হঠাৎ নেওয়া সিদ্ধান্তে বিপদে পড়তে পারেন। চলচিত্র ও যাত্রা শিল্পী, পরিচালকদের শুভ দিন। ধনাগম হবে। ... বিশদ
বারফাট্টাইয়ের এ দুটি নমুনামাত্র। যে-দেশের ৫০ কোটির বেশি মানুষ যথেষ্ট গরিব সেখানে এই ‘উন্নয়ন’ দেশবাসীকে কোনওভাবেই আনন্দ দিতে পারে না। বরং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলি বঞ্চনা, প্রতারণাই অনুভব করে, ব্যথিত হয়। মোদি জমানায় বিদেশি ঋণের বোঝা বেড়েই চলেছে। ২০১৪-১৫ সালে ঋণের পরিমাণ ছিল ৫৮ লক্ষ ৬৭ হাজার ৮৯২ কোটি টাকা। সেটাই বেড়ে আপাতত ১৯৭ লক্ষ কোটিতে পৌঁছেছে! তবে, ঋণ পরিশোধের খতিয়ানটি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এরজন্য উন্নয়নের সঙ্গে সম্পর্করহিত লম্ফঝম্পকে বহুলাংশে দায়ী করা চলে। এইভাবে চলতে থাকলে ভারতীয় টাকার দাম পড়ে যাবে। নেমে যেতে পারে ভারতের ক্রেডিট রেটিং। ক্রেডিট রেটিং হ্রাস পাওয়ার ঠেলা ২০১১ সালের জুলাই-আগস্টে টের পেয়েছিল সারা পৃথিবী। ক্রেডিট রেটিং কমে যাওয়ার অর্থ, ঋণলাভের যোগ্যতা কমে যাওয়া। কোনও দেশ বা আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা তেমন দেশকে ঋণ মঞ্জুর করার আগে দশবার ভাবে। যেমন একদশক আগে বৈদেশিক ঋণগ্রহণের যোগ্যতা খুইয়েছিল গ্রিস। এমন পরিস্থিতির প্রত্যক্ষ কুপ্রভাব পড়ে দেশের বৈদেশিক মুদ্রাভাণ্ডারের উপর। খেয়াল রাখতে হবে, দেশের ঋণবৃদ্ধির পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রাভাণ্ডার বৃদ্ধিকে যেন কোনওভাবে ছাপিয়ে না যায়। গত সাতবছরে আমরা দেখেছি, মোদি সরকারের ভাঁড়ারে যখনই টান পড়েছে অর্থমন্ত্রক তখনই হাত বাড়িয়েছে পেট্রপণ্যের দিকে। ডিজেল, পেট্রল, কেরোসিন ও এলপিজির দাম বাড়িয়েছে। পেট্রপণ্যের উপর কর, সেস প্রভৃতি আরোপেরও একটা সীমা আছে। নির্মলা সীতারামন তা হয়তো ভুলে গিয়েছেন। তাই তীব্র করোনা পরিস্থিতিতেও মানুষকে রেহাই দেননি। তার ফলে সব জিনিসের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। লক্ষ করার বিষয় হল, মূল্যবৃদ্ধির এই দুর্যোগ এমন একটা সময়ে ঘটেছে যখন মানুষের হাতে অঢেল কাঁচা টাকা নেই এবং অধিকাংশ ভোগ্যপণ্যের চাহিদা কমে গিয়েছে। তাই সরকারের এবার বোঝা উচিত, তেল নামক অস্ত্রটির ধার, ভার দুটোই শেষের পথে।
বাকি থাকে, কিছু রাষ্ট্রায়ত্ত সম্পত্তি বেচে দেওয়া। যেমন ব্যাঙ্ক, বিমা থেকে রেল এবং অন্যান্য সরকারি সংস্থার মালিকানাধীন স্থাবর সম্পত্তি বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া। কিন্তু অভ্যন্তরীণ উৎপাদন এবং বৃদ্ধির পথকে উপেক্ষা করে, শুধু রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি বেচে শেষরক্ষা হবে না। সম্পত্তি বিক্রয় করে তহবিল গঠন কোনও কৃতিত্বের সাক্ষ্য নয়। এ অক্ষমেরই লক্ষণ। যেমন দেনার দায়ে অতীতের অযোগ্য জমিদাররা পূর্বপুরুষের অর্জিত জমিদারি বেচে দিতেন। আত্মনির্ভরতার স্লোগানের আড়ালে নরেন্দ্র মোদি আন্তরিকতার সঙ্গে যে-মূর্তি প্রতিষ্ঠা করছেন, তাতে এই সরকারকে ভবিষ্যৎ ভারত ‘বেচারাম’ হিসেবেই মনে রাখবে। তার ঊর্ধ্বে কোনও জায়গা হবে না তাঁর।