হঠাৎ নেওয়া সিদ্ধান্তে বিপদে পড়তে পারেন। চলচিত্র ও যাত্রা শিল্পী, পরিচালকদের শুভ দিন। ধনাগম হবে। ... বিশদ
মেমারি-২ ব্লকের সাতগেছিয়া-১ ক্যানেল পাড়ের বাসিন্দা রূপা মণ্ডল লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আবেদন করতে সকাল ৭টায় লাইনে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি বলেন, রান্নাবান্নার কোনও চিন্তা নেই। কর্তাকে বলে এসেছি, কিছু একটা ঠিক বেঁধে রাখবে। দুপুরে ফিরেই খাওয়া দাওয়া করব। সারাবছর তো আমাদেরই করতে হয়। একদিন না হয় কর্তা একটু সংসার সামলাক।
বিজুর-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে লাইনে দাঁড়িয়ে লায়লা মণ্ডল বললেন, ক্যাম্পে ভিড় হবে জানতাম। স্বামীকে তাই আজ মাছের ঝোল রান্না করতে বলেছিলাম। ফোন করে খবর নিলাম রান্না করে রেখেছে। এমনকী ঘরের কিছু টুকটাক কাজ ছিল। সেগুলোও সামলে নিয়েছে। খণ্ডঘোষের সগড়াই গ্রাম পঞ্চায়েতে দুয়ারে সরকারের লাইনে দাঁড়িয়েছেন আলপনা রায়। তৃপ্তির সুরে তিনি বললেন, একদিনের জন্য হলেও ঘরের কাজ থেকে কিছুটা মুক্তি পেলাম। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে আমাদের হাত খরচ যেমন মিলবে, তেমনই ঘরের কাজেও কর্তার সাহায্য মিলবে। দ্বিতীয় দফায় দুয়ারে সরকার শুরু হতেই রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে নাম নথিভুক্তকরণের উৎসাহ দেখা গিয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। তবে এবার দুয়ারে সরকারের প্রধান ‘ইউএসপি’ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। তাতেই নাম লেখানোর উৎসাহ নিয়ে ভিড় বাড়ছে ঘরের মহিলাদের। ইতিমধ্যে জেলার প্রায় পাঁচ লক্ষ মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আবেদন করেছেন। শুধু এই প্রকল্পেই দৈনিক প্রায় ৬৫ থেকে ৭০ হাজার আবেদন জমা পড়ছে।
সোমবার ১০৭টি ক্যাম্প আয়োজন হয় জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। মঙ্গলবার সেই সংখ্যা আরও বাড়ে। জেলাজুড়ে মোট ১১৭টি শিবির চলে। মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলায় প্রায় সাত লক্ষ মানুষ দুয়ারে সরকারের শিবিরের এসেছেন। যাঁদের অধিকাংশই মহিলা। কারণ এবার সুপার হিট লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। আর এই সুযোগে কর্তার সংসার সামলানোর দক্ষতাও পরখ করে নিচ্ছেন গৃহিণীরা। তবে বাড়ির কর্তারাও কম যান না। বাংলায় প্রচলিত প্রবাদ আছে যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। তবে এই সুযোগে বাড়ির কর্তারাও গলা ছেড়ে বলছেন, যে অফিস চালায়, সে রান্নাও সামলায়।