উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
দেওগাঁ পঞ্চায়েতের প্রধান মাধবী বর্মন বলেন, সেতু তৈরির কাজ শুরু করতে বরাত পাওয়া ঠিকাদার সংস্থাকে বার বার তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ওই ঠিকাদার সংস্থা তা শুনছে না। তাই বৃহস্পতিবার এনিয়ে পঞ্চায়েত কার্যালয়ে আলোচনার ডাক দেওয়া হয়েছে। আলোচনায় ঠিকাদার সংস্থার কাছে জানতে চাওয়া হবে কেন সেতু তৈরির কাজ শুরু করতে দেরি হচ্ছে।
দেওগাঁ পঞ্চায়েতের উপ প্রধান রহিফুল আলম বলেন, লোকসভা ভোটের দিন ঘোষণার কয়েক মাস আগে হরিনাথপুরে প্রস্তাবিত ওই সেতুর শিলান্যাস হয়েছিল। এখন যাতায়াতে খুবই অসুবিধা হচ্ছে।
২০১৭ সালে বন্যার সময় হরিনাথপুর গ্রামে মুজনাই নদীর জলোচ্ছ্বাসে পঞ্চায়েতের রাস্তায় থাকা ওই সেতুটি উড়ে যায়। এরপর স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের তরফে বাসিন্দাদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ভেঙে যাওয়া রাস্তায় বাঁশের সাঁকো তৈরি করে দেওয়া হয়। এরপর পঞ্চায়েত থেকে বাঁশের সাঁকোর বদলে সেখানে পাকা সেতুর জন্য ৩০ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়।
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের গোড়ায় প্রস্তাবিত পাকা সেতুর কাজের শিলান্যাসও হয়। কিন্তু শিলান্যাসই সার। আজও সেতু তৈরির কাজ শুরু হয়নি। সেতু তৈরির কাজ শুরু না হওয়ায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে হরিনাথপুর, পূর্ব হরিনাথপুর, পশ্চিম হরিনাথ ও গোপাল দাস পাড়া সহ আশপাশের গ্রামের বাসিন্দাদের।
ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ফালাকাটা-বীরপাড়া সড়কের একটি স্টপেজ থেকে হরিনাথপুর পর্যন্ত গিয়েছে পঞ্চায়েতের ওই রাস্তাটি। রাস্তাটির ভেঙে যাওয়া কালভার্টের পাশেই হরিনাথপুর স্টেটপ্ল্যান প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সেতু তৈরি করতে কয়েক মাস লেগে যাবে। সামনেই বর্ষা। ভরা বর্ষায় বাঁশের সাঁকোও থাকবে না। তখন পাশে থাকা ওই প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়া ও বাসিন্দারা কীভাবে যাতায়াত করবে? সেতু তৈরির কাজ শুরু করতে দেরি হচ্ছে কেন এবিষয়ে বরাত পাওয়া ঠিকাদার সংস্থার সঙ্গে বহু চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি। তবে ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্ভবত ভোটের আচরণবিধির কারণেই সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করতে পারেনি বরাত পাওয়া ঠিকাদার সংস্থা।