উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
জনসভার পর তৃণমূল নেত্রী বেলেঘাটা গান্ধী আশ্রম থেকে শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড় পর্যন্ত এক সুবিশাল পদযাত্রা করেন। আগাগোড়া সেই পদযাত্রায় কাতারে কাতারে সাধারণ মানুষ সহ বাংলার বিভিন্ন ক্ষেত্রের গুণী ও বিদ্বজ্জনেরা অংশ নেন। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ধিক্কারে পদযাত্রায় তাঁরা একটি গাড়িতে বুকের উপর ‘ছিঃ’ লিখে মৌন প্রতিবাদ জানাতে জানাতে যান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন, নাট্যকর্মী শাঁওলি মিত্র, কবি সুবোধ সরকার, অভিনেতা অরিন্দম শীল, জুন মালিয়া, কবি জয় গোস্বামী ও লেখক আবুল বাশার সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি। বিকেল ৫টা ৪০ মিনিট নাগাদ পদযাত্রা শুরু হয়। বিবেকানন্দের বাড়ির সামনে কিছুক্ষণ পদযাত্রা থামে। সেখানে স্বামীজির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন মমতা। তারপর পদযাত্রা এগয় শ্যামবাজারের দিকে।
এদিকে, আগরপাড়ার সভায় বিজেপি কীভাবে চক্রান্ত করেছে, তা মঞ্চ থেকে একটি ভিডিও মাইক্রোফোনের মাধ্যমে মঞ্চের সামনে থাকা কর্মী, সমর্থকদের শোনান। দু’জন তরুণীকে মঞ্চে ডেকে চক্রান্তকারীদের একটি ভিডিও দেখান। তিনি বলেন, বিদ্যাসাগরকে অপমান করা মানব না। বদলা নেব। তবে, খুনখারাবি করে নয়, একটি ভোটই এই বদলার পক্ষে যথেষ্ট। বাংলার মানুষ সেটা করবে।
তিনি বলেন, টাকা দিয়ে বিজেপি ভোট করাচ্ছে। ওদের এজেন্ট হলে ৫ হাজার টাকা করে দিচ্ছে। বাঁকুড়াতে শুনলাম একটি বাড়িতে গিয়ে যতজন ভোটার রয়েছে, তাদের ভোট পিছু ৫ হাজার টাকা করে দিয়েছে। এভাবে রাজনীতি হয়! আমার ইচ্ছা, নির্বাচনে সমস্ত খরচ করবে নির্বাচন কমিশন। আর রাজনৈতিক দলগুলি শুধু প্রার্থী দেবে। বহুদিন ধরে আমি নির্বাচনী বিধি সংস্কার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। একদিন তা সফল করবই। তাহলে নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলির দেদার টাকা বিলি বন্ধ হবে। তিনি বলেন, সিপিএম এখন বিজেপির পরম বন্ধু হয়েছে। গতকালের মিটিংয়ে সিপিএমের কাছে ওরা (বিজেপি) লোক চাইতে পারত।
অমিত শাহের রোড শোকে নিশানা করে মমতা বলেন, ওদের মিছিলে কলকাতার লোক নেই। বিহার, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান থেকে গুন্ডা এনেছে। তারা রবীন্দ্রনাথ, বিদ্যাসাগর, নেতাজিকে চেনে না। তাই বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছে। ওরা আবার বলছে, তৃণমূল সেখানে ছিল। আমরা ওদের মিছিলের দিকে তাকাই না। দেশের প্রতি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রামমোহন রায়, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান তুলে ধরে মমতা বলেন, বাংলা দেশকে অনেক দিয়েছে। আর বিজেপি বাংলার সংস্কৃতিকে ভুলিয়ে দিতে চাইছে। সিপিএম একসময় মার্কস, লেনিন করে আমাদের সংস্কৃতি, মনীষীদের ভুলিয়ে দিতে চেয়েছিল। সেই পথেই বিজেপি হাঁটছে। নেতাজি, স্বামী বিবেকানন্দ, নজরুল, রবীন্দ্রনাথকে ভুলিয়ে দেওয়ার গেমপ্ল্যান করছে বিজেপি। আমরা তা হতে দেব না। হোটেল, গেস্ট হাউসে ভিন রাজ্য থেকে ওরা লোকজন এনে রেখেছে। সব খালি করে দেওয়ার জন্য বলেছি। এদিন তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে আরও একটি গুরুতর অভিযোগ তুলে বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর পোশাক পরে বিজেপি ক্যাডার ঢোকাচ্ছে। আমার কাছে তার প্রমাণও রয়েছে। সিপিএম নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুরে এরকম করেছিল। বিজেপি সরকার কোনও কথা রাখেনি। এবার বাংলা, ওড়িশা, পাঞ্জাব, মহারাষ্ট্র, বিহার সহ কয়েকটি রাজ্যে বিজেপি গোহারা হবে। সবমিলিয়ে ১০০ আসন হবে কি না সন্দেহ।