উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
অমিত শাহের রোড শোতে গন্ডগোলের জেরে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা প্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, রাজ্য সরকার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে। মমতার উদ্দেশে তিনি বলেন, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বাংলা ভাষার সার্বিক বিকাশে অবিস্মরণীয় কাজ করেছেন। কিন্তু এখানে আপনি স্কুলগুলিতে বাংলা পড়াতে দিচ্ছেন না। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, যোগী নাম না করে ইসলামপুরের দাড়িভিটের প্রসঙ্গ টানতে চেয়েছেন। অন্যদিকে, বিজেপির এই অন্যতম নেতা আরও বলেন, আমরা মূর্তি পুজোয় বিশ্বাস করি। কিন্তু যাঁরা ভোটব্যাঙ্কের জন্য মূর্তি পুজোর বিরোধিতা করেন, তাঁরাই বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছেন। সরাসরি বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার দায় তৃণমূলের উপর চাপিয়ে যোগী চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, হিম্মত থাকলে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আনা হোক।
তাঁর যুক্তি, কলেজের গেট বন্ধ ছিল। বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা ভিতরে ঢুকতে পারেনি। তৃণমূল কংগ্রেসের যুব শাখার ছেলেরা যাদের ছাত্র বলা হচ্ছে, তারা আগে থেকে কলেজে ঢুকে ছিল। সেখান থেকেই অমিত শাহের রোড শোতে হামলা করেছে এবং মূর্তি ভেঙেছে। অন্যদিকে, এ রাজ্যে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেওয়া নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষ করেছেন যোগী। তাঁর দাবি, উত্তরপ্রদেশে এই ধ্বনি অভিবাদনের। কারও সঙ্গে দেখা হলে কিংবা কথা শুরুর আগে জয় শ্রীরাম বলা হয়। আর পশ্চিমবঙ্গে জয় শ্রীরাম বললে দিদির ভালো লাগে না। সার্বিকভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রাজ্য শাসনের নৈতিক অধিকার হারিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন যোগী আদিত্যনাথ। অন্যদিকে, এদিন সকালে বিজেপির বারাসত কেন্দ্রের প্রার্থী মৃণালকান্তি দেবনাথের সমর্থনে হাবড়ায় নির্বাচনী জনসভা করেন যোগী। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, তৃণমূল সরকার বাংলার মাটিকে কলুষিত করেছে। অমিত শাহের রোড-শো’তে শাসকদল যেভাবে পরিকল্পনা করে হামলা চালিয়েছে তাতে বোঝা যাচ্ছে, তৃণমূলের অন্তিম যাত্রা শুরু হয়ে গিয়েছে। এ রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে তৃণমূলের গুন্ডাদের পোস্টার লাগিয়ে ঠেলা ঠেলতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।