উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
এলাকার ঝাড়ু চাষি লছু রাই, বিজয় রাই, অক্ষয় রাইরা বলেন, এক সময় আমরা ঝাড়ু ছাড়াও এলাচ, আদা, রসুন চাষ করতাম। কিন্তু কোনওটাতে সেভাবে লাভ হয়নি। কিন্তু ঝাড়ু চাষ করে আমরা ভালো ফল পেয়েছি। লাভও বেশি হচ্ছে। একবার লাগালে আর কিছু করতে হয় না। তাই খরচ সেভাবে নেই। বিঘা প্রতি চাষে ১০ হাজার টাকার মতো আয় হয়। এখন আমাদের মতো অনেকেই ঝাড়ু চাষের দিকেই ঝুঁকছেন।
প্রসঙ্গত, গোটা পাহাড়ে এলাচ চাষ বেশি হয়। কিন্তু বর্তমানে পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় এলাচ গাছে পোকা লেগে যাচ্ছে। ফলে সেভাবে ফলন না হওয়ায় চাষিরা লাভের মুখ দেখতে পারছেন না। গোটা পাহাড়ের মতো এই এলাকাতেও এক সময় এলাচ চাষ ভালো হতো। এছাড়াও আদা, রসুন, অসময়ে ফুলকপি, বাঁধাকপি সহ পাহাড়ি নানা ফসল ফলিয়েই বাসিন্দারা জীবন জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু বর্তমানে চাষিরা সেই চাষ সেভাবে করতে পারছেন না। কারণ ফসলগুলি লাগাতে বেশি খরচ হলেও ফলন কম হতো। অনেক সময় লাগানোর যে খরচ হতো তাও উঠত না। তাই তিন বছর আগে থেকে তাঁরা ঝাড়ু গাছের দিকে একটু বেশি করে নজর দেন এবং হাতেনাতে তার ফলও পান। ঝাড়ু লাগানো হয় জুন-জুলাইতে। মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যেই গাছ বড় হয়ে ফলন দেওয়া শুরু করে দেয়। ডিসেম্বরের শেষের দিকে ঝাড়ু তোলা শুরু হয়ে যায়। আর একবার লাগালেই প্রতিবছর ফলন দেয়। শুধুমাত্র বর্ষায় ঝাড়ু গাছে পাশে ঘাস হলে তা পরিষ্কার করে দিলেই হয়। আর কোনও বাড়তি খরচ থাকে না।