উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
পুরোদস্তুর ধর্মনিরপেক্ষ একটা দেশের মধ্যে কীভাবে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করতে হয়, সেই দিশা দেখিয়েছিল পাকিস্তান। এটাই যে ভারতকে ‘শিক্ষা’ দেওয়ার সঠিক সময় এবং সুযোগ! এবং এই বিদ্বেষ আজ থেকে নয়। এর শুরুয়াত হয়েছিল স্বাধীনতার পর থেকেই। ভারতের প্রতি ঈর্ষা, ঘৃণার কারণে যে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ পাকিস্তান শুরু করেছিল, সেটাই পরবর্তীকালে জন্ম দিল এক আতঙ্কের। ভারত যে কোনও সময় পাল্টা মারবে। ধুলোয় মিশিয়ে দেবে পাকিস্তানকে। আর এই তত্ত্বে যে কোনও গলদ নেই, তা স্পষ্ট স্বীকার করে নিয়েছেন সিআইএর প্রাক্তন কার্যনির্বাহী ডিরেক্টর মাইকেল মোরেল। মার্কিন গুপ্তচরবাহিনীর মাথা। পাকিস্তানকে সরাসরি বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক দেশ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। বলেছেন, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী তৈরি করেছে এবং তাদের ভারত বিরোধিতার ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করে এসেছে। কিন্তু তারা এটা বোঝেনি, সন্ত্রাসবাদী তৈরি করা যায়। তাদের নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব। পাল্টা আঘাত ওরাই পাকিস্তানের উপর হানবে। আর হয়েছেও তাই।
পাকিস্তান সম্পর্কে এই সত্যিটাও আমেরিকা দীর্ঘদিন ধরে জানে। তাই অ্যাবটাবাদ অপারেশনের সময় ‘বন্ধু’ দেশের কাকপক্ষীকেও বিষয়টি নিয়ে কিছু জানতে দেয়নি। ওসামা বিন লাদেনের ঘরে ঢুকে তাকে মেরে বেরিয়ে এসেছিল মার্কিন নেভি সিল। যে দেশ ওসামার মতো বিশ্ব জঙ্গিকে নিরাপদ আশ্রয় দিতে পারে, তাদের আদৌ বিশ্বাস করা সম্ভব নয়। এটাই বারবার বুঝিয়েছেন প্রাক্তন সিআইএ কর্তা। তাঁর সতর্কবার্তা, চরমপন্থাটা আজ ওই দেশের সমাজের মধ্যে ছড়িয়ে গিয়েছে। সেনার ভিতরেও। হয়তো আজ বা কাল নয়, কিন্তু পাঁচ বছর কিংবা ১০ বছর পর পাকিস্তানে বিপ্লব হবে। সাধারণ মানুষই করবে। ঠিক যেভাবে আরব বসন্ত হয়েছিল। মানুষ নেমে পড়বে পথে। উপড়ে ফেলবে সন্ত্রাসে মদতকারী সরকারকে। পাকিস্তান যেন সে জন্য তৈরি থাকে।
ভারতের প্রতিবেশী এই দেশ আসলে শুধু ভারতে অস্থিরতা তৈরি করার জন্য অসীম ক্ষমতা দিয়ে রেখেছে সেনা ও আইএসআইকে। আর ঠিক তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দুর্বল থেকে দুর্বলতর হচ্ছে পাকিস্তান সরকার। ঠুঁটো ছাড়া আর কোনও বিশেষণ পাকিস্তান সরকারের প্রাপ্য নয়। তারা এখনও শিক্ষার তুলনায় পরমাণু অস্ত্রের খাতে বেশি অর্থ বরাদ্দ করে। শিশুদের পাঠানো হয় মাদ্রাসায়। আর সেখানেও চলে বাছাই। কোনও কোনও কিশোর সেখান থেকেই চলে যায় জঙ্গি শিবিরে। যেখানে হাফিজ সইদের মতো মানবিকতার দুশমনরা বসে আছে মগজ ধোলাই করার জন্য। ধর্মের নামে সন্ত্রাস। আর টার্গেট? ভারত।
আমেরিকা হুঁশিয়ারি দিয়েছে। সতর্ক করে যাচ্ছে নয়াদিল্লিও।
পাকিস্তান যদি এখনও সতর্ক না হয়, বিপ্লব আসবেই। পাকিস্তানের নাগরিকরাই করবে।