উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
এদিন মেমারিতে ওই ঘটনার প্রতিবাদে সিপিএম মিছিল বের করে। মিছিলের পুরোভাগে বিদ্যাসাগরের ছবি রাখা হয়। দলীয় পতাকা নিয়ে পার্টি কর্মীরা মিছিলে অংশ নেন। রায়নার গোতানে আচার্য সুকুমার সেন মহাবিদ্যালয়ে টিএমসিপি-র পড়ুয়ারা এনিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এসইউসি-র পক্ষ থেকে বর্ধমান শহরে কার্জনগেটের সামনে ধিক্কার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। মণীষীর ছবি নিয়ে দলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এসএফআইয়ের পক্ষ থেকে এদিন বর্ধমান শহরে বিভিন্ন মণীষীর মূর্তি পরিস্কার করার পাশাপাশি বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার প্রতিবাদে পোস্টারিং করা হয়।
এদিন আউশগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে ধিক্কার মিছিল বের করা হয়। আউশগ্রাম-১ ব্লকের গোবিন্দপুর থেকে শিববাটি পর্যন্ত ধিক্কার মিছিল করা হয়। কর্মসূচিতে স্থানীয় বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দার, দলের ব্লক সভাপতি শেখ সালেখ রহমান প্রমুখ অংশ নেন। আউশগ্রাম বাজারেও এদিন প্রতিবাদ মিছিল করা হয়। গুসকরা শহর তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয় থেকে একটি ধিক্কার মিছিল শহর পরিক্রমা করে। পাশাপাশি আউশগ্রাম-২ ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় ধিক্কার মিছিল হয়েছে। গলসি বাজারে এদিন বিক্ষোভ মিছিল বের করে তৃণমূল কংগ্রেস। গলসির কালীমাতা স্কুল সংলগ্ন এলাকা থেকে মিছিল চৌমাথা হয়ে বাজার এলাকা ঘুরে ফের স্কুলের পাশে শেষ হয়।
এদিন কালনা শহরে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে শামিল হয় তৃণমূল কংগ্রেস ও দলের ছাত্র সংগঠন। কর্মী-সমর্থকরা কালনা শহরে ধিক্কার মিছিল করেন। পুরসভার চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ বাগ সহ অন্যান্য কাউন্সিলাররা অংশ নেন। পাশাপাশি কালনা কলেজের সামনে ও সিদ্ধেশ্বরী মোড়ে টিএমসিপি-র সদস্যরা অমিত শাহর কুশপুতুল দাহ করে ধিক্কার জানান। ওই এলাকায় বিদ্যাসাগরের মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
বুধবার সকাল থেকে পূর্বস্থলী, সমুদ্রগড়, হেমাতপুর, নাদনঘাট এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে তৃণমূল কংগ্রেস। বেশ কয়েকটি জায়গায় বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতির কুশপুতুল দাহ করা হয়। দুপুরে পূর্বস্থলী কলেজ রোডে বিক্ষোভ মিছিল করে টিএমসিপি। পরে কলেজ গেটের সামনে অমিত শাহর কুশপুতুল দাহ করা হয়। বিকেলে হেমাতপুরে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল হয়। তাতে নেতৃত্ব দেন দলের জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। সেখানেও অমিত শাহর কুশপুতুল দাহ করা হয়। বিদ্যানগর বাজারেও বিক্ষোভ কর্মসূচি নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। স্বপনবাবু বলেন, বাংলায় সব থেকে বড় ধিক্কারজনক ঘটনা। বাংলা ভাষার জনক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল বিজেপির হার্মাদরা। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।
পূর্ব বর্ধমানের পাশাপাশি পশ্চিম বর্ধমানে বিভিন্ন প্রান্তে এই ইস্যুতে প্রতিবাদ মিছিল বের করে তৃণমূল কংগ্রেস সহ অন্যান্য দল। তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্গাপুর-১ সাংগঠনিক ব্লক কমিটির উদ্যোগে স্টিল টাউনশিপে প্রতিবাদ সভা করা হয়। দলের ২নম্বর সাংগঠনিক ব্লক কমিটির উদ্যোগে সিটি সেন্টার এলাকায় ধিক্কার মিছিলের পাশাপাশি একটি প্রতিবাদ সভা হয়। এছাড়াও সাংগঠনিক ৩ নম্বর ব্লক কমিটি সুকান্ত পল্লি এলাকায় বিদ্যাসাগরের মূর্তির পাদদেশে ফুলের মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রতিবাদ সভা করে। দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা হয়েছে। পাশাপাশি এদিন সিপিএমের পক্ষ থেকে দুর্গাপুর স্টেশন এলাকায় বিদ্যাসাগরের ছবি নিয়ে একটি ধিক্কার মিছিল করা হয়। এছাড়াও সিটি সেন্টার এলাকায় এসইউসি-র পক্ষ থেকে একটি পথসভা করে ধিক্কার জানানো হয়।
বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার প্রতিবাদে আসানসোলেও পথে নামে সিপিএম। বুধবার তারা আসানসোলের বিএনআর মোড়ে প্রতিবাদ সভা করে। সভায় উপস্থিত ছিলেন সিপিএম নেতা পার্থ মুখোপাধ্যায়, মনোজ দাস প্রমুখ। সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে বাংলার সংস্কৃতিতে আঘাত করা হয়েছে। তৃণমূল এবং বিজেপি দু’দলই বাংলার মর্যাদাহানি করছে।