উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
অমিত শাহের রোড শোয়ে তাণ্ডবের ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল রাতেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। আর আজ সকালেই নয়াদিল্লির দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তড়িঘড়ি কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকরকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। এবং প্রতিটি ক্ষেত্রে তীব্র তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, ‘একটি নয়। আমার রোড শোয়ে তিনটি হামলা হয়েছে গতকাল। শুধুমাত্র মিথ্যে সিমপ্যাথি আদায়ের জন্য ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে নাটক করছে তৃণমূল। মূর্তি ভেঙেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই। বিজেপি তো বিদ্যাসাগর কলেজের মূল গেটের বাইরে ছিল। তারা ভিতরে ঢুকবে কীভাবে? সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় কলেজের ঘরের দরজা খোলা থাকবে কীভাবে? বিজেপির কাছে তো রুমের চাবি ছিল না। ওই কলেজের ইউনিয়ন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের হাতে রয়েছে। শুধুমাত্র ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করার জন্য যেভাবে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে তৃণমূল বিজেপির ঘাড়ে দায় চাপানোর চেষ্টা করছে, তাতে আমি অত্যন্ত হতাশ বোধ করছি। এমনটা কেউ করতে পারে?’
এদিন তৃণমূলনেত্রীকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে অমিত শাহ বলেন, ‘দিদি যেন নিজেকে ভগবান মনে না করেন। ২৩ মের পর দিদির শাসন শেষ হতে চলেছে বাংলায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদায়ের দিন আসন্ন। বাংলার জনতা কী চাইছে, তা গতকালের রোড শোয়েই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস যত বেশি হিংসা করবে, বাংলায় তত বেশি পদ্মফুল ফুটবে। এরা হুমকি সংস্কৃতিকে বেছে নিয়েছে। ২৩ মের দিনই এর জবাব মিলবে।’ এদিন সাংবাদিক সম্মেলন চলাকালীনই অমিত শাহর কাছে খবর আসে, গতকালের ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে রাজ্য সরকার। জবাবে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, ‘মমতার এফআইআরকে আমি ভয় পাই না। রাজ্যের গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক হিংসা চালিয়ে বিজেপির অনেক কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। তারপরেও বিজেপির আন্দোলন থেমে যায়নি। অন্য কোনও অবিজেপি রাজ্যে এমন ঘটনা ঘটে না। ওড়িশাতেও নবীনবাবুর সরকার রয়েছে। সেখানে কখনও পশ্চিমবঙ্গের মতো ঘটনা ঘটতে শুনছেন?’ এই পরিপ্রেক্ষিতে আজ নির্বাচন কমিশনকেও একহাত নিয়েছে বিজেপি। অমিত শাহ অভিযোগ করে বলেছেন, ‘বাংলায় পক্ষপাতিত্ব করছে কমিশন। পশ্চিমবঙ্গের অনেক বুথে বারবার পুনর্নির্বাচনের দাবি জানানো সত্ত্বেও কমিশন তাতে কর্ণপাত করেনি। প্রকাশ্যে দিদি বদলা নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। তারপরেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনওরকম ব্যবস্থা না নেওয়ায় কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।’ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অমিত শাহ এদিনও দাবি করেছেন, এত হিংসা করেও বিজেপিকে আটকানো যাবে না। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি একাই ৩০০ এর বেশি আসন জিতবে। বরং বিরোধী দলের নেতা ঠিক করতে ফেডারেল ফ্রন্ট গঠন করতে হবে। কটাক্ষ বিজেপি সভাপতির।