হঠাৎ নেওয়া সিদ্ধান্তে বিপদে পড়তে পারেন। চলচিত্র ও যাত্রা শিল্পী, পরিচালকদের শুভ দিন। ধনাগম হবে। ... বিশদ
মঙ্গলবারই রানের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করেছিল বম্বে হাইকোর্ট। পরে রাতে মহাডের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন মিললেও বিচারক এস এস পাতিল সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘মন্ত্রীর গ্রেপ্তারি ন্যায্য।’ তবে, রানেকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে নিম্ন আদালত। ১৫ হাজার টাকা ব্যক্তিগত বন্ডে রানের জামিন মঞ্জুর করা হয়। মোদি মন্ত্রিসভার সদস্যের অস্বস্তি বাড়িয়ে এদিন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের নোটিস পাঠিয়েছে নাসিক পুলিস। আগামী ২ সেপ্টেম্বর হাজিরা দিতে বলা হয়েছে রানেকে। যদিও বম্বে হাইকোর্টে এদিন মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনওরকম শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে না।
জামিন পাওয়ার পরেই ট্যুইটারে নারায়ণ রানে লিখেছিলেন, ‘সত্যমেব জয়তে’। আর এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে চাঁচাছোলা ভাষায় মহারাষ্ট্রের শাসক দলকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘আমি ভয় পাই না। লড়াই চালিয়ে যাব।’ প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ মেনে তিনি জন আশীর্বাদ যাত্রা চালিয়ে যাবেন বলেও জানান। এরপরেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সম্পর্কে উদ্ধব থ্যাকারের অতীতের মন্তব্য নিয়ে শিবসেনা সুপ্রিমোকে একহাত নেন রানে। যোগীকে ‘জুতোপেটা’ করা উচিত ছিল বলে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন উদ্ধব। সে কথা উল্লেখ করে নিজের মন্তব্যে অনড় থাকেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
রানের ইস্তফার দাবিতে এদিনও সরব হয়েছে শিবসেনা। তাদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করায় রানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিন প্রধানমন্ত্রী মোদি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করে দলীয় মুখপত্র ‘সামনা’য় একটি সম্পাদকীয়ও প্রকাশ করেছে শিবসেনা। সেখানে রানেকে ‘ফুটো বেলুন’ এবং ‘রাস্তার গুন্ডা’র সঙ্গে তুলনা করা হয়। আরও লেখা হয়েছে, এই ধরনের ভাষায় কেউ যদি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলেন, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার চার্জ আনা হবে। রানের অপরাধও একই।’