উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
এই প্রচণ্ড রোদ ও গরমে নিত্যযাত্রীদের পাশাপাশি সব থেকে বেশি সমস্যার সম্মুখীন যারা তাঁদের মধ্যে অন্যতম ট্রাফিকের দায়িত্ব সামলানো পুলিস ও সিভিক ভলান্টিয়াররা। সূর্যের তেজ থেকে বাঁচতে যখন সাধারণ মানুষ একটু ছায়া খোঁজেন, তখন ট্রাফিক পুলিস ও সিভিক ভলান্টিয়ারা রোদ মাথায় নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে দায়িত্ব সামলানোর গুরুদায়িত্ব পালন করে। বিশেষ করে বিভিন্ন জেলার মধ্যে দিয়ে যাওয়া জাতীয় সড়কে কর্তব্যরত এইসব কর্মীদের সমস্যা সব থেকে বেশি হয়। হাওড়া জেলার মধ্যে দিয়ে যাওয়া প্রায় ৫৫ কিলোমিটার ৬ নং জাতীয় সড়কে ট্রাফিক সামলানোর দায়িত্বে আছে ৩৪৫ জন সিভিক ভলান্টিয়ার ও ৭০ জন পুলিস কর্মী।
জাতীয় সড়কে কর্তব্যরত এইসব কর্মীদের গরমের হাত থেকে বাঁচাতে বাড়তি নজর দিল হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিস। জেলা পুলিস সূত্রে খবর, গরমের হাত থেকে বাঁচাতে কর্মীদের ছাতা দেওয়ার পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানীয় জলের বোতল, ওআরএস দেওয়া হচ্ছে। জাতীয় সড়কে কর্তব্যরত অধিকাংশ সিভিক ভলান্টিয়ারদের কথায়, সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টে পর্যন্ত রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে সব থেকে সমস্যা হয়। চোখে কালো চশমা, মাথায় টুপি, মুখে রুমাল বাঁধলেও গরমের হলকা থেকে বাঁচা যায় না। সে কারণে আধিকারিকরা এসে জল, ওআরএস সরবরাহ করায় অনেকটাই স্বস্তি মেলে।
চিকিৎসকদের মতে, গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ডিউটি করাটা সবসময় বিপজ্জনক। তাঁদের কথায়, এই সময় শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে ঘাম বেরিয়ে যাওয়ায় সানস্ট্রোক হওয়ায় সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। তবে এর হাত থেকে বাঁচতে প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়াটা জরুরি। গরমে কর্তব্যরত কমীদের অসুস্থ হওয়ার হাত থেকে বাঁচতে বাড়তি নজর দেওয়া প্রসঙ্গে হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিসের ডেপুটি সুপারিন্টেডেন্ট অব পুলিস (ট্রাফিক) অনির্বাণ হোমরাজ জানান, গ্রীষ্মের এই সময়টা আমরা এইসব কর্মীদের পানীয় জল, ওআরএস দেওয়া ছাড়াও আধিকারিকদের সবসময় কর্মীদের প্রতি বিশেষ নজর রাখতে বলা হয়েছে।