে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে। তবে এই দফায় শিবিরগুলিতে মূলত লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্যই মহিলাদের ভিড় চোখে পড়ছে। অনেকে আবার স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড পাওয়ার জন্যও শিবিরে আবেদনপত্র নিয়ে যাচ্ছেন। করোনা সংক্রমণকে উপেক্ষা করে অনেক জায়গায় মহিলাদের ঠাসাঠাসি করে লাইনে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বিরোধীরা সরকারের সমালোচনাও করছে। তবে প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার তাগিদ সর্বত্র লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডে আবেদনকারীরা বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া থাকছে। ফলে আবেদনপত্র পরীক্ষা করতে আমাদের বিশেষ বেগ পেতে হচ্ছে না। প্রথম দফায় জমা পড়া আবেদনপত্র পুজোর আগেই নথিভুক্ত হয়ে যাবে বলে আমরা আশাবাদী।