উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
তিনি বলেন, কলকাতার মানুষ যেভাবে দিদির গুন্ডারাজকে রুখে দিয়েছেন, তাতে আপনারা বুঝিয়ে দিয়েছেন, বদলের সময় এসেছে। এদিনই টাকির জনসভা থেকে তিনি ওই ইস্যুতে বলেন, কলকাতার ছবি পুরো দেশ দেখেছে। মমতাদিদি দু’দিন আগেই বলেছিলেন, ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বদলা নেব। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বিজেপির রাষ্ট্রীয় অধ্যক্ষ ভাই অমিত শাহজির উপর হামলা করিয়ে দিল।
এদিন বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসুর সমর্থনে প্রধানমন্ত্রী প্রথমে টাকিতে এবং পরে সন্ধ্যায় ডায়মন্ডহারবারের বিজেপি প্রার্থী নীলাঞ্জন রায়ের সমর্থনে সেখানে সভা করেন। ডায়মন্ডহারবারের সভায় উপস্থিত ল জনতা মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান জানান। দু’টি সভাতেই ভিড় উপচে পড়েছিল। ডায়মন্ডহারবারের সভায় মানুষ যাতে যেতে না পারে, তার জন্য কলাপাতা ফেলে ট্রেন বন্ধ করারও অভিযোগ উঠেছে। ডায়মন্ডহারবারের সভায় মোদি বলেন, দিদি গণতন্ত্রকে গুন্ডাতন্ত্র করে দিয়েছে। দিদির গুন্ডাতন্ত্রের এক্সপায়েরি ডেট হয়ে গিয়েছে। রবীন্দ্রনাথ মাথা উঁচু করার কথা বলেছিলেন, দিদির রাজত্বে তা নিচু হয়ে গিয়েছে। জয় মা কালী, জয় শ্রীরাম বললেই জেলে ঢোকানো হচ্ছে। এখানে পুলিস-প্রশাসনের উপরেও প্রচুর চাপ। অনেকে আত্মহত্যাও করছেন।
তিনি বলেন, দিদি কান খুলে শুনে নিন। আপনার ঘরে এসে, তোমার ভাইপোর এলাকায় এসে বলছি, মানুষ দিদি-ভাইপোর গুন্ডাগিরির জবাব দেবে। ভোটের পর দেখা যাবে, আপনার ভাইপোর অফিসেও তালা পড়ে গিয়েছে। ভাইপো সরকারি জায়গা দখল করে তোলাবাজির টাকায় পার্টি অফিস বানিয়েছে। দিদি-ভাইপো সব লুটে যাচ্ছে। বাংলাকে বাঁচানোর জন্যই আমি এসেছি।
টাকির সভায় স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে সুর টেনে তিনি বলেন, দিদি, মোদি আপনার ধমকানি চমকানিকে ভয় পায় না। দেশের ১৩০ কোটি দেশবাসী মোদির রক্ষাকবচ। সার্জিক্যাল ও এয়ারস্ট্রাইকের প্রশ্ন তোলা দিদিকে শিক্ষা দেওয়াটা জরুরি। উনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী মানতে তৈরি, কিন্তু, হিন্দুস্থানের প্রধানমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মানতে পারছেন না। এই দিদিকে ক্ষমা করতে পারবেন? সাজা দেবেন তো?