হঠাৎ নেওয়া সিদ্ধান্তে বিপদে পড়তে পারেন। চলচিত্র ও যাত্রা শিল্পী, পরিচালকদের শুভ দিন। ধনাগম হবে। ... বিশদ
পুরুলিয়া জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, এরকম কোনও মতেই হওয়ার কথা নয়। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে এবিষয়ে কথা বলেছি। তিনি তদন্ত করে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।পুরুলিয়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অনিল দত্ত বলেন, জেলায় ১২০০ জনের বেশি স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। কার কী নাম, তা তো আর সিএমওএইচ বলতে পারবেন না। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরুলিয়া-১ ব্লকের লাগদা উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গত ৮ মার্চ থেকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হয়। ইতিমধ্যে ওই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে এক হাজারেরও বেশি মানুষ করোনার টিকা নিয়েছেন। ওই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাঁরা টিকা নিয়েছেন, তাঁদের শংসাপত্রে টিকাকর্মী হিসেবে বর্ণালি মণ্ডলের নাম রয়েছে।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, লাগদা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ছাড়াও সোনাইজুড়ি এবং চাকড়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাঁরা করোনার টিকা নিয়েছেন, তাঁদের শংসাপত্রেও টিকাকর্মী হিসেবে বর্ণালি মণ্ডলের নাম রয়েছে। যদিও লাগদা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র সহ পুরুলিয়া-১ ব্লকের অন্যান্য উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বর্ণালি মণ্ডল নামে কোনও স্বাস্থ্যকর্মীর হদিশ মেলেনি। ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে কর্মরত অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীর পরিবর্তে কেন ‘ভূতুড়ে’ বর্ণালি মণ্ডলের নাম দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তারা। লাগদা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মীরা এনিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাননি। তবে বর্ণালি মণ্ডল নামে কোনও স্বাস্থ্যকর্মী যে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেই, তা তাঁরা স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন। পুরুলিয়া-১ ব্লকের পিএইচএন পূর্বা মুখোপাধ্যায় বলেন, বর্ণালি মণ্ডল নামে কোনও স্বাস্থ্যকর্মী আছে কি না, জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখব।জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের ডিএমসিএইচও বুদ্ধদেব মণ্ডল বলেন, খোঁজ নিয়ে দেখেছি বর্ণালি মণ্ডল নামে কোনও স্বাস্থ্যকর্মী পুরুলিয়া-১ ও জয়পুর ব্লকেও নেই। যে কর্মী টিকা দিয়েছেন, তাঁর নাম ভ্যাকসিনের শংসাপত্রে থাকার কথা। এক্ষেত্রে বর্ণালি মণ্ডলের নাম কীভাবে এল বা বর্ণালি মণ্ডল নামটি কার, কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। আইডি পাসওয়ার্ড দেওয়ার সময় কোনও ভুল হয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হবে। প্রতি জনকে টিকা দেওয়ার জন্য টিকা কর্মীরা একটাকা করে পান। তা পেতে কোনও অসুবিধা হবে না।